উল্টোঠুঁটি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:


[[Image:PiedAvocet.jpg|thumb|400px|right|উল্টোঠুঁটি]]
[[Image:PiedAvocet.jpg|thumb|400px|right|উল্টোঠুঁটি]]
পা নীলাভ ও বেশ লম্বাটে যা দিয়ে কাদায় হাটতে সুবিধা হয়। শীতকালে বাংলাদেশের বড় বড় নদীর তীর ও উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝে মাঝে এদের দেখা যায়। ভাটার সময় নদীর মোহনা, প্লাবনভূমি ও চরাঞ্চলের অগভীর পানিতে চিংড়ি, ঝিনুক ও নানা পোঁকামাকড় খুঁজে বেড়ায় এবং জোয়ারের সময় নদীর পাড় কিংবা উপকূলের কর্দমাক্ত স্থানে বিশ্রাম নেয়। অগায়ক পাখি হলেও উচ্চস্বরে ক্লুইথ (Klooit) করে ডাক দেয়। তবে উড়াল দেওয়ার সময় অনবরত কুইট কুইট কুইট (Kweet...) স্বরে ডাকতে থাকে। এরা ইউরোপের উষ্ণাঞ্চল (temperate)  এবং পশ্চিম ও মধ্যএশিয়ায় প্রজনন করে। শীতে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সরে পড়ে তবে কিছু পাখি ইউরোপের অপেক্ষাকৃত উষ্ণাঞ্চলে থেকে যায়। সাধারণত ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ালেও শুধু প্রজনন ঋতুতে জোড়া বাঁধে এবং অনেক পাখি কাছাকাছি বাসা বানায়। এপ্রিল-আগস্ট মাসে প্রজনন করে, এসময় অগভীর জলাশয়ের ধারে, বালিতে অথবা হালকা তৃণাচ্ছাদিত জায়গায় খড়কুটো জড়ো করে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি ২-৩টি হালকা বাদামি রঙের ডিম পাড়ে; ২৩-২৫ দিনের মেধ্য ডিম ফুটে এভং ৫-৬ সপ্তাহে ছানারা বাসা ছেড়ে যায়। যদিও বাসা ছাড়ার পর আরও কিছুদিন বাবা-মার সান্নিধ্যে থাকে। বাসা বানানো, ডিমে তা দেওয়া এবং বাচ্ছা লালন-পালন পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েই করে। গ্রীষ্মকালে প্রথমে অপ্রাপ্ত বয়স্করা দল বাঁধে পরে প্রাপ্ত বয়স্করা বাচ্ছাসহকারে এসে যোগ দেয়। দু’বছর বয়স হলে প্রজনন শুরু হয়; সাধারণত যেখানে বেড়ে উঠে সেখান থেকে ভিন্ন কোনো স্থানে প্রথম প্রজনন করে। এ পাখি Royal Society for Protection of Birds (RSPB) নামক পৃথিবীর বিখ্যাত পাখি সংরক্ষণ সংস্থার লোগো হিসেবে ব্যবহূত হয়।  [সুপ্রিয় চাকমা]
পা নীলাভ ও বেশ লম্বাটে যা দিয়ে কাদায় হাটতে সুবিধা হয়। শীতকালে বাংলাদেশের বড় বড় নদীর তীর ও উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝে মাঝে এদের দেখা যায়। ভাটার সময় নদীর মোহনা, প্লাবনভূমি ও চরাঞ্চলের অগভীর পানিতে চিংড়ি, ঝিনুক ও নানা পোঁকামাকড় খুঁজে বেড়ায় এবং জোয়ারের সময় নদীর পাড় কিংবা উপকূলের কর্দমাক্ত স্থানে বিশ্রাম নেয়। অগায়ক পাখি হলেও উচ্চস্বরে ক্লুইথ (Klooit) করে ডাক দেয়। তবে উড়াল দেওয়ার সময় অনবরত কুইট কুইট কুইট (Kweet...) স্বরে ডাকতে থাকে। এরা ইউরোপের উষ্ণাঞ্চল (temperate)  এবং পশ্চিম ও মধ্যএশিয়ায় প্রজনন করে। শীতে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সরে পড়ে তবে কিছু পাখি ইউরোপের অপেক্ষাকৃত উষ্ণাঞ্চলে থেকে যায়। সাধারণত ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ালেও শুধু প্রজনন ঋতুতে জোড়া বাঁধে এবং অনেক পাখি কাছাকাছি বাসা বানায়। এপ্রিল-আগস্ট মাসে প্রজনন করে, এসময় অগভীর জলাশয়ের ধারে, বালিতে অথবা হালকা তৃণাচ্ছাদিত জায়গায় খড়কুটো জড়ো করে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি ২-৩টি হালকা বাদামি রঙের ডিম পাড়ে; ২৩-২৫ দিনের মেধ্য ডিম ফুটে এভং ৫-৬ সপ্তাহে ছানারা বাসা ছেড়ে যায়। যদিও বাসা ছাড়ার পর আরও কিছুদিন বাবা-মার সান্নিধ্যে থাকে। বাসা বানানো, ডিমে তা দেওয়া এবং বাচ্ছা লালন-পালন পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েই করে। গ্রীষ্মকালে প্রথমে অপ্রাপ্ত বয়স্করা দল বাঁধে পরে প্রাপ্ত বয়স্করা বাচ্ছাসহকারে এসে যোগ দেয়। দু’বছর বয়স হলে প্রজনন শুরু হয়; সাধারণত যেখানে বেড়ে উঠে সেখান থেকে ভিন্ন কোনো স্থানে প্রথম প্রজনন করে। এ পাখি Royal Society for Protection of Birds (RSPB) নামক পৃথিবীর বিখ্যাত পাখি সংরক্ষণ সংস্থার লোগো হিসেবে ব্যবহূত হয়।  [সুপ্রিয় চাকমা]


[[en:Pied Avocet]]
[[en:Pied Avocet]]

০৪:৪২, ৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

উল্টোঠুঁটি (Pied Avocet)  Recurvirostridae পরিবারের মাঝারি আকারের (৪৬ সে.মি.) কাদাচর (wader) পরিযায়ী পাখি। দেখতে সাদাকালো এবং সরু, কালো লম্বাঠোঁট উপরের দিকে বাঁকানো; স্ত্রী পাখির ঠোঁট সামান্য ছোট হলেও পুরুষ পাখির চেয়ে বেশি বাঁকানো হয়। সাদাকালো হলেও দেহে বরফ-সাদা রঙের প্রাধান্য বেশি, তবে মাথার উপর অংশ, এবং ডানায় তিনটি চওড়া কালো রেখা আছে যা উড়ন্ত পাখির ডানার গোড়ায়, মাঝবরাবর এবং আগায় দেখা যায়। তবে নিচ থেকে উড়ন্ত পাখির ডানার আগা ছাড়া সম্পূর্ণ পাখিকে সাদা বলে মনে হয়। কমবয়সী পাখির কালো অংশগুলো বাদামি হয় এবং সাদা অংশগুলোর উপর কখনও কখনও ধুসর ছোপ দেখা যায়।

উল্টোঠুঁটি

পা নীলাভ ও বেশ লম্বাটে যা দিয়ে কাদায় হাটতে সুবিধা হয়। শীতকালে বাংলাদেশের বড় বড় নদীর তীর ও উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝে মাঝে এদের দেখা যায়। ভাটার সময় নদীর মোহনা, প্লাবনভূমি ও চরাঞ্চলের অগভীর পানিতে চিংড়ি, ঝিনুক ও নানা পোঁকামাকড় খুঁজে বেড়ায় এবং জোয়ারের সময় নদীর পাড় কিংবা উপকূলের কর্দমাক্ত স্থানে বিশ্রাম নেয়। অগায়ক পাখি হলেও উচ্চস্বরে ক্লুইথ (Klooit) করে ডাক দেয়। তবে উড়াল দেওয়ার সময় অনবরত কুইট কুইট কুইট (Kweet...) স্বরে ডাকতে থাকে। এরা ইউরোপের উষ্ণাঞ্চল (temperate)  এবং পশ্চিম ও মধ্যএশিয়ায় প্রজনন করে। শীতে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সরে পড়ে তবে কিছু পাখি ইউরোপের অপেক্ষাকৃত উষ্ণাঞ্চলে থেকে যায়। সাধারণত ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ালেও শুধু প্রজনন ঋতুতে জোড়া বাঁধে এবং অনেক পাখি কাছাকাছি বাসা বানায়। এপ্রিল-আগস্ট মাসে প্রজনন করে, এসময় অগভীর জলাশয়ের ধারে, বালিতে অথবা হালকা তৃণাচ্ছাদিত জায়গায় খড়কুটো জড়ো করে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি ২-৩টি হালকা বাদামি রঙের ডিম পাড়ে; ২৩-২৫ দিনের মেধ্য ডিম ফুটে এভং ৫-৬ সপ্তাহে ছানারা বাসা ছেড়ে যায়। যদিও বাসা ছাড়ার পর আরও কিছুদিন বাবা-মার সান্নিধ্যে থাকে। বাসা বানানো, ডিমে তা দেওয়া এবং বাচ্ছা লালন-পালন পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েই করে। গ্রীষ্মকালে প্রথমে অপ্রাপ্ত বয়স্করা দল বাঁধে পরে প্রাপ্ত বয়স্করা বাচ্ছাসহকারে এসে যোগ দেয়। দু’বছর বয়স হলে প্রজনন শুরু হয়; সাধারণত যেখানে বেড়ে উঠে সেখান থেকে ভিন্ন কোনো স্থানে প্রথম প্রজনন করে। এ পাখি Royal Society for Protection of Birds (RSPB) নামক পৃথিবীর বিখ্যাত পাখি সংরক্ষণ সংস্থার লোগো হিসেবে ব্যবহূত হয়।  [সুপ্রিয় চাকমা]