ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আই.টি.আই), বাংলাদেশ
ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আই.টি.আই), বাংলাদেশ নাট্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের আঞ্চলিক কার্যালয়। ১৯৪৮ সালে ইউনেস্কোর আনুকূল্যে এটি ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। বিশ্ব কংগ্রেস, থিয়েটার অব ন্যাশনস, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ভ্রাম্যমাণ নাট্যপ্রযোজনা এবং নাট্যবিষয়ক বিবিধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের নাট্যকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে আই.টি.আই প্রতিষ্ঠিত হয়।
নাটকের বিভিন্ন শাখার ব্যক্তিবর্গ, যেমন: নাট্যকার, নির্দেশক, নাট্যপ্রশাসক, ডিজাইনার, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক-গায়িকা, নৃত্যশিল্পী, থিয়েটার-নৃতত্ত্ববিদ, প্রবন্ধকার, তাত্ত্বিক, সমালোচক এঁরা সকলেই আই.টি.আই-র সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন। আই.টি.আই বর্তমানে যে সাতটি স্থায়ী কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সেগুলি হলো: কমিউনিকেশন, প্লে-রাইটস, মিউজিক-থিয়েটার, ড্যান্স-থিয়েটার, কালচারাল আইডেনটিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ড্রাম্যাটিক থিয়েটার এবং থিয়েটার এডুকেশন। একজন প্রেসিডেন্ট এবং দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়ে ১৪ জনের নির্বাহি কমিটি আই.টি.আই-র কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতি দুবছর অন্তর বিশ্ব কংগ্রেসে বিভিন্ন দেশের ভোটে ১৪টি দেশ নির্বাহি কমিটির জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাহী কমিটি ছাড়া আই.টি.আই-র নিত্য দিনের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য একজন সেক্রেটারি জেনারেল আছেন, যিনি প্যারিসে প্রধান কার্যালয়ে বসেন।
বাংলাদেশ ১৯৮২ সালে আই.টি.আই-র সহযোগী সদস্যপদ এবং ১৯৮৯ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। এ ছাড়া পরপর চারবার নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং একবার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়। আই.টি.আই বাংলাদেশ কেন্দ্র প্রতি দুবছর অন্তর আন্তর্জাতিক সেমিনারসহ নাট্যোৎসবের আয়োজন করে, যার ফলে বাংলাদেশের নাট্যচর্চার প্রতি বিশ্ব নাট্যজনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। এর গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা দ্য ওয়ার্লড অব থিয়েটার বাংলাদেশ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয়। এতে বিশ্বের থিয়েটার চর্চার কার্যক্রম লিপিবদ্ধ হয়। এ কেন্দ্র বাংলাদেশের নাট্যচর্চার স্বরূপকে বিদেশে পরিচিত করছে। রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসিরুদ্দীন ইউসুফ, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, আবদুস সেলিম, শফি আহমেদ, দেবপ্রসাদ দেবনাথ প্রমুখ বর্তমানে আই.টি.আই, বাংলাদেশ কেন্দ্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। [আতাউর রহমান]