পেঁচা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
<gallery> | <gallery> | ||
Image:OwlBarn.jpg|লক্ষ্মীপেঁচা | Image:OwlBarn.jpg|লক্ষ্মীপেঁচা | ||
Image:OwlDuskyEagle.jpg|হুতুম পেঁচা | Image:OwlDuskyEagle.jpg|হুতুম পেঁচা | ||
Image:OwlBrownFish.jpg|মেছো পেঁচা | Image:OwlBrownFish.jpg|মেছো পেঁচা | ||
Image:OwlAsianBarred.jpg|এশীয় পেঁচা | |||
Image: | |||
</gallery> | </gallery> | ||
০৭:০২, ১২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পেঁচা (Owl) Strigiformes বর্গভুক্ত নিশাচর শিকারি পাখি। পেঁচার মাথা বড়, মুখমন্ডল চ্যাপ্টা, পুচ্ছ গোলাকার ও ডানা চওড়া। এদের ডানার পালক নিঃশব্দে উড়ার জন্য পরিবর্তিত। শিকার করা ও শিকার ধরে রাখার জন্য পেঁচা বাঁকানো ঠোঁটের সঙ্গে নখরও (talon) ব্যবহার করে।
রাতের স্বল্প আলোয় পেঁচার চোখ অধিক আলোর সংস্থান করতে পারায় এই শিকারি পাখিরা অন্ধকারে ভালই দেখে। অক্ষিগোলক সামনে অগ্রসর থাকায় পেঁচারা দ্বিনেত্র (binocular) দৃষ্টির অধিকারী। এদের চোখ এতটাই আলো শোষণ করে যে অনেক পেঁচা দিনের উজ্জ্বল আলোয় অস্বস্তি অনুভব করে। তবে কিছু দিবাচর পেঁচাও আছে। ছোট চোখওয়ালা লক্ষ্মীপেঁচারা (Tyto species) ব্যতিক্রমী শ্রবণশক্তিধর। শুধু শব্দ দ্বারা চালিত হয়ে নিরেট অন্ধকারে এরা শিকার ধরতে পারে। শব্দ ধরার জন্য এদের ও অন্য কতকগুলি পেঁচার মুখমন্ডলীয় বিশেষ গঠন রয়েছে। মাথার গড়ন রূপান্তরিত হওয়ার জন্যই পেঁচার দুই কানে সামান্য আগেপরে শব্দ পৌঁছয় এবং মাথা ঘোরালে তারা অনুচ্চ শব্দেরও উৎস শনাক্ত করতে পারে, যেমন ইঁদুরের শস্যদানা চিবানোর সঠিক আওয়াজ।
-
লক্ষ্মীপেঁচা
-
হুতুম পেঁচা
-
মেছো পেঁচা
-
এশীয় পেঁচা
অধিকাংশ পেঁচা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী ও পাখি শিকার করে খায়। এরা মাটিতে থাকা ছোট ইঁদুরজাতীয় স্তন্যপায়ী বা কীটপতঙ্গ ধরার সময় উঁচু জায়গা থেকে নিচে ছোঁ মারে। গাছের ডালপালা থেকেও পোকামাকড় এবং অন্যান্য শিকার ধরতে অভ্যস্ত।
সাধারণত পেঁচা নিঃসঙ্গচর। ডাক শুনেই এদের শনাক্ত করা যায় বলে অনেক পেঁচার নামকরণ তাদের ডাক অনুসারেই হয়েছে। সব পেঁচাই ডাকে, বিশেষত প্রজননকালে। পেঁচা গাছের কোঠর, পাহাড় ও পাথরের গর্তে, পুরনো দালান বা কাক ও অন্যান্য পাখির পরিত্যক্ত বাসায় থাকে। কতক পেঁচা বাসা বানায়। পেঁচার হুট হুট শব্দের ডাক ও রহস্যময় নিশাচর স্বভাব নানা কুসংস্কারের ভিত্তি, আর এভাবেই পেঁচা মানুষের অলৌকিক চিন্তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
পৃথিবীর সর্বত্র পেঁচা ছড়িয়ে আছে। কুমেরু ও কতক মহাসাগরীয় দ্বীপ ছাড়া সব মহাদেশেই পেঁচা দেখা যায়। বাংলাদেশের ১৭ প্রজাতির পেঁচার মধ্য ১৫টি স্থায়ী বাসিন্দা এবং ২টি পরিযায়ী। স্থায়ী বাসিন্দা পেঁচাদের মধ্যে রয়েছে Oriental Bay Owl (Phodilus badius); লক্ষ্মীপেঁচা, Barn Owl (Tyto alba); খুড়ুলে পেঁচা, Spotted Owlet (Athene brama); হুতুম পেঁচা, Rock Eagle Owl (Bubo bengalensis); Duskey Eagle Owl (Bubo coramandus); Spot-bellied Eagle Owl (Bubo nipalensis); Collared Owlet (Glaucidium broddiei); Asian Barred Owlet (Glaucidium cuculoides); Jungle Owlet (Glaucidium radiatum); Tawny Fish Owl (Ketupa flavipes); ভুতুম পেঁচা, Brown Fish Owl (Ketupa zeylonensis); কুপোখ, Brown Hawk Owl (Ninox scutulata); নিমপোখ, Collared Scops Owl (Otus lepiji); Mountain Scops Owl (Otus spilocephalus); এবং নিমপোখ, Eurasian Scops Owl (Otus scops)। দুই প্রজাতির পরিযায়ী পেঁচা হচ্ছে Short-eared Owl (Asio flammeus); এবং Brown Wood Owl (Strix leptogrammica)। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম]