ফুলচাষ

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:৩৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ফুলচাষ (Floriculture)  ফুল ও ফুলগাছের চাষাবাদ। বাংলাদেশে এখনও শৌখিন এবং পেশাদার উভয় ধরনের ফুলচাষই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখানে কাটাফুল (প্রধানত গোলাপ, রজনীগন্ধা, অর্কিড ও গ্লাডিওলাস), বাহারি পাতার গাছ এবং মরসুমি ফুলের বীজের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে সীমিত পরিমাণ গোলাপ ও রজনীগন্ধা রপ্তানি হচ্ছে। দেশী ও বিদেশী বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য ব্যক্তিগত নার্সারি গড়ে উঠছে। আধুনিক পুষ্পচর্চার জন্য অপরিহার্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে প্রায় অনুপস্থিত। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অতি সম্প্রতি ফুলচাষ বিষয়ক একটি শাখা খুলেছে।

কাঁটাফুলের বিপনি কেন্দ্র

কাটাফুল (Cutflower)  তোড়া, মালা বা অন্য কোন আকর্ষণীয় সাজে বিক্রয়যোগ্য ফুলের গুচ্ছ বা স্তবক। পবিত্র স্থানে আগত দর্শনার্থী বা ভক্তদের কাছে সেখানে ফুল ও ফুলের সামগ্রী বিক্রয় থেকেই এদেশে কাটা ফুলের ব্যবসার সূত্রপাত।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই দেশে কাটা ফুলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত ও আমদানিকৃত ফুল দিয়েই এখানে এই ব্যবসার শুরু। রাজধানী ও অন্যান্য শহরে ফুলের চাহিদা মিটানোর জন্য কিছু কিছু চাষী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলচাষ আরম্ভ করে।

ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদে সহায়তা যোগানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি পুষ্পচর্চা গবেষণা কেন্দ্র (Floriculture Research Centre) চালু করেছে। বাজারে নিয়মিত বিক্রেয় স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন ফুলের মধ্যে রয়েছে কয়েক জাতের গোলাপ (Rosa multiflora) ও গ্লাডিওলাস (Gladiolus primulinus), হলুদ, কমলা ও লাল রঙের গাঁদা (Tagetes patula, T. erecta), কয়েক ভ্যারাইটির চন্দ্রমল্লিকা (Chrysanthemum coronarium), রজনীগন্ধা (Polianthes tuberosa) ও জলপদ্ম (Nelumbo nucifera)। এছাড়া স্থানীয়ভাবে পরিচিত করবী, জুঁই, কামিনী, শাপলা, দোলনচাঁপা, ডালিয়া এবং জিনিয়া ফুলও মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়। [মামুন-উর-রশিদ এবং আবুল খায়ের]

আরও দেখুন অর্কিড; গোলাপ; বনফুল; বাগানের ফুল