দৌলতপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''দৌলতপুর উপজেলা''' ([[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া জেলা]]) আয়তন: ৪৬৮.৭৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫২´ থেকে ২৪°১২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪২´ থেকে ৮৮°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বাঘা এবং লালপুর উপজেলা, দক্ষিণে গাংনী এবং মিরপুর উপজেলা, পূর্বে ভেড়ামারা এবং মিরপুর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। | '''দৌলতপুর উপজেলা''' ([[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া জেলা]]) আয়তন: ৪৬৮.৭৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫২´ থেকে ২৪°১২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪২´ থেকে ৮৮°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বাঘা এবং লালপুর উপজেলা, দক্ষিণে গাংনী এবং মিরপুর উপজেলা, পূর্বে ভেড়ামারা এবং মিরপুর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। | ||
''জনসংখ্যা'' | ''জনসংখ্যা'' ৪৫৬৩৭২; পুরুষ ২২৭৭১১, মহিলা ২২৮৬৬১। মুসলিম ৪৫৩৫২০, হিন্দু ২৮০৩, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ৪০ এবং অন্যান্য ৭। | ||
''জলাশয়'' গঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা নদী এবং কালুয়া বিল, পঙ্খীর বিল, বোয়ালিয়া বিল ও ফকিরধরা বিল উল্লেখযোগ্য। | ''জলাশয়'' গঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা নদী এবং কালুয়া বিল, পঙ্খীর বিল, বোয়ালিয়া বিল ও ফকিরধরা বিল উল্লেখযোগ্য। | ||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - | | - || ১৪ || ১৫৩ || ২৪১ || ১৯৪৪৬ || ৪৩৬৯২৬ || ৯৭৪ || ৪৭.৮ || ৪১.০ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
২৪ নং লাইন: | ২৪ নং লাইন: | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১৫.৪১ | | ১৫.৪১ || ২ || ১৯৪৪৬ || ১২৬২ || ৪৭.৮ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
৩৪ নং লাইন: | ৩৪ নং লাইন: | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| আদাবাড়ীয়া ০৬ | | আদাবাড়ীয়া ০৬ || ৯১৫২ || ১৫৪৪৯ || ১৫৭৮৬ || ৪১.৩ | ||
|- | |- | ||
| এরিয়া ১৩ | | এরিয়া ১৩ || ৮১২৪ || ১৪৫৪৯ || ১৪১৩৬ || ৪২.৯ | ||
|- | |- | ||
| | | খলিশাকুণ্ডি ৪৭ || ৫৩২৪ || ১৫৭৯৯ || ১৫৭৫১ || ৪৩.৭ | ||
|- | |- | ||
| চিলমারী ২৭ | | চিলমারী ২৭ || ১৩০৫২ || ১০৫৩৭ || ১০৫৫৭ || ৩০.৬ | ||
|- | |- | ||
| দৌলতপুর ৩৩ | | দৌলতপুর ৩৩ || ৮১৫৮ || ১৮৩০৬ || ১৮১৪০ || ৪৩.৪ | ||
|- | |- | ||
| পিয়ারপুর ৬৭ | | পিয়ারপুর ৬৭ || ৭৬২৬ || ১৮৮৫০ || ১৮৪৯৩ || ৪২.৯ | ||
|- | |- | ||
| প্রাগপুর ৮১ | | প্রাগপুর ৮১ || ৮২৩২ || ১৯৫৯৭ || ২০১০৫ || ৪০.৭ | ||
|- | |- | ||
| ফিলিপনগর ৭৪ | | ফিলিপনগর ৭৪ || ৫৯৫২ || ১৫৯৮৯ || ১৬৯০৭ || ৪১.৪ | ||
|- | |- | ||
| বোয়ালিয়া ২০ | | বোয়ালিয়া ২০ || ৬৪৪৩ || ১৪৪৬৯ || ১৪২৬৪ || ৩৮.৬ | ||
|- | |- | ||
| মথুরাপুর ৬১ | | মথুরাপুর ৬১ || ৬৪২২ || ১৯৬৫২ || ২০০২৩ || ৪৩.৭ | ||
|- | |- | ||
| মরিচা ৫৪ | | মরিচা ৫৪ || ৯৩৩৬ || ১১২৯২ || ১১৭০৯ || ৩৪.৮ | ||
|- | |- | ||
| রামকৃষ্ণপুর ৮৮ | | রামকৃষ্ণপুর ৮৮ || ১২৩৬০ || ১৩০৯৮ || ১৩০৭০ || ৩৪.৭ | ||
|- | |- | ||
| রেফায়েতপুর ৯৪ | | রেফায়েতপুর ৯৪ || ৭৯৯৩ || ১৫৯৯৯ || ১৫৫৮২ || ৩৯.৪ | ||
|- | |- | ||
| হোগলবাড়ীয়া ৪০ | | হোগলবাড়ীয়া ৪০ || ৭৬৫৩ || ২৪১২৫ || ২৪১৩৮ || ৪৮.১ | ||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:DaulatpurUpazilaKushtia.jpg|thumb|400px|right]] | [[Image:DaulatpurUpazilaKushtia.jpg|thumb|400px|right]] | ||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' হোসেনাবাদ রাজবাড়ী, মহিষাকুন্ডি নীলকুঠি, রেফায়েতপুর জমিদার বাড়ি। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' হোসেনাবাদ রাজবাড়ী, মহিষাকুন্ডি নীলকুঠি, রেফায়েতপুর জমিদার বাড়ি। | ||
'' | ''মুক্তিযুদ্ধ'' মুক্তিযুদ্ধের সময় এ উপজেলার ব্যাংগাড়ি মাঠ, বালিয়াডাঙ্গা মাঠ, মহিষকু-ি, শ্যামপুর, শেরপুর, চিলমারী, ফরাজী বাড়ি ও গোয়াল গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াই হয়। ১৩ নভেম্বর দৌলতপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বহু সংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলার ৬টি স্থানে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১টি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, ১০টি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। | ||
'' | ''বিস্তারিত দেখুন'' দৌলতপুর উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫। | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' খাস মথুরাপুর শেখ পাড়ার বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, দৌলতখালী জামে মসজিদ, আন্দিয়া কালীবাড়ি মন্দির, | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' খাস মথুরাপুর শেখ পাড়ার বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, দৌলতখালী জামে মসজিদ, আন্দিয়া কালীবাড়ি মন্দির, পাঁচ পীরের মাযার । | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪১.৩%; পুরুষ ৪২.৯%, মহিলা ৩৯.৭%। কলেজ ১৪, ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ১, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮৭, কমিউনিটি স্কুল ৩, আনন্দ স্কুল ১১৬, মাদ্রাসা ১২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দৌলতপুর গার্লস কলেজ (১৯৯৮), ফিলিপনগর মরিচা কলেজ (১৯৯৪), প্রাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৫), শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৩), মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৮), দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৩), দৌলতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৭), মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), চিলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), দৌলতপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৯), দৌলতপুর দাখিল মাদ্রাসা (১৯৯৪)। | ||
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সাপ্তাহিক: কুষ্টিয়ার কণ্ঠ; মাসিক: দৌলতপুর বার্তা; সাময়িকী: প্রদীপ, চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, হিসনা, পলাশী, পারাবার। | ''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সাপ্তাহিক: কুষ্টিয়ার কণ্ঠ; মাসিক: দৌলতপুর বার্তা; সাময়িকী: প্রদীপ, চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, হিসনা, পলাশী, পারাবার। | ||
৮৮ নং লাইন: | ৮৮ নং লাইন: | ||
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, লিচু, পেয়ারা, তাল। | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, লিচু, পেয়ারা, তাল। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ২৬৬ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৩৩, কাঁচারাস্তা ৫৪০ কিমি; নৌপথ ৬৫ কিমি। | |||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি। | ||
৯৯ নং লাইন: | ১০১ নং লাইন: | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' তামাক ও তামাকজাত। দ্রব্য, পান, টমেটো, পাট। | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' তামাক ও তামাকজাত। দ্রব্য, পান, টমেটো, পাট। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচীর আওতাধীন। তবে ৫৫.৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.৩%, ট্যাপ ০.৪% এবং অন্যান্য ৩.৩%। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৩৫.৬% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৮.৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স ৬, কমিউনিটি ক্লিনিক ৪৩, ক্লিনিক ১৮। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স ৬, কমিউনিটি ক্লিনিক ৪৩, ক্লিনিক ১৮। | ||
১০৯ নং লাইন: | ১১১ নং লাইন: | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা। [মো. সেলিম রেজা] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা। [মো. সেলিম রেজা] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দৌলতপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দৌলতপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Daulatpur Upazila (Kushtia District)]] | [[en:Daulatpur Upazila (Kushtia District)]] |
১১:৪২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
দৌলতপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া জেলা) আয়তন: ৪৬৮.৭৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫২´ থেকে ২৪°১২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪২´ থেকে ৮৮°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বাঘা এবং লালপুর উপজেলা, দক্ষিণে গাংনী এবং মিরপুর উপজেলা, পূর্বে ভেড়ামারা এবং মিরপুর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
জনসংখ্যা ৪৫৬৩৭২; পুরুষ ২২৭৭১১, মহিলা ২২৮৬৬১। মুসলিম ৪৫৩৫২০, হিন্দু ২৮০৩, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ৪০ এবং অন্যান্য ৭।
জলাশয় গঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা নদী এবং কালুয়া বিল, পঙ্খীর বিল, বোয়ালিয়া বিল ও ফকিরধরা বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন দৌলতপুর থানা গঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ১৪ | ১৫৩ | ২৪১ | ১৯৪৪৬ | ৪৩৬৯২৬ | ৯৭৪ | ৪৭.৮ | ৪১.০ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
১৫.৪১ | ২ | ১৯৪৪৬ | ১২৬২ | ৪৭.৮ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আদাবাড়ীয়া ০৬ | ৯১৫২ | ১৫৪৪৯ | ১৫৭৮৬ | ৪১.৩ | ||||
এরিয়া ১৩ | ৮১২৪ | ১৪৫৪৯ | ১৪১৩৬ | ৪২.৯ | ||||
খলিশাকুণ্ডি ৪৭ | ৫৩২৪ | ১৫৭৯৯ | ১৫৭৫১ | ৪৩.৭ | ||||
চিলমারী ২৭ | ১৩০৫২ | ১০৫৩৭ | ১০৫৫৭ | ৩০.৬ | ||||
দৌলতপুর ৩৩ | ৮১৫৮ | ১৮৩০৬ | ১৮১৪০ | ৪৩.৪ | ||||
পিয়ারপুর ৬৭ | ৭৬২৬ | ১৮৮৫০ | ১৮৪৯৩ | ৪২.৯ | ||||
প্রাগপুর ৮১ | ৮২৩২ | ১৯৫৯৭ | ২০১০৫ | ৪০.৭ | ||||
ফিলিপনগর ৭৪ | ৫৯৫২ | ১৫৯৮৯ | ১৬৯০৭ | ৪১.৪ | ||||
বোয়ালিয়া ২০ | ৬৪৪৩ | ১৪৪৬৯ | ১৪২৬৪ | ৩৮.৬ | ||||
মথুরাপুর ৬১ | ৬৪২২ | ১৯৬৫২ | ২০০২৩ | ৪৩.৭ | ||||
মরিচা ৫৪ | ৯৩৩৬ | ১১২৯২ | ১১৭০৯ | ৩৪.৮ | ||||
রামকৃষ্ণপুর ৮৮ | ১২৩৬০ | ১৩০৯৮ | ১৩০৭০ | ৩৪.৭ | ||||
রেফায়েতপুর ৯৪ | ৭৯৯৩ | ১৫৯৯৯ | ১৫৫৮২ | ৩৯.৪ | ||||
হোগলবাড়ীয়া ৪০ | ৭৬৫৩ | ২৪১২৫ | ২৪১৩৮ | ৪৮.১ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ হোসেনাবাদ রাজবাড়ী, মহিষাকুন্ডি নীলকুঠি, রেফায়েতপুর জমিদার বাড়ি।
মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের সময় এ উপজেলার ব্যাংগাড়ি মাঠ, বালিয়াডাঙ্গা মাঠ, মহিষকু-ি, শ্যামপুর, শেরপুর, চিলমারী, ফরাজী বাড়ি ও গোয়াল গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াই হয়। ১৩ নভেম্বর দৌলতপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বহু সংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলার ৬টি স্থানে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১টি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, ১০টি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন দৌলতপুর উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খাস মথুরাপুর শেখ পাড়ার বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, দৌলতখালী জামে মসজিদ, আন্দিয়া কালীবাড়ি মন্দির, পাঁচ পীরের মাযার ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪১.৩%; পুরুষ ৪২.৯%, মহিলা ৩৯.৭%। কলেজ ১৪, ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ১, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮৭, কমিউনিটি স্কুল ৩, আনন্দ স্কুল ১১৬, মাদ্রাসা ১২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দৌলতপুর গার্লস কলেজ (১৯৯৮), ফিলিপনগর মরিচা কলেজ (১৯৯৪), প্রাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৫), শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৩), মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৮), দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৩), দৌলতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৭), মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), চিলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), দৌলতপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৯), দৌলতপুর দাখিল মাদ্রাসা (১৯৯৪)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সাপ্তাহিক: কুষ্টিয়ার কণ্ঠ; মাসিক: দৌলতপুর বার্তা; সাময়িকী: প্রদীপ, চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, হিসনা, পলাশী, পারাবার।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৮, শিল্পকলা একাডেমী ১, নাট্যদল ৪, সিনেমা হল ৩, ক্লাব ১৫৬, মহিলা সংগঠন ৪, সাহিত্য- সাংস্কৃতিক সংগঠন ২, খেলার মাঠ ৮৫।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬০.০২%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৬৩%, শিল্প ২.২০%, ব্যবসা ১৭.১৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৬৬%, চাকরি ৩.৮২%, নির্মাণ ০.৭১%, ধর্মীয় সেবা ০.১২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩০% এবং অন্যান্য ৬.৩৮%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৫.০৭%, ভূমিহীন ৪৪.৯৩%। শহরে ৫২.৭৮% এবং গ্রামে ৫৫.১৭% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, তামাক, তুলা, আলু, টমেটো, ভুট্টা, পান।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, তিসি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, লিচু, পেয়ারা, তাল।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২৬৬ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৩৩, কাঁচারাস্তা ৫৪০ কিমি; নৌপথ ৬৫ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা বিড়ি কারখানা, দিয়াশলাই কারখানা, সিগারেট কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৬৭, মেলা ৩। আল্লারদরগা হাট, খলিশাকুন্ডি হাট, বাড়াগারদিয়া হাট, প্রাগপুর হাট ও মহিষাকুন্ডি হাট এবং মনসাতলা মহরম মেলা ও মথুরাপুর দরগাবাড়ি মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য তামাক ও তামাকজাত। দ্রব্য, পান, টমেটো, পাট।
বিদ্যুৎ ব্যবহার উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচীর আওতাধীন। তবে ৫৫.৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৩%, ট্যাপ ০.৪% এবং অন্যান্য ৩.৩%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩৫.৬% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৮.৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১০, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমপ্লেক্স ৬, কমিউনিটি ক্লিনিক ৪৩, ক্লিনিক ১৮।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [মো. সেলিম রেজা]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দৌলতপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।