দুমকি উপজেলা

Banglapedia admin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:৩০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (হালনাগাদ)

দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী জেলা)  আয়তন: ৯২.৪১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৩´ থেকে ২২°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১৭´ থেকে ৯০°২৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী সদর উপজেলা, পূর্বে বাউফল উপজেলা, পশ্চিমে মির্জাগঞ্জ ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা।

জনসংখ্যা ৭০৬৫৫; পুরুষ ৩৩৮০২, মহিলা ৩৬৮৫৩। মুসলিম ৬৪৭৩৪, হিন্দু ৫৮৮২, বৌদ্ধ ৬, খ্রিস্টান ২৯ এবং অন্যান্য ৪।

জলাশয় প্রধান নদী: লোহালিয়া ও রাজগঞ্জ।

প্রশাসন ২০০০ সালে দুমকি উপজেলা গঠিত হয়।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ২১ ২৪ ১২২০০ ৫৮৪৫৫ ৭৬৫ ৭৫.৪ ৬৪.৫
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৮.৫৭ ১২২০০ ১২২৪ ৭৫.৪
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন(একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আঙ্গারিয়া ১৯ ৪০৪৪ ৬০৮৩ ৬৮৭০ ৭১.৮
পাঙ্গাশিয়া ৮৮ ৪৭৩৮ ৫৮৯১ ৬৫৪১ ৫৫.৬
মুরাদিয়া ৮১ ৬৮৪০ ৭১৩৮ ৮০২৪ ৬৪.৬
লেবুখালী ৪৭ ৭২১৫ ৫৭৫৬ ৬১২৫ ৬১.৩
শ্রীরামপুর ৯৩ ৮৩৮ ৮৯৩৪ ৯২৯৩ ৭৪.৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ শ্রীরামপুরের মসজিদ।

মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দুমকিতে রাজাকারদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা একটি অভিযান পরিচালনা করে। উপজেলায় দু’জন মুক্তিযোদ্ধা (আব্দুস সালাম এবং আব্দুর রহমান) শহীদ হন এবং তাদের নামে দুটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।

বিস্তারিত দেখুন দুমকি উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৪।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৯৭, মন্দির ৩৮।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  গড় হার ৬৬.৪%; পুরুষ ৬৮.৯%, মহিলা ৬৪.২%। বিশ্ববিদ্যালয় ১, কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৬, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০১), জনতা কলেজ (১৯৮৫), নাসিমা কেরামত আলী গার্লস কলেজ (১৯৯৮), মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৮), দুমকি আফছুননেছা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৬), লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৮), আঙ্গারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৭), পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া আলীয়া মাদ্রাসা (১৯১৯)।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৩.১০%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৬৬%, শিল্প ০.৯২%, ব্যবসা ১৪.৬২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০১%, চাকরি ১৮.১৭%, নির্মাণ ৩.২০%, ধর্মীয়। সেবা ০.৩০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬২% এবং অন্যান্য ১১.৪০%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, ডাল, তরমুজ, শাকসবজি।

বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি  কাউন।

প্রধান ফল-ফলাদি  কলা, কাঁঠাল, পেঁপে।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার  ৫০।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৪৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ৪৫৩ কিমি।

কুটিরশিল্প বুননশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার ৪২.৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৫.৩%, ট্যাপ ০.৩% এবং অন্যান্য ৪.৪%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭২.০% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৭.১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ০.৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৫৮৪, ১৮২২, ১৯৬০, ১৯৬১ ও ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৮৭৬ সালের বন্যায় বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এনজিও আশা, ব্র্যাক, টেরি-হোম্স। [তানভীর আহসান তারিক]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দুমকি উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।