দেওয়ানবাগ মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
অ (Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্যম হুসায়ন খান]") |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
মসজিদটি একগম্বুজ বিশিষ্ট একটি বর্গাকৃতির ইমারত। এর চার কোণে রয়েছে ছাদ-পাঁচিল থেকে ঊর্ধ্বে প্রলম্বিত অষ্টভুজাকৃতির সন্নিহিত বুরুজ। এর পূর্বদিকে রয়েছে বারান্দা। মসজিদটি নির্মাণকালে বারান্দার উপর তিনটি গম্বুজ ছিল। পরবর্তী সময়ে গম্বুজগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং তদস্থলে নির্মিত হয় একটি গম্বুজ। গম্বুজটি ভেতরের দিকে স্কুইঞ্চের উপর বসানো। মসজিদের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অর্ধবৃত্তাকার খিলানবিশিষ্ট তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে। প্লাস্টার করে মুছে ফেলা হয়েছে এদের মূল অবয়ব। নামাজের কক্ষটি বহির্ভাগে দৈর্ঘ্য প্রস্থ উভয়দিকে ১০.৮ মিটার এবং অভ্যন্তরভাগে উভয়দিকে ৬.৬৯ মিটার। মিহরাবের খিলানটি চোখা আকৃতির। আস্ত কৃষ্ণপাথর কেটে এটি নির্মিত হয়েছে এবং এর শীর্ষভাগে খোদিত আছে ত্রিপত্রাকৃতি নকশা। মিহরাবে অনুরূপ খোদাই করা পাথরের খিলান পনেরো শতকে নির্মিত মুয়াজ্জমপুর শাহী মসজিদ (১৪৩৩-৩৬), মোগরাপাড়ায় [[ফতেহ শাহ মসজিদ|ফতেহ শাহ মসজিদ]] (১৪৮৪) এবং ষোল শতকের গোয়ালদি মসজিদে (১৫১৯) লক্ষ্য করা যায়। মিহরাবের খিলান এবং পুরু দেয়াল এর প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। | মসজিদটি একগম্বুজ বিশিষ্ট একটি বর্গাকৃতির ইমারত। এর চার কোণে রয়েছে ছাদ-পাঁচিল থেকে ঊর্ধ্বে প্রলম্বিত অষ্টভুজাকৃতির সন্নিহিত বুরুজ। এর পূর্বদিকে রয়েছে বারান্দা। মসজিদটি নির্মাণকালে বারান্দার উপর তিনটি গম্বুজ ছিল। পরবর্তী সময়ে গম্বুজগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং তদস্থলে নির্মিত হয় একটি গম্বুজ। গম্বুজটি ভেতরের দিকে স্কুইঞ্চের উপর বসানো। মসজিদের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অর্ধবৃত্তাকার খিলানবিশিষ্ট তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে। প্লাস্টার করে মুছে ফেলা হয়েছে এদের মূল অবয়ব। নামাজের কক্ষটি বহির্ভাগে দৈর্ঘ্য প্রস্থ উভয়দিকে ১০.৮ মিটার এবং অভ্যন্তরভাগে উভয়দিকে ৬.৬৯ মিটার। মিহরাবের খিলানটি চোখা আকৃতির। আস্ত কৃষ্ণপাথর কেটে এটি নির্মিত হয়েছে এবং এর শীর্ষভাগে খোদিত আছে ত্রিপত্রাকৃতি নকশা। মিহরাবে অনুরূপ খোদাই করা পাথরের খিলান পনেরো শতকে নির্মিত মুয়াজ্জমপুর শাহী মসজিদ (১৪৩৩-৩৬), মোগরাপাড়ায় [[ফতেহ শাহ মসজিদ|ফতেহ শাহ মসজিদ]] (১৪৮৪) এবং ষোল শতকের গোয়ালদি মসজিদে (১৫১৯) লক্ষ্য করা যায়। মিহরাবের খিলান এবং পুরু দেয়াল এর প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। | ||
মসজিদটি কয়েকবার সংস্কার ও পরিবর্ধন করা হয়েছে এবং পূর্বদিকে বারান্দা সংযোজন করে এর পরিধিও সম্প্রসারিত হয়েছে। বাইরের দিকের মূল স্থাপত্য নিদর্শনের পুরোটাই প্লাস্টার করে মুছে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এটি জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে। [ | মসজিদটি কয়েকবার সংস্কার ও পরিবর্ধন করা হয়েছে এবং পূর্বদিকে বারান্দা সংযোজন করে এর পরিধিও সম্প্রসারিত হয়েছে। বাইরের দিকের মূল স্থাপত্য নিদর্শনের পুরোটাই প্লাস্টার করে মুছে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এটি জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান] | ||
<!-- imported from file: দেওয়ানবাগ মসজিদ.html--> | <!-- imported from file: দেওয়ানবাগ মসজিদ.html--> |
১৬:১১, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
দেওয়ানবাগ মসজিদ নারায়ণগঞ্জ জেলায় বন্দর উপজেলার দেওয়ানবাগ গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটি ‘মনোয়ার খাঁর বাগ’ নামেও পরিচিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর-শীতলক্ষ্যা সেতু থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। মসজিদটি প্রাক্-মুগল যুগে সম্ভবত ষোল শতকে নির্মিত।
মসজিদটি একগম্বুজ বিশিষ্ট একটি বর্গাকৃতির ইমারত। এর চার কোণে রয়েছে ছাদ-পাঁচিল থেকে ঊর্ধ্বে প্রলম্বিত অষ্টভুজাকৃতির সন্নিহিত বুরুজ। এর পূর্বদিকে রয়েছে বারান্দা। মসজিদটি নির্মাণকালে বারান্দার উপর তিনটি গম্বুজ ছিল। পরবর্তী সময়ে গম্বুজগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং তদস্থলে নির্মিত হয় একটি গম্বুজ। গম্বুজটি ভেতরের দিকে স্কুইঞ্চের উপর বসানো। মসজিদের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অর্ধবৃত্তাকার খিলানবিশিষ্ট তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে। প্লাস্টার করে মুছে ফেলা হয়েছে এদের মূল অবয়ব। নামাজের কক্ষটি বহির্ভাগে দৈর্ঘ্য প্রস্থ উভয়দিকে ১০.৮ মিটার এবং অভ্যন্তরভাগে উভয়দিকে ৬.৬৯ মিটার। মিহরাবের খিলানটি চোখা আকৃতির। আস্ত কৃষ্ণপাথর কেটে এটি নির্মিত হয়েছে এবং এর শীর্ষভাগে খোদিত আছে ত্রিপত্রাকৃতি নকশা। মিহরাবে অনুরূপ খোদাই করা পাথরের খিলান পনেরো শতকে নির্মিত মুয়াজ্জমপুর শাহী মসজিদ (১৪৩৩-৩৬), মোগরাপাড়ায় ফতেহ শাহ মসজিদ (১৪৮৪) এবং ষোল শতকের গোয়ালদি মসজিদে (১৫১৯) লক্ষ্য করা যায়। মিহরাবের খিলান এবং পুরু দেয়াল এর প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করছে।
মসজিদটি কয়েকবার সংস্কার ও পরিবর্ধন করা হয়েছে এবং পূর্বদিকে বারান্দা সংযোজন করে এর পরিধিও সম্প্রসারিত হয়েছে। বাইরের দিকের মূল স্থাপত্য নিদর্শনের পুরোটাই প্লাস্টার করে মুছে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে এটি জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]