দক্ষিণখান থানা
দক্ষিণখান থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন) আয়তন: ১১.০৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫০´ থেকে ২৩°৫৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৪´ থেকে ৯০°২৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে গাজীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে খিলক্ষেত থানা, পূর্বে উত্তরখান থানা এবং পশ্চিমে বিমানবন্দর ও উত্তরা থানা।
জনসংখ্যা ১৭৭৭৬০; পুরুষ ৯৯৭৪৩, মহিলা ৭৮০১৭। মুসলিম ১৬৯৮১৩, হিন্দু ৬৪৫৫, বৌদ্ধ ৯২১, খ্রিস্টান ২৯৬ এবং অন্যান্য ২৭৫।
প্রশাসন দক্ষিণখান থানা গঠিত হয় ২০০৬ সালে। দক্ষিণখান ইউনিয়নের নামানুসারে এ থানার নামকরণ করা হয়েছে।
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
১ (আংশিক) | ৬ | - | ১৭৭৭৬০ | ১৬০৪৩ | - | ৬৮.৮৭ |
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | ||||
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
দক্ষিণখান ইউনিয়ন (আংশিক) ৩৮ | ১১.০৮ | ৯৯৭৪৩ | ৭৮০১৭ | ৬৮.৮৭ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৩৫, গীর্জা ১।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৮.৮৭%; পুরুষ ৭৩.৫৭%, মহিলা ৬৩.০৬%। স্কুল ও কলেজ ৬৯, মাদ্রাসা ২৩। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: আনোয়রা মডেল ডিগ্রি কলেজ, দক্ষিণখান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি সেন্টার ১, খেলার মাঠ ৩।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ২.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ২.৯৫%, শিল্প ১.৮৫%, ব্যবসা ২২.৮৯%, নির্মাণ ৬.৫৮%, পরিবহন ৬.৭৪%, চাকুরি ৩৯.২৬%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিট্যান্স ৩.২৪% এবং অন্যান্য ১৪.২৮%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.৯৬%, ভূমিহীন ৪৯.০৪%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান ও শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্ত প্রায় ফসল পাট, কাউন, ডাল।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, নারকেল, জাম, পেয়ারা।
মৎস, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১০০, গবাদিপশু ৫, হাঁস-মুরগি ১০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট সড়ক ২৪.৭৭ কিমি।
শিল্প ও কলকারখানা মোট শিল্প ও কলকারখানা ৪০।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, হস্তশিল্প, কাঠের কাজ, বাঁশ ও বেতের কাজ, সেলাই ইত্যাদি।
হাট বাজার, শপিং সেন্টার বাজার ৮, শপিং সেন্টার ৩২। ডোবাদিয়া বাজার উল্লেখযোগ্য।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি মৌজা পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯৫.১৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস ট্যাপ ৪৪.৭৩%, নলকূপ ৫৩.৪৬%, পুকুর ০.১০% এবং অন্যান্য ১.৭১%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৮৭.২৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১১.৮০% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ০.৯৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
প্রধান রপ্তনিদ্রব্য তৈরি পোশাক।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ৪।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [শরীফ খুরশীদ আলম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দক্ষিণখান থানা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৮।