মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("'''মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড''' (এমএফএল) মাইডাস (মাইক্রো ই..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
এই অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঝুঁকি ও আমানত বিবেচনায় রেখে সাবধানতা সহকারে ভালো গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ বিতরণের প্রয়াস চালায়। তাছাড়া, পণ্য বহুমুখীকরণ, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার, শ্রেণিকৃত ঋণের হার ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা, ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | এই অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঝুঁকি ও আমানত বিবেচনায় রেখে সাবধানতা সহকারে ভালো গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ বিতরণের প্রয়াস চালায়। তাছাড়া, পণ্য বহুমুখীকরণ, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার, শ্রেণিকৃত ঋণের হার ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা, ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | ||
'''উৎস''' ''ব্যাংকিং অ্যালম্যানাক'' ২০১৬। ঢাকা: শিক্ষা বিচিত্রা, ডিসেম্বর ২০১৬; আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিবেদন ২০১৮- | '''উৎস''' ''ব্যাংকিং অ্যালম্যানাক'' ২০১৬। ঢাকা: শিক্ষা বিচিত্রা, ডিসেম্বর ২০১৬; '''আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিবেদন ২০১৮-১৯'''। ঢাকা: ''আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ'', জুন ২০২০; মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ওয়েবসাইট। |
০৭:৫৭, ১৪ মে ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড (এমএফএল) মাইডাস (মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস) নামক সংস্থার একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি ‘কোম্পানি আইন ১৯৯৪’এর আওতায় ১৯৯৫ সালের ১৬ মে তারিখে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়, এবং ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩’এর অধীন ১৯৯৯ সালের ১১ অক্টোবরে অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স অর্জন করে। এমএফএল ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি হতে তার কার্যক্রম শুরু করে, এবং যথাক্রমে অক্টোবর ২০০২ ও জুলাই ২০০৪-এ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড-এ শেয়ার লেনদেনের জন্য তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকাস্থ ধানমন্ডির প্রধান কার্যালয়সহ দেশব্যাপী ১৬টি শাখার মাধ্যমে তার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে ২ বিলিয়ন টাকা ও ১,৩৫৬ মিলিয়ন টাকা।
২০১৯ সালে সমগ্র অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের আমানতের হিস্যা ছিল ১.৪ শতাংশ; আর ঋণ ও অগ্রিমের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ছিল ১.৫ শতাংশ। সে বছর সংস্থাটির আমানত ১৬.৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৬,২২২.০০ মিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে ঋণ ও অগ্রিম ৭.৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয় ৯,৫১৯.৪০ মিলিয়ন টাকা। এ সময়ে ঋণ ও আমানতের সুদহারের গড় ব্যবধান ছিল ৩.৬০ শতাংশ।
২০১৯ সালের শেষে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিমের খাতওয়ারি পরিস্থিতি ছিল নিম্নরূপ: (ক) ব্যবসা-বাণিজ্য ১৯.৬%; (খ) শিল্প ৪২.৮০%; (গ) নির্মাণ ০.৩%; (ঘ) কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন ১.৩০%; (ঙ) পরিবহন ও যোগাযোগ ০.২০%; (চ) অন্যান্য ঋণ ৩৫.৮০%। প্রতিষ্ঠানটির ক্রমপুঞ্জিভূত শিল্প ঋণ বছর শেষে দাঁড়ায় মোট ঋণের ২৮ শতাংশ। অন্য দিকে ক্ষুদ্র ঋণের অনুপাত হয় মোট ঋণের ২৬.৮০ শতাংশ। ২০১৯ সালে মোট শিল্প ঋণের স্থিতির মধ্যে বৃহৎ শিল্পের অংশ ছিল ৪৫.১০ শতাংশ; আর এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ) খাতের অংশ ছিল ৪৬.১০ শতাংশ। একই বছর সবুজ অর্থায়নের (গ্রিন ব্যাংকিং) আওতায় বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ছিল ৪৯৫.৬০ মিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে বছরব্যাপী নারী উদ্যোক্তারা ঋণ পেয়েছিলেন ৮০.১০ মিলিয়ন টাকা। সে বছর সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রিসপন্সিবিলিটি) খাতে ব্যয় হয়েছিল মাত্র ০.০২ মিলিয়ন টাকা।
এই অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঝুঁকি ও আমানত বিবেচনায় রেখে সাবধানতা সহকারে ভালো গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ বিতরণের প্রয়াস চালায়। তাছাড়া, পণ্য বহুমুখীকরণ, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার, শ্রেণিকৃত ঋণের হার ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা, ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ]
উৎস ব্যাংকিং অ্যালম্যানাক ২০১৬। ঢাকা: শিক্ষা বিচিত্রা, ডিসেম্বর ২০১৬; আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিবেদন ২০১৮-১৯। ঢাকা: আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জুন ২০২০; মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ওয়েবসাইট।