বটিয়াঘাটা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বটিয়াঘাটা উপজেলা''' (খুলনা জেলা)  আয়তন: ২৪৮.৩২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪´ থেকে ২২°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৪´ থেকে ৮৯°৩৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কোতোয়ালী ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং ডুমুরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে দাকোপ, পাইকগাছা ও রামপাল উপজেলা, পূর্বে রামপাল, ফকিরহাট ও রূপসা উপজেলা, পশ্চিমে ডুমুরিয়া এবং পাইকগাছা উপজেলা।
'''বটিয়াঘাটা উপজেলা''' (খুলনা জেলা)  আয়তন: ২৪৮.৩১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪´ থেকে ২২°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৪´ থেকে ৮৯°৩৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কোতোয়ালী ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং ডুমুরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে দাকোপ, পাইকগাছা ও রামপাল উপজেলা, পূর্বে রামপাল, ফকিরহাট ও রূপসা উপজেলা, পশ্চিমে ডুমুরিয়া এবং পাইকগাছা উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ১৪০৫৭৪; পুরুষ ৭২৭১৭, মহিলা ৬৭৮৫৭। মুসলিম ৭৯৩০১, হিন্দু ৬০৮৯৪, বৌদ্ধ ২৮৫, খ্রিস্টান ৯ এবং অন্যান্য ৮৫।
''জনসংখ্যা'' ১৭১৬৯১; পুরুষ ৮৬৬৮৫, মহিলা ৮৫০০৬। মুসলিম ১০৯৫৯১, হিন্দু ৬১৭০৮, বৌদ্ধ ৬ এবং খ্রিস্টান ৩৮৬।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: কাজিবাছা, পশুর, রূপসা, মোংলা, ভদ্রা, সালটা।
''জলাশয়'' প্রধান নদী: কাজিবাছা, পশুর, রূপসা, মোংলা, ভদ্রা, সালটা।
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| - || ৭ || ১৩২  || ১৭৬  || ৭১৯৭  || ১৩৩৩৭৭  || ৫৬৬  || ৬২.৪০  || ৫২.৪৫
| - || ৭ || ১২৭ || ১৭২ || ৭৬৭৫ || ১৬৪০১৬ || ৬৯১ || ৬৫.|| ৫৪.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| colspan="9" | পৌরসভা
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৮.৩০  || ২ || ৭১৯৭  || ৮৬৭  || ৬২.৪০
| ৮.৩১ || ২ || ৭৬৭৫ || ৯২৪ || ৬৫.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:
| পুরুষ  || মহিলা
| পুরুষ  || মহিলা
|-  
|-  
| আমিরপুর ১১ || ৫১৭৬  || ৭৩০৬  || ৬৭২৯  || ৪৮.৬৭
| আমিরপুর ১১ || ৪৫৯৩ || ৮২৫৪ || ৮০২৮ || ৪৯.
|-
|-
| গঙ্গারামপুর ৫৯ || ৯২৭৩  || ৮৬৬৫  || ৮৪০০  || ৫৬.৮৭
| গঙ্গারামপুর ৫৯ || ৯২৭২ || ৯০০৪ || ৯১৬৪ || ৬২.
|-
|-
| জলমা ৭১ || ১৩০১১  || ১৭৭৫২  || ১৬২৫৯  || ৫৩.৩৫
| জলমা ৭১ || ১২৯৩৪ || ৩০৬৩৮ || ২৮৩৮৭ || ৫৬.
|-
|-
| বটিয়াঘাটা ৩৫ || ৮৫৩৪  || ৯৯২৭  || ৯০২৫  || ৬১.৭০
| বটিয়াঘাটা ৩৫ || ৮৫৩৫ || ৯৬৪৪ || ৯৮১৬ || ৬৩.
|-
|-
| বালিয়াডাঙ্গা ২৩ || ৭৫৫৫  || ৮১৩৪  || ৭৫৩০  || ৫০.২৫
| বালিয়াডাঙ্গা ২৩ || ৪৮৩৯ || ৮৪২৪ || ৮৩৮৯ || ৪৫.
|-
|-
| ভান্ডারকোট ৪৭ || ৬৯৬০  || ৭৯০৭  || ৭৩৪২  || ৫৬.৭১
| ভাণ্ডারকোট ৪৭ || ৬৯৬৬ || ৭৮৮৮ || ৭৯৪৬ || ৪৮.
|-
|-
| সুরখালী ৮৩ || ১০৯৮৪  || ১৩০২৬  || ১২৫৭২  || ৪৪.৭২
| সুরখালী ৮৩ || ১০৯৮৬ || ১২৮৩৩ || ১৩২৭৬ || ৫১.
|}
|}


''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:BatiaghataUpazila.jpg|thumb|right|400px]]
[[Image:BatiaghataUpazila.jpg|thumb|right|400px]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে উপজেলা সদরের কাছে বাদামতলী গ্রামে পাকবাহিনী ৩ জন গ্রামবাসিকে হত্যা করে। পাকবাহিনী জলসা হাইস্কুলে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। ২৯ নভেম্বর  বারোআড়িয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের সম্মুখ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর  [[আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল|বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন]] মংলা বন্দর থেকে খুলনা আসার পথে পাকবাহিনীর বিমান হামলায় উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের নিকটে কাজিবাছা নদীতে শহীদ হন।
''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালে উপজেলা সদরের কাছে বাদামতলী গ্রামে পাকবাহিনী ৩ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। পাকবাহিনী জলসা হাইস্কুলে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। ২৯ নভেম্বর  বারোআড়িয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের সম্মুখযুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর [[আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল|বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন]] মংলা বন্দর থেকে খুলনা আসার পথে পাকবাহিনীর বিমান হামলায় উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের নিকটে কাজিবাছা নদীতে শহীদ হন। উপজেলার গল্লামারীতে ১টি বধ্যভূমি এবং ১টি স্মৃতিসৌধ (৭১ এর স্মৃতিসৌধ) রয়েছে।


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' বধ্যভূমি ১ (গল্লামারী); স্মৃতিসৌধ ১ (৭১ এর স্মৃতিসৌধ)।
''বিস্তারিত দেখুন'' বটিয়াঘাটা উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৬।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৩, মন্দির ৮৪, গির্জা ১, প্যাগাডো ১।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৩, মন্দির ৮৪, গির্জা ১, প্যাগাডো ১।  


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৩.১৮%; পুরুষ ৫৮.৮৪%, মহিলা ৪৭.২১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯১), বটিয়াঘাটা কলেজ (১৯৭৩), শহীদ আবুল কাসেম কলেজ (১৯৯৫), বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), বটিয়াঘাটা হেড কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭০), ফুলবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫৪.%; পুরুষ ৫৯.%, মহিলা ৫০.%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯১), বটিয়াঘাটা কলেজ (১৯৭৩), শহীদ আবুল কাসেম কলেজ (১৯৯৫), বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), বটিয়াঘাটা হেড কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭০), ফুলবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।


''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' মাসিক: উপজেলা দর্পণ (অবলুপ্ত), অনিয়মিত: রশ্মি, অন্বেষা।
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' মাসিক: উপজেলা দর্পণ (অবলুপ্ত), অনিয়মিত: রশ্মি, অন্বেষা।
৭৬ নং লাইন: ৭৬ নং লাইন:
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১০০০ (চিংড়ি ঘেরসহ), গবাদিপশু ১৮৫, হাঁস-মুরগি ৮৫।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১০০০ (চিংড়ি ঘেরসহ), গবাদিপশু ১৮৫, হাঁস-মুরগি ৮৫।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৯৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৯৬ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৯৬ কিমি; নৌপথ ১৮৯ নটিক্যাল মাইল।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৮৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৩৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৪৩.৪ কিমি; নৌপথ ১৬ কিমি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
৮৮ নং লাইন: ৮৮ নং লাইন:
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  গলদা ও বাগদা চিংড়ি।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  গলদা ও বাগদা চিংড়ি।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার''  এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে .৮৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার''  এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৯.% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯০.৭%, পুকুর ৩.৪৮%, ট্যাপ .০৯% এবং অন্যান্য .৭৩%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬.%, ট্যাপ .% এবং অন্যান্য .%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৫২.৩৭% (শহরে ৮৫.৭৩% এবং গ্রামে ৫০.৫২%)  পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪২.৩৩% (শহরে ১০.১৫% এবং গ্রামে ৪৪.১২%পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .২৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৮৭.% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং .% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' হাসপাতাল ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ৬, পশু হাসপাতাল ১।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' হাসপাতাল ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ৬, পশু হাসপাতাল ১।
৯৮ নং লাইন: ৯৮ নং লাইন:
''এনজিও'' ব্র্যাক, সিএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন।  [শাহ সিদ্দিক]
''এনজিও'' ব্র্যাক, সিএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন।  [শাহ সিদ্দিক]


'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বটিয়াঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বটিয়াঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।




[[en:Batiaghata Upazila]]
[[en:Batiaghata Upazila]]

১০:১০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বটিয়াঘাটা উপজেলা (খুলনা জেলা) আয়তন: ২৪৮.৩১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪´ থেকে ২২°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৪´ থেকে ৮৯°৩৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কোতোয়ালী ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং ডুমুরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে দাকোপ, পাইকগাছা ও রামপাল উপজেলা, পূর্বে রামপাল, ফকিরহাট ও রূপসা উপজেলা, পশ্চিমে ডুমুরিয়া এবং পাইকগাছা উপজেলা।

জনসংখ্যা ১৭১৬৯১; পুরুষ ৮৬৬৮৫, মহিলা ৮৫০০৬। মুসলিম ১০৯৫৯১, হিন্দু ৬১৭০৮, বৌদ্ধ ৬ এবং খ্রিস্টান ৩৮৬।

জলাশয় প্রধান নদী: কাজিবাছা, পশুর, রূপসা, মোংলা, ভদ্রা, সালটা।

প্রশাসন বটিয়াঘাটা থানা গঠিত হয় ১৮৯২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ১২৭ ১৭২ ৭৬৭৫ ১৬৪০১৬ ৬৯১ ৬৫.৭ ৫৪.৪
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৮.৩১ ৭৬৭৫ ৯২৪ ৬৫.৭
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আমিরপুর ১১ ৪৫৯৩ ৮২৫৪ ৮০২৮ ৪৯.৪
গঙ্গারামপুর ৫৯ ৯২৭২ ৯০০৪ ৯১৬৪ ৬২.৪
জলমা ৭১ ১২৯৩৪ ৩০৬৩৮ ২৮৩৮৭ ৫৬.৯
বটিয়াঘাটা ৩৫ ৮৫৩৫ ৯৬৪৪ ৯৮১৬ ৬৩.৮
বালিয়াডাঙ্গা ২৩ ৪৮৩৯ ৮৪২৪ ৮৩৮৯ ৪৫.৯
ভাণ্ডারকোট ৪৭ ৬৯৬৬ ৭৮৮৮ ৭৯৪৬ ৪৮.৩
সুরখালী ৮৩ ১০৯৮৬ ১২৮৩৩ ১৩২৭৬ ৫১.০

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে উপজেলা সদরের কাছে বাদামতলী গ্রামে পাকবাহিনী ৩ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। পাকবাহিনী জলসা হাইস্কুলে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন। ২৯ নভেম্বর বারোআড়িয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের সম্মুখযুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১০ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন মংলা বন্দর থেকে খুলনা আসার পথে পাকবাহিনীর বিমান হামলায় উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের নিকটে কাজিবাছা নদীতে শহীদ হন। উপজেলার গল্লামারীতে ১টি বধ্যভূমি এবং ১টি স্মৃতিসৌধ (৭১ এর স্মৃতিসৌধ) রয়েছে।

বিস্তারিত দেখুন বটিয়াঘাটা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৬।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১২৩, মন্দির ৮৪, গির্জা ১, প্যাগাডো ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৪.৯%; পুরুষ ৫৯.০%, মহিলা ৫০.৭%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯১), বটিয়াঘাটা কলেজ (১৯৭৩), শহীদ আবুল কাসেম কলেজ (১৯৯৫), বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), বটিয়াঘাটা হেড কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৭০), ফুলবাড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী মাসিক: উপজেলা দর্পণ (অবলুপ্ত), অনিয়মিত: রশ্মি, অন্বেষা।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, ক্লাব ২০, মহিলা সংগঠন ১।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৭.৪৫%, অকৃষি শ্রমিক ৮.৭২%, ব্যবসা ১৩.২১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৬৩%, চাকরি ৬.৪৫%, নির্মাণ ১.৬৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৬% এবং অন্যান্য ৭.৪৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫২.৪৬%, ভূমিহীন ৪৭.৫৪%। শহরে ৬২.১৯% এবং গ্রামে ৫১.৯২% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, তৈলবীজ, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পাট।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, নারিকেল, সুপারি।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১০০০ (চিংড়ি ঘেরসহ), গবাদিপশু ১৮৫, হাঁস-মুরগি ৮৫।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৮৯ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৩৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৪৩.৪ কিমি; নৌপথ ১৬ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, বরফকল, করাতকল, ইটভাটা, বিড়ি ফ্যাক্টরি, জুতা তৈরির কারখানা।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৫০। হাটবাড়ি হাট, বারোআড়িয়া বাজার, কুটির হাট, কৈয়া বাজার, বাইনতলা বাজার, জয়পুর বাজার, সাদাল বাজার, কাতিয়ানাংলা বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  গলদা ও বাগদা চিংড়ি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৯.৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৪%, ট্যাপ ০.১% এবং অন্যান্য ৩.৫%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৮৭.৪% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৯.৭% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২.৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ৬, পশু হাসপাতাল ১।

এনজিও ব্র্যাক, সিএসএস, ওয়ার্ল্ড ভিশন।  [শাহ সিদ্দিক]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বটিয়াঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।