দালালপুর পুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দালালপুর পুল'''  সোনারগাঁয়ে পানামনগরের উত্তর পার্শ্বস্থ পঙ্খিরাজ খালের উপর নির্মিত একটি সুদৃশ্য ঐতিহাসিক সেতু। এটি আমিনপুর থেকে দালালপুরে কোম্পানি কুঠি পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কের সংযোগ সেতু। তিন খিলানবিশিষ্ট এই সেতুর মধ্যবর্তী খিলানটি খালে নৌকা চলাচলের সুবিধার জন্য অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত ও উঁচু করে নির্মিত। সেতুপথটি প্রায় পাঁচ ফুট ব্যাসের এবং বৃত্তাকারে সন্নিবেশিত ইটের গাঁথুনিতে তৈরি। পৃষ্ঠদেশ থেকে সেতুর ঢাল উভয় দিকে খাড়াভাবে নেমে এসেছে। ক্যানিংহামের বিবরণে (১৮৭৯-১৮৮০) সেতুর অভ্যন্তরভাগে ইট নির্মিত দুটি প্রবেশপথ স্তম্ভের উল্লেখ রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে ধাপ হিসেবে খোদাই করা ফুলেল নকশা শোভিত একটি কৃষ্ণ পাথর। স্থাপত্য রীতির বিবেচনায় সেতুটি মুগল আমলে নির্মিত বলে মনে করা হয়।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
'''দালালপুর পুল'''  সোনারগাঁয়ে পানামনগরের উত্তর পার্শ্বস্থ পঙ্খিরাজ খালের উপর নির্মিত একটি সুদৃশ্য ঐতিহাসিক সেতু। এটি আমিনপুর থেকে দালালপুরে কোম্পানি কুঠি পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কের সংযোগ সেতু। তিন খিলানবিশিষ্ট এই সেতুর মধ্যবর্তী খিলানটি খালে নৌকা চলাচলের সুবিধার জন্য অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত ও উঁচু করে নির্মিত। সেতুপথটি প্রায় পাঁচ ফুট ব্যাসের এবং বৃত্তাকারে সন্নিবেশিত ইটের গাঁথুনিতে তৈরি। পৃষ্ঠদেশ থেকে সেতুর ঢাল উভয় দিকে খাড়াভাবে নেমে এসেছে। ক্যানিংহামের বিবরণে (১৮৭৯-১৮৮০) সেতুর অভ্যন্তরভাগে ইট নির্মিত দুটি প্রবেশপথ স্তম্ভের উল্লেখ রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে ধাপ হিসেবে খোদাই করা ফুলেল নকশা শোভিত একটি কৃষ্ণ পাথর। স্থাপত্য রীতির বিবেচনায় সেতুটি মুগল আমলে নির্মিত বলে মনে করা হয়।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


<!-- imported from file: দালালপুর পুল.html-->
<!-- imported from file: দালালপুর পুল.html-->

১৬:০৬, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দালালপুর পুল  সোনারগাঁয়ে পানামনগরের উত্তর পার্শ্বস্থ পঙ্খিরাজ খালের উপর নির্মিত একটি সুদৃশ্য ঐতিহাসিক সেতু। এটি আমিনপুর থেকে দালালপুরে কোম্পানি কুঠি পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কের সংযোগ সেতু। তিন খিলানবিশিষ্ট এই সেতুর মধ্যবর্তী খিলানটি খালে নৌকা চলাচলের সুবিধার জন্য অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত ও উঁচু করে নির্মিত। সেতুপথটি প্রায় পাঁচ ফুট ব্যাসের এবং বৃত্তাকারে সন্নিবেশিত ইটের গাঁথুনিতে তৈরি। পৃষ্ঠদেশ থেকে সেতুর ঢাল উভয় দিকে খাড়াভাবে নেমে এসেছে। ক্যানিংহামের বিবরণে (১৮৭৯-১৮৮০) সেতুর অভ্যন্তরভাগে ইট নির্মিত দুটি প্রবেশপথ স্তম্ভের উল্লেখ রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে ধাপ হিসেবে খোদাই করা ফুলেল নকশা শোভিত একটি কৃষ্ণ পাথর। স্থাপত্য রীতির বিবেচনায় সেতুটি মুগল আমলে নির্মিত বলে মনে করা হয়।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]