পাংশা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''পাংশা উপজেলা''' ([[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী জেলা]])  আয়তন: ৪১৪.২৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪০´ থেকে ২২°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৯´ থেকে ৮৯°৩৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পাবনা সদর ও সুজানগর উপজেলা, দক্ষিণে শৈলকূপা, শ্রীপুর (মাগুরা) ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, পূর্বে কালুখালী উপজেলা, পশ্চিমে খোকসা ও কুমারখালী উপজেলা।
'''পাংশা উপজেলা''' ([[রাজবাড়ী জেলা|রাজবাড়ী জেলা]])  আয়তন: ২৫০.৩১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪০´ থেকে ২২°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৯´ থেকে ৮৯°৩৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পাবনা সদর ও সুজানগর উপজেলা, দক্ষিণে শৈলকূপা, শ্রীপুর (মাগুরা) ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, পূর্বে কালুখালী উপজেলা, পশ্চিমে খোকসা ও কুমারখালী উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ২১৭২০৩; পুরুষ ১১২৪৪২, মহিলা ১০৪৭৬১। মুসলিম ২১১৯৫৩, হিন্দু ২৫১৮৮ এবং অন্যান্য ৬২।
''জনসংখ্যা'' ২৪৩২৮৫; পুরুষ ১২১৭২৩, মহিলা ১২১৫৬২। মুসলিম ২২৪৬৯০, হিন্দু ১৮৫৮৮, খ্রিস্টান ৫ এবং অন্যান্য ২।


''জলাশয়'' পদ্মা ও গড়াই নদী উল্লেখযোগ্য।
''জলাশয়'' পদ্মা ও গড়াই নদী উল্লেখযোগ্য।
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| ১ || ১০ || ২৫৭  || ২৫৫ || ২৯৯১০  || ১৮৭২৯৩  || ৮৪৫ || ৫২.৪ || ৩৬.৬৬
| ১ || ১০ || ১৮১ || ১৯২ || ৩২৯৪৯ || ২১০৩৩৬ || ৯৭২ || ৫২.৪ (২০০১) || ৪৫.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড  || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড  || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ১২.৫৬ || ৯ || ২১ || ২৫০৭৮  || ১৯৯৬ || ৫৬.০৬
| ১২.৫৬ (২০০১) || ৯ || ২১ || ২৯০৯৮ || ১৯৯৬ (২০০১) || ৬৭.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| colspan="9" | উপজেলা শহর
| colspan="9" | পৌরসভার বাইরে উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৩.৭৭ || ৬  || ৪৮৩২  || ১২৮২ || ৩২.৭১
| ৩.৭৭ (২০০১) || || ৩৮৫১ || ১২৮২ (২০০১) || ৩৮.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
৪২ নং লাইন: ৪২ নং লাইন:
| পুরুষ  || মহিলা
| পুরুষ  || মহিলা
|-  
|-  
| কালিমহর ৩৫ || ৫০৯৯  || ৮৫৪৪ || ৮১৬০  || ৩৭.৭২
| কালিমহর ৩৫ || ৪৮৫৯ || ৯০৯৯ || ৯২৩০ || ৪৪.
|-
|-
| কসবা মাঝাইল ৪০ || ৭২৫৬  || ১১৮১৯ || ১১১৫৫  || ৪০.৯৮
| কসবা মাঝাইল ৪০ || ৭২৫৪ || ১২৭৫৭ || ১২৭৫২ || ৫১.
|-
|-
| জশাই ২৫ || ৪৫০০  || ৯৪১০ || ৮৬৬৩  || ৩৭.৪৩
| জশাই ২৫ || ৪২৫২ || ৯৭৭৬ || ৯৭৬১ || ৪২.
|-
|-
| পাট্টা ৮০ || ৪৮৭৯  || ৮৫২৪ || ৭৯১৫  || ৩৭.৩৪
| পাট্টা ৮০ || ৪৮৭৮ || ৯১৭৬ || ৯১২৬ || ৪৮.
|-
|-
| বাবুপাড়া ৭৫ || ২১৬৫  || ৬৬৩২ || ৬১৬২  || ৩০.৯০
| বাবুপাড়া ৭৫ || ৩১১১ || ৭৩৬৮ || ৭১৪৫ || ৪৮.
|-
|-
| বাহাদুরপুর ১৬ || ৫৮১১  || ৯৭৭৩ || ৯০১৯  || ৩৫.১১
| বাহাদুরপুর ১৬ || ৫৮৩৩ || ১০১১৭ || ১০৩১২ || ৪৭.
|-
|-
| মাঝপাড়া ৫০ || ৫০১৭  || ১০৪০৫ || ৯৪৭৫  || ৩৭.৭৬
| মাঝপাড়া ৫০ || ৫০২০ || ১১১৭৮ || ১১০৯৭ || ৪৯.
|-
|-
| মৌরাট ৬৫ || ৫৬০২  || ৯৬৮১ || ৯১৬৪  || ৩৮.৬৮
| মৌরাট ৬৫ || ৫২৯১ || ১১০২৯ || ১০৮৬৬ || ৪৮.
|-
|-
| সরিষা ৯০ || ৫২৩৭  || ৮৫৫৭ || ৮০৬৮  || ৩৯.০২
| সরিষা ৯০ || ৫০৯৮ || ৯৬৯৩ || ৯৭২২ || ৪৪.
|-
|-
| হাবাশপুর ২০ || ৮৭৫২  || ১৬০১৪ || ১৪৯৮৫  || ৩১.৬১
| হাবাশপুর ২০ || ১৩১৫১ || ১৬৯৬২ || ১৭০২১ || ৩৫.
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:PangshaUpazila.jpg|thumb|400px|right|]]
[[Image:PangshaUpazila.jpg|thumb|400px|right|]]
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' রথখোলা শানমঞ্চ (১৮ শতক, বেলগাছি), ফেরী ফান্ড রোড (শায়েস্তা খানের আমলে), গ্রান্ড ট্রাংক রোড।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' রথখোলা শানমঞ্চ (১৮ শতক, বেলগাছি), ফেরী ফান্ড রোড (শায়েস্তা খানের আমলে), গ্রান্ড ট্রাংক রোড।


''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৮৬০ সালে বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভৈরব বাবু নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯২০ সালে পাংশা উপজেলায় খেলাফত আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী উপজেলার মাঝপাড়া, রামকোল ও মথুরাপুর গ্রামের অনেক লোককে হত্যা করে এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
''ঐতিহাসিক ঘটনা'' ১৮৬০ সালে বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভৈরব বাবু নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯২০ সালে পাংশা উপজেলায় খেলাফত আন্দোলন শুরু হয়েছিল।  


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' বধ্যভূমি (পাংশা কলেজ সংলগ্ন চন্দনা নদীর তীর, কালুখালী রেলস্টেশন সংলগ্ন)
''মুক্তিযুদ্ধ''  ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী উপজেলার মাঝপাড়া, রামকোল ও মথুরাপুর গ্রামের অনেক লোককে হত্যা করে এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ২টি বধ্যভূমি (পাংশা কলেজ সংলগ্ন চন্দনা নদীর তীর কালুখালী রেলস্টেশন সংলগ্ন) রয়েছে।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৫৭, মন্দির ১১০, মাযার ৮, মঠ ৮। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: গায়েবি মসজিদ, ছুটি মন্ডলের মসজিদ।
''বিস্তারিত দেখুন'' পাংশা উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৪%; পুরুষ ৪৩.৬%, মহিলা ৩৬.%। কলেজ ১০, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৯, স্যাটেলাইট স্কুল ১৩, কমিউনিটি স্কুল ৬, মাদ্রাসা ৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাংশা কলেজ (১৯৬৯), পাংশা জর্জ হাইস্কুল (১৯১৯), রতনদিয়া রজনীকান্ত হাইস্কুল (১৯২০)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৮.৩%; পুরুষ ৪৯.৬%, মহিলা ৪৭.%। কলেজ ১০, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৯, স্যাটেলাইট স্কুল ১৩, কমিউনিটি স্কুল ৬, মাদ্রাসা ৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাংশা কলেজ (১৯৬৯), পাংশা জর্জ হাইস্কুল (১৯১৯), রতনদিয়া রজনীকান্ত হাইস্কুল (১৯২০)।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৭.৯৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৭%, শিল্প ০.৭৫%, ব্যবসা ১১.৬৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২৭%, চাকরি ৫.১২%, নির্মাণ ১.১১%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৬.৬৫%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৭.৯৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৭%, শিল্প ০.৭৫%, ব্যবসা ১১.৬৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২৭%, চাকরি ৫.১২%, নির্মাণ ১.১১%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৬.৬৫%।
৮৯ নং লাইন: ৮৯ নং লাইন:
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৪৭, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি ২৭০, হ্যাচারি ২।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৪৭, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি ২৭০, হ্যাচারি ২।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫৪০ কিমি, নৌপথ ৪০ নটিক্যাল মাইল; রেলপথ ২৬ কিমি। রেলওয়ে স্টেশন ৩।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ২১৬ কিমি; আধা-পাকারাস্তা ২০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৬৯৪ কিমি; নৌপথ ১১ কিমি; রেলপথ ১৬ কিমি; রেলওয়ে স্টেশন ৩।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
১০১ নং লাইন: ১০১ নং লাইন:
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  পাট, গুড়, পান।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  পাট, গুড়, পান।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১২.৩৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪১.% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.৮৪%, ট্যাপ ০.৪৮%, পুকুর ০.৩৯% এবং অন্যান্য .২৯%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.%, ট্যাপ ০.% এবং অন্যান্য .%।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২৯.৪৭% (গ্রামে ২৭.৩২% এবং শহরে ৫৪.৩৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৪.৭৯% (গ্রামে ৫৬.৩১% এবং শহরে ৩৫.৫৩%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৫.৭৪% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৭৬.% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৯.% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৯, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, ক্লিনিক ৪।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৯, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, ক্লিনিক ৪।
১১১ নং লাইন: ১১১ নং লাইন:
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা।  [মো. তৌহিদ মিয়া]
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা।  [মো. তৌহিদ মিয়া]


'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পাংশা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পাংশা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Pangsha Upazila]]
[[en:Pangsha Upazila]]

১৮:৩৪, ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পাংশা উপজেলা (রাজবাড়ী জেলা)  আয়তন: ২৫০.৩১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪০´ থেকে ২২°৫৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৯´ থেকে ৮৯°৩৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পাবনা সদর ও সুজানগর উপজেলা, দক্ষিণে শৈলকূপা, শ্রীপুর (মাগুরা) ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, পূর্বে কালুখালী উপজেলা, পশ্চিমে খোকসা ও কুমারখালী উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৪৩২৮৫; পুরুষ ১২১৭২৩, মহিলা ১২১৫৬২। মুসলিম ২২৪৬৯০, হিন্দু ১৮৫৮৮, খ্রিস্টান ৫ এবং অন্যান্য ২।

জলাশয় পদ্মা ও গড়াই নদী উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন পাংশা থানা গঠিত হয় ১৮৬৩ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে। পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯০ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১০ ১৮১ ১৯২ ৩২৯৪৯ ২১০৩৩৬ ৯৭২ ৫২.৪ (২০০১) ৪৫.৭
পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১২.৫৬ (২০০১) ২১ ২৯০৯৮ ১৯৯৬ (২০০১) ৬৭.৭
পৌরসভার বাইরে উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৩.৭৭ (২০০১) ৩৮৫১ ১২৮২ (২০০১) ৩৮.৪
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
কালিমহর ৩৫ ৪৮৫৯ ৯০৯৯ ৯২৩০ ৪৪.৮
কসবা মাঝাইল ৪০ ৭২৫৪ ১২৭৫৭ ১২৭৫২ ৫১.৪
জশাই ২৫ ৪২৫২ ৯৭৭৬ ৯৭৬১ ৪২.৯
পাট্টা ৮০ ৪৮৭৮ ৯১৭৬ ৯১২৬ ৪৮.২
বাবুপাড়া ৭৫ ৩১১১ ৭৩৬৮ ৭১৪৫ ৪৮.০
বাহাদুরপুর ১৬ ৫৮৩৩ ১০১১৭ ১০৩১২ ৪৭.৪
মাঝপাড়া ৫০ ৫০২০ ১১১৭৮ ১১০৯৭ ৪৯.১
মৌরাট ৬৫ ৫২৯১ ১১০২৯ ১০৮৬৬ ৪৮.২
সরিষা ৯০ ৫০৯৮ ৯৬৯৩ ৯৭২২ ৪৪.৯
হাবাশপুর ২০ ১৩১৫১ ১৬৯৬২ ১৭০২১ ৩৫.৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ রথখোলা শানমঞ্চ (১৮ শতক, বেলগাছি), ফেরী ফান্ড রোড (শায়েস্তা খানের আমলে), গ্রান্ড ট্রাংক রোড।

ঐতিহাসিক ঘটনা ১৮৬০ সালে বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভৈরব বাবু নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯২০ সালে পাংশা উপজেলায় খেলাফত আন্দোলন শুরু হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী উপজেলার মাঝপাড়া, রামকোল ও মথুরাপুর গ্রামের অনেক লোককে হত্যা করে এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ২টি বধ্যভূমি (পাংশা কলেজ সংলগ্ন চন্দনা নদীর তীর ও কালুখালী রেলস্টেশন সংলগ্ন) রয়েছে।

বিস্তারিত দেখুন পাংশা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৮.৩%; পুরুষ ৪৯.৬%, মহিলা ৪৭.০%। কলেজ ১০, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৯, স্যাটেলাইট স্কুল ১৩, কমিউনিটি স্কুল ৬, মাদ্রাসা ৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাংশা কলেজ (১৯৬৯), পাংশা জর্জ হাইস্কুল (১৯১৯), রতনদিয়া রজনীকান্ত হাইস্কুল (১৯২০)।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৭.৯৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৭%, শিল্প ০.৭৫%, ব্যবসা ১১.৬৩%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২৭%, চাকরি ৫.১২%, নির্মাণ ১.১১%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৪৮% এবং অন্যান্য ৬.৬৫%।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সাপ্তাহিক:পাংশা বার্তা, পদ্মা; অবলুপ্ত পত্রিকা: কোহিনুর (১৮৯৮), চন্দনা (১৯৭২), নায়েব রসুল (১৯৪২), কাঙাল (১৯২৫), প্রতিচ্ছবি (১৯৭৩)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান  লাইব্রেরি ৪, শিল্পকলা একাডেমী ১।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, পান, তিল।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি আউশ ধান।

প্রধান ফল-ফলাদি তরমুজ, আম।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৪৭, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি ২৭০, হ্যাচারি ২।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২১৬ কিমি; আধা-পাকারাস্তা ২০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৬৯৪ কিমি; নৌপথ ১১ কিমি; রেলপথ ১৬ কিমি; রেলওয়ে স্টেশন ৩।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প  ও কলকারখানা  ধানকল, বরফকল।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, সূচিশিল্প, কাঠের কাজ, নকশি পাখা।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৬, মেলা ৩। কালুখালী হাট, বাগদুলী হাট ও পাংশা হাট এবং হাবাশপুর মেলা ও শ্মশানবাড়ি মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  পাট, গুড়, পান।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪১.৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৭%, ট্যাপ ০.৬% এবং অন্যান্য ২.৭%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৬.৩% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৯.৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৯, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, ক্লিনিক ৪।

এনজিও ব্র্যাক, আশা।  [মো. তৌহিদ মিয়া]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পাংশা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।