মঞ্জুর, মেজর জেনারেল মুহম্মদ আবুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ (Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্যম হুসায়ন খান]") |
||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
স্বাধীনতার পর তাঁকে যশোরে ৫৫ নং ব্রিগেডের কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরোচিত অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭৩ সালে তিনি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সামরিক উপদেষ্টা পদে যোগদান করেন। আবুল মঞ্জুর ১৯৭৫ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ২৪তম ডিভিশনের জি.ও.সি নিযুক্ত হন। | স্বাধীনতার পর তাঁকে যশোরে ৫৫ নং ব্রিগেডের কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরোচিত অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭৩ সালে তিনি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সামরিক উপদেষ্টা পদে যোগদান করেন। আবুল মঞ্জুর ১৯৭৫ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ২৪তম ডিভিশনের জি.ও.সি নিযুক্ত হন। | ||
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কতিপয় অফিসার কর্তৃক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর নিজেকে সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান ঘোষণা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সামরিক অভ্যুত্থানটি ব্যর্থ হয়। আবুল মঞ্জুর আত্মগোপনের চেষ্টা করেও সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন এবং ১৯৮১ সালের ২ জুন নিহত হন। [ | ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কতিপয় অফিসার কর্তৃক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর নিজেকে সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান ঘোষণা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সামরিক অভ্যুত্থানটি ব্যর্থ হয়। আবুল মঞ্জুর আত্মগোপনের চেষ্টা করেও সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন এবং ১৯৮১ সালের ২ জুন নিহত হন। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান] | ||
[[en:Manzoor, Major General Muhammad Abul]] | [[en:Manzoor, Major General Muhammad Abul]] |
১৬:০৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মঞ্জুর, মেজর জেনারেল মুহম্মদ আবুল (১৯৪০-১৯৮১) সামরিক কর্মকর্তা এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। কুমিল্লা জেলার কসবা থানার গুপিনাথপুরে ১৯৪০ সালে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালি জেলার চাটখিল থানার অন্তর্গত কামালপুর গ্রামে। তিনি পাঞ্জাবের সারগোদা পাবলিক স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে সিনিয়র ক্যাম্ব্রিজ এবং ১৯৫৬ সালে আই.এসসি পাস করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি কানাডার স্টাফ কলেজ থেকে পি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন্ড অফিসার পদে যোগদান করেন।
শিয়ালকোটে ব্রিগেড মেজর হিসেবে কর্মরত অবস্থায় আবুল মঞ্জুর ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে তাঁর কর্মস্থল থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার কর্তৃক তিনি ৮ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হন। বেনাপোলে তাঁর বাহিনীর সদর দফতর থেকে তিনি কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি ও ফরিদপুর জেলায় সাফল্যের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
স্বাধীনতার পর তাঁকে যশোরে ৫৫ নং ব্রিগেডের কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরোচিত অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭৩ সালে তিনি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সামরিক উপদেষ্টা পদে যোগদান করেন। আবুল মঞ্জুর ১৯৭৫ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ২৪তম ডিভিশনের জি.ও.সি নিযুক্ত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কতিপয় অফিসার কর্তৃক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর নিজেকে সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান ঘোষণা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সামরিক অভ্যুত্থানটি ব্যর্থ হয়। আবুল মঞ্জুর আত্মগোপনের চেষ্টা করেও সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন এবং ১৯৮১ সালের ২ জুন নিহত হন। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]