মোল্লাহাট উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''মোল্লাহাট উপজেলা''' ([[বাগেরহাট জেলা|বাগেরহাট জেলা]])  আয়তন: ১৮৭.৮৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলা, পূর্বে চিতলমারী, টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে তেরখাদা ও রূপসা উপজেলা।
'''মোল্লাহাট উপজেলা''' ([[বাগেরহাট জেলা|বাগেরহাট জেলা]])  আয়তন: ১৮৭.৮৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলা, পূর্বে চিতলমারী, টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে তেরখাদা ও রূপসা উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ১২৬২১৮; পুরুষ ৬৪৭৩১, মহিলা ৬১৪৮৭। মুসলিম ৯৮৯৭০, হিন্দু ২৭১৫১, বৌদ্ধ ৬৭ এবং অন্যান্য ৩০।
''জনসংখ্যা'' ১৩০৮৭৮; পুরুষ ৬৫২০৫, মহিলা ৬৫৬৭৩। মুসলিম ১০৪৩৩৫, হিন্দু ২৬৩০২, খ্রিস্টান ৮৯ এবং অন্যান্য ১৫২।


''জলাশয়'' মধুমতি, চিত্রা, নালুয়া ও আঠারোবাঁকী নদী এবং কেন্দুয়ার বিল, কোদালিয়ার বিল ও কাটাগাঙ উল্লেখযোগ্য।
''জলাশয়'' মধুমতি, চিত্রা, নালুয়া ও আঠারোবাঁকী নদী এবং কেন্দুয়ার বিল, কোদালিয়ার বিল ও কাটাগাঙ উল্লেখযোগ্য।
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
| শহর  || গ্রাম  || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম  || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| - || ৭ || ৫৯ || ১০২  || ১১৭১২  || ১১৪৫০৬  || ৬৭২  || ৫৩.৩  || ৪৮.
| - || ৭ || ৫৯ || ১০৩ || ১২৮৭৪ || ১১৮০০৪ || ৬৯৭ || ৫৫.|| ৪৯.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৮.৭৯ || ৮ || ১১৭১২  || ১৩৩২  || ৫৩.
| ৮.৭৯ || ৮ || ১২৮৭৪ || ১৪৬৫ || ৫৫.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:
| পুরুষ  || মহিলা
| পুরুষ  || মহিলা
|-  
|-  
| আটজুরি ০৯ || ৬৬৯১  || ১০৪৬৫ || ১০৬৪৭  || ৫০.৬২
| আটজুরি ০৯ || ৬৬৯০ || ১০৭৫০ || ১০৮৩৬ || ৫৩.
|-
|-
| উদয়পুর ৯৫ || ৫৬৬৭  || ১১১৭৮ || ১০৭৬৬  || ৫৩.৭৩
| উদয়পুর ৯৫ || ৬৪৪২ || ১১৫১৯ || ১১৪৭২ || ৫২.
|-
|-
| কুলিয়া ৮৫ || ৪৩০৯  || ৮৮৩৪ || ৮২৬৭  || ৪৪.৮০
| কুলিয়া ৮৫ || ৪৩০৮ || ৮৯২৬ || ৯১৪৭ || ৪৫.
|-
|-
| কোদালিয়া ৭৬ || ৭৬১৯ || ৯৩৯০ || ৯০২৩  || ৪৭.৪৫
| কোদালিয়া ৭৬ || ৭৬১৯ || ৯৭২৫ || ৯৭২৬ || ৪৭.
|-
|-
| গাওলা ৪৭ || ১০১৩৮ || ৭৪৫১ || ৬৮৩৪  || ৬১.১০
| গাওলা ৪৭ || ১০১৩৮ || ৭৫৩৯ || ৭৪৩০ || ৫৫.
|-
|-
| গাঙনী ৩৮ || ৩৮৩৩ || ৯১৯৬ || ৮৩৮৫  || ৪১.৫২
| গাঙনী ৩৮ || ৩৮৩৩ || ৮৭১৫ || ৮৯৪৮ || ৪৪.
|-
|-
| চুনখোলা ২৮ || ৫৪১৬  || ৮২১৭ || ৭৫৬৫  || ৪১.৭৭
| চুনখোলা ২৮ || ৫৪১৭ || ৮০৩১ || ৮১১৪ || ৪৯.
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:MollahatUpazila.jpg|thumb|400px]]
[[Image:MollahatUpazila.jpg|thumb|400px]]
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' এক গম্বুজ মসজিদ (কুলিয়া ইউনিয়ন)।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' এক গম্বুজ মসজিদ (কুলিয়া ইউনিয়ন)।


''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি''  ১৯৪৩-৪৪ সালে কালোবাজারি ও অন্যান্য কারণে জাল তৈরির সুতা বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং এই কৃত্রিম সংকটের ফলে মৎস্যজীবীরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় কৃষক সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মোল্লাহাটের চাকুলিয়ায় মুক্তিবাহিনীদের সঙ্গে পাকবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ প্রায় দুই শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়।
''ঐতিহাসিক ঘটনা'' ১৯৪৩-৪৪ সালে কালোবাজারি ও অন্যান্য কারণে জাল তৈরির সুতা বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং এই কৃত্রিম সংকটের ফলে মৎস্যজীবীরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় কৃষক সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে।  


''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ১ (চাকুলিয়া)।
''মুক্তিযুদ্ধ'' ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মোল্লাহাটের চাকুলিয়ায় মুক্তিবাহিনীদের সঙ্গে পাকবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ প্রায় দুই শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলার চাকুলিয়ায় ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ২৬৭, মন্দির ৭২, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: উত্তর কুলিয়া এক গম্বুজ মসজিদ, উদয়পুর জামে মসজিদ, মোল্লাহাট কোর্ট মসজিদ, উদয়পুর আড়ুয়া কান্দি বায়তুল আমান জামে মসজিদ, দত্তপাড়া কালী মন্দির, দক্ষিণ আমবাড়ি কালী মন্দির, মাটিয়ার গাজী মন্দির।
''বিস্তারিত দেখুন'' মোল্লাহাট উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৮।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৮.%; পুরুষ ৫১.%, মহিলা ৪৬.%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, প্রাথমিক বিদ্যলিয় ১০২, মাদ্রাসা ১০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৮), সাচিয়াদহ চুনখোলা এম বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮), মাদারতলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৮), উদয়পুর জামিয়া হালিমিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা (১৯২০)।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ২৬৭, মন্দির ৭২, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: উত্তর কুলিয়া এক গম্বুজ মসজিদ, উদয়পুর জামে মসজিদ, মোল্লাহাট কোর্ট মসজিদ, উদয়পুর আড়–য়া কান্দি বায়তুল আমান জামে মসজিদ, দত্তপাড়া কালী মন্দির, দক্ষিণ আমবাড়ি কালী মন্দির, মাটিয়ার গাজী মন্দির।
 
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৫০.%; পুরুষ ৫০.%, মহিলা ৪৯.%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, প্রাথমিক বিদ্যলিয় ১০২, মাদ্রাসা ১০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৮), সাচিয়াদহ চুনখোলা এম বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮), মাদারতলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৮), উদয়পুর জামিয়া হালিমিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা (১৯২০)।


''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সাপ্তাহিক: মোল্লাহাট বার্তা (অবলুপ্ত)।
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সাপ্তাহিক: মোল্লাহাট বার্তা (অবলুপ্ত)।
৭৭ নং লাইন: ৭৯ নং লাইন:
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' চিংড়ি ঘের ১০০০০, হাঁস-মুরগি ১৫৯।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' চিংড়ি ঘের ১০০০০, হাঁস-মুরগি ১৫৯।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৪৯.৪৮ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১২ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৮৯.৫৯ কিমি; নৌপথ ১১.৩৪ নটিক্যাল মাইল।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৮৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩১১ কিমি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।
৮৯ নং লাইন: ৯১ নং লাইন:
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  পান, আখ, খেজুর গুড়, নারিকেল, সুপারি, কলা, পেঁপে, মাছ।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  পান, আখ, খেজুর গুড়, নারিকেল, সুপারি, কলা, পেঁপে, মাছ।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩০.৮৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৯.% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.৭৮%, পুকুর ২.৫০%, ট্যাপ ১.২৪% এবং অন্যান্য .৪৮%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.%, ট্যাপ ২.% এবং অন্যান্য .%।  


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২২.৭৮% (গ্রামে ২৩.৭৪% এবং শহরে ১৩.৩০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬৭.৪৭% (গ্রামে ৬৫.৯২% এবং শহরে ৮২.৬৬%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে .৭৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৮৯.% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং .% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে .% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ১।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ১।
৯৯ নং লাইন: ১০১ নং লাইন:
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কেয়ার।  [তাপস কুমার বিশ্বাস]
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কেয়ার।  [তাপস কুমার বিশ্বাস]


'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মোল্লাহাট উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মোল্লাহাট উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Mollahat Upazila]]
[[en:Mollahat Upazila]]

১৬:৪৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মোল্লাহাট উপজেলা (বাগেরহাট জেলা)  আয়তন: ১৮৭.৮৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৮´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪০´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলা, পূর্বে চিতলমারী, টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে তেরখাদা ও রূপসা উপজেলা।

জনসংখ্যা ১৩০৮৭৮; পুরুষ ৬৫২০৫, মহিলা ৬৫৬৭৩। মুসলিম ১০৪৩৩৫, হিন্দু ২৬৩০২, খ্রিস্টান ৮৯ এবং অন্যান্য ১৫২।

জলাশয় মধুমতি, চিত্রা, নালুয়া ও আঠারোবাঁকী নদী এবং কেন্দুয়ার বিল, কোদালিয়ার বিল ও কাটাগাঙ উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন মোল্লাহাট থানা গঠিত হয় ১৮৬৭ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ২ জুলাই ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ৫৯ ১০৩ ১২৮৭৪ ১১৮০০৪ ৬৯৭ ৫৫.১ ৪৯.৫
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৮.৭৯ ১২৮৭৪ ১৪৬৫ ৫৫.১
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আটজুরি ০৯ ৬৬৯০ ১০৭৫০ ১০৮৩৬ ৫৩.৩
উদয়পুর ৯৫ ৬৪৪২ ১১৫১৯ ১১৪৭২ ৫২.৬
কুলিয়া ৮৫ ৪৩০৮ ৮৯২৬ ৯১৪৭ ৪৫.৯
কোদালিয়া ৭৬ ৭৬১৯ ৯৭২৫ ৯৭২৬ ৪৭.৪
গাওলা ৪৭ ১০১৩৮ ৭৫৩৯ ৭৪৩০ ৫৫.৭
গাঙনী ৩৮ ৩৮৩৩ ৮৭১৫ ৮৯৪৮ ৪৪.৮
চুনখোলা ২৮ ৫৪১৭ ৮০৩১ ৮১১৪ ৪৯.৯

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এক গম্বুজ মসজিদ (কুলিয়া ইউনিয়ন)।

ঐতিহাসিক ঘটনা ১৯৪৩-৪৪ সালে কালোবাজারি ও অন্যান্য কারণে জাল তৈরির সুতা বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং এই কৃত্রিম সংকটের ফলে মৎস্যজীবীরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় কৃষক সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মোল্লাহাটের চাকুলিয়ায় মুক্তিবাহিনীদের সঙ্গে পাকবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ প্রায় দুই শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলার চাকুলিয়ায় ১টি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।

বিস্তারিত দেখুন মোল্লাহাট উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৮।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৬৭, মন্দির ৭২, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: উত্তর কুলিয়া এক গম্বুজ মসজিদ, উদয়পুর জামে মসজিদ, মোল্লাহাট কোর্ট মসজিদ, উদয়পুর আড়–য়া কান্দি বায়তুল আমান জামে মসজিদ, দত্তপাড়া কালী মন্দির, দক্ষিণ আমবাড়ি কালী মন্দির, মাটিয়ার গাজী মন্দির।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫০.০%; পুরুষ ৫০.৭%, মহিলা ৪৯.৩%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১, প্রাথমিক বিদ্যলিয় ১০২, মাদ্রাসা ১০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৮), সাচিয়াদহ চুনখোলা এম বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮), মাদারতলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৮), উদয়পুর জামিয়া হালিমিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা (১৯২০)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সাপ্তাহিক: মোল্লাহাট বার্তা (অবলুপ্ত)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৭, খেলার মাঠ ২০।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.১৭%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৮%, শিল্প ০.৮৩%, ব্যবসা ১০.৩৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.২৪%, চাকরি ৬.৭৭%, নির্মাণ ০.৫৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৪০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫৯% এবং অন্যান্য ৫.৪৫%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৫৮%, ভূমিহীন ৩৫.৪২%। শহরে ৪৫.৬২% এবং গ্রামে ৬৬.৫১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, গম, তিল, পান, ডাল, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলূপ্তপ্রায় ফসলাদি  তামাক।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, সুপারি।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার চিংড়ি ঘের ১০০০০, হাঁস-মুরগি ১৫৯।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৮৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩১১ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি, বিড়ি কারখানা, স’ মিল, রাইস মিল।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, বেতের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা, খেজুর পাতার পাটি।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩৩, মেলা ৪। গড়কা হাট, নগরকান্দি হাট, নাশুয়াখালি হাট, কোদালিয়া হাট ও চাঁদের হাট এবং পদ্মডাঙ্গার কালী পূজার মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  পান, আখ, খেজুর গুড়, নারিকেল, সুপারি, কলা, পেঁপে, মাছ।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৯.৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৫%, ট্যাপ ২.৭% এবং অন্যান্য ২.৮%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৮৯.১% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৯.৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ১.৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, ক্লিনিক ১।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, কেয়ার।  [তাপস কুমার বিশ্বাস]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মোল্লাহাট উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।