গারো পাহাড়

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:১৭, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

গারো পাহাড়  গারো পাহাড় বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত একটি পর্বতশ্রেণী। গারো পাহাড় মূলত পূর্ব গারো পাহাড়, পশ্চিম গারো পাহাড় এবং দক্ষিণ গারো পাহার এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। এর ভৌগোলিক অবস্থান ৮৯০৫০´ পূর্ব হতে ৯০০৫০´ পূর্ব অক্ষাংশ এবং ২৮০০৮´ উত্তর হতে ২৬০০১´ উত্তর  দ্রাঘিমাংশে এর আয়তন প্রায় ৮১৬৭ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ জেলাসমূহ গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং এই অঞ্চলসমূহ এই পাহাড়ের পাদদেশীয় পালিজ সমৃদ্ধ। গারো পাহাড়ের উত্তর এবং উত্তর পশ্চিমে রয়েছে আসাম এবং পূর্বে মেঘালয়ে খাসি পাহাড়।

গারো পাহাড় মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারোখাসি পাহাড়শ্রেণীর অন্তর্গত, মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এখানে অবস্থিত। গারো পাহাড়ে রয়েছে তিনটি জেলা তুরা, বলপাকরাম এবং নকরেক যার মধ্যে তুরার জনসংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। গারো পাহাড় বিশ্বের অন্যতম বৃষ্টিপ্রধান অঞ্চলসমূহের মধ্যে একটি। এখানকার আবহাওয়া, শান্ত সুন্দর পরিবেশ এবং মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে।

গারো পাহাড়ের দীর্ঘতম নদীটির নাম সিমসাং। নদীটির উৎপত্তি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় নকরেক অঞ্চলে, পরবর্তীতে নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর দুই ধারের আকর্ষণগুলো হলো, বাঘমারা, সিজু গুহা, সিমসাংরি ইত্যাদি।

গারো পাহাড়


মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চল জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ। বিল, হাওর, ঘন সবুজ বন এবং বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাঘ গারো পাহাড়কে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।

গারো পাহাড়ের অধিবাসীরা খুবই আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ। প্রকৃতির প্রতি তাদের রয়েছে বিশেষ মমত্ববোধ আর ভালোবাসা। তাইতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সম্পদ সংরক্ষণে তারা খুবই যত্নবান। তাদের জীবনধারা, আর সাহিত্য সংস্কৃতিকে প্রকৃতির প্রতি যে ভালোবাসাই প্রতিফলিত হয়।

[সানজিদা মুর্শেদ ও কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ]