আটোয়ারী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-\|\s''জনসংখ্যা''\s\|\| +| জনসংখ্যা ||))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''আটোয়ারী উপজেলা''' (পঞ্চগড় জেলা)  আয়তন: ২০৯.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৬°১১´ থেকে ২৬°২৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১৯´থেকে ৮৮°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে বোদা ও পঞ্চগড় উপজেলা, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যত।
'''আটোয়ারী উপজেলা''' ([[পঞ্চগড় জেলা|পঞ্চগড় জেলা]])  আয়তন: ২০৯.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৬°১১´ থেকে ২৬°২৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১৯´থেকে ৮৮°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে বোদা ও পঞ্চগড় উপজেলা, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যত।


''জনসংখ্যা'' ১১৪৯৩৮; পুরুষ ৫৯৩৭৬; মহিলা ৫৫৫৬২।  মুসলিম ৮৫২৫১, হিন্দু ২৮২১৩, বৌদ্ধ ১২৯৬ এবং অন্যান্য ১৭৮।
''জনসংখ্যা'' ১১৪৯৩৮; পুরুষ ৫৯৩৭৬; মহিলা ৫৫৫৬২।  মুসলিম ৮৫২৫১, হিন্দু ২৮২১৩, বৌদ্ধ ১২৯৬ এবং অন্যান্য ১৭৮।
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
''জলাশয়''  প্রধান নদী: টাংগণ, পাথারিয়া ও নাগর।
''জলাশয়''  প্রধান নদী: টাংগণ, পাথারিয়া ও নাগর।


প্রশাসন''' ''' ১৯০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে আটোয়ারী থানা গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮০ সালে পঞ্চগড় জেলার অধীনে আটোয়ারী থানা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।
''প্রশাসন'' ১৯০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে আটোয়ারী থানা গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮০ সালে পঞ্চগড় জেলার অধীনে আটোয়ারী থানা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।


{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
|-
|-
| -  || ৬  || ৬২  || ৬৪  || ৯৭৯০  || ১০৫১৪৮  || ৫৪৮  || ৬০.৪  || ৪৯.৮
| -  || ৬  || ৬২  || ৬৪  || ৯৭৯০  || ১০৫১৪৮  || ৫৪৮  || ৬০.৪  || ৪৯.৮
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" |উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ১৪.০৫  || ৩  || ৯৭৯০  || ৬৯৭  || ৬০.৪
| ১৪.০৫  || ৩  || ৯৭৯০  || ৬৯৭  || ৬০.৪
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪২ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
|-  
|-  
| আলোয়াখোয়া ১৩  || ৯২৩১  || ১২০৫৭  || ১১৩৩০  || ৪৯.৪৮
| আলোয়াখোয়া ১৩  || ৯২৩১  || ১২০৫৭  || ১১৩৩০  || ৪৯.৪৮
|-
|-
| তাড়িয়া ৮১  || ৮১২৮  || ৯৭৮৪  || ৯০০৭  || ৫১.২০
| তাড়িয়া ৮১  || ৮১২৮  || ৯৭৮৪  || ৯০০৭  || ৫১.২০
|-
|-
| ধামোর ৪০  || ৮৩৬৯  || ৭৭৫১  || ৭০৭৫  || ৪৮.৪০
| ধামোর ৪০  || ৮৩৬৯  || ৭৭৫১  || ৭০৭৫  || ৪৮.৪০
|-
|-
| বলরামপুর ২৭  || ৭৪৮৮  || ৯০০৩  || ৮৬৫২  || ৫০.৮৭
| বলরামপুর ২৭  || ৭৪৮৮  || ৯০০৩  || ৮৬৫২  || ৫০.৮৭
|-
|-
| মির্জাপুর ৫৪  || ৯২২৮  || ১০৩২০  || ৯৬৪৫  || ৪৮.৬৭
| মির্জাপুর ৫৪  || ৯২২৮  || ১০৩২০  || ৯৬৪৫  || ৪৮.৬৭
|-
|-
| রাধানগর ৬৭  || ৯১২৬  || ১০৪৬১  || ৯৮৫৩  || ৫৫.৩৬
| রাধানগর ৬৭  || ৯১২৬  || ১০৪৬১  || ৯৮৫৩  || ৫৫.৩৬
৬০ নং লাইন: ৪৯ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:AtwariUpazila.jpg|thumb|right|আটোয়ারী উপজেলা]]
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' মির্জাপুর মসজিদ, ছাপড়াঝাড় মসজিদ (পাহাড় ভাঙ্গা) ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (সর্দার পাড়া গ্রাম),  ইমাম বাড়া (মির্জাপুর গ্রাম) উল্লেখযোগ্য ।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' মির্জাপুর মসজিদ, ছাপড়াঝাড় মসজিদ (পাহাড় ভাঙ্গা) ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (সর্দার পাড়া গ্রাম),  ইমাম বাড়া (মির্জাপুর গ্রাম) উল্লেখযোগ্য ।


''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি''  ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পাকসেনারা ফকিরগঞ্জ হাটে ১১জনকে গুলি করে হত্যা করে। ২৭ মে রাধানগর গ্রামে পাকসেনারা একই পরিবারের ৫জনসহ মোট ৭জনকে গুলি করে হত্যা করে। ৩ জুন পাকসেনারা সুখাতী গ্রামের ৫জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ধামোর গ্রামের ১১জন গ্রামবাসিকে নয়াদিঘী পুকুরপাড়ে হত্যা করে। অক্টোবরের শেষ দিকে পাকসেনারা তোড়িয়ার ডুহাপাড়া  গ্রামের ২৭ জনকে হত্যা করে।
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি''  ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পাকসেনারা ফকিরগঞ্জ হাটে ১১জনকে গুলি করে হত্যা করে। ২৭ মে রাধানগর গ্রামে পাকসেনারা একই পরিবারের ৫জনসহ মোট ৭জনকে গুলি করে হত্যা করে। ৩ জুন পাকসেনারা সুখাতী গ্রামের ৫জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ধামোর গ্রামের ১১জন গ্রামবাসিকে নয়াদিঘী পুকুরপাড়ে হত্যা করে। অক্টোবরের শেষ দিকে পাকসেনারা তোড়িয়ার ডুহাপাড়া  গ্রামের ২৭ জনকে হত্যা করে।


[[Image:AtwariUpazila.jpg|thumb|right|আটোয়ারী উপজেলা]]
''মুক্তিযুদ্ধের  স্মৃতিচিহ্ন''  গণকবর ২, স্মৃতিস্তম্ভ ১।
 
 
মুক্তিযুদ্ধের  স্মৃতিচিহ্ন  গণকবর ২, স্মৃতিস্তম্ভ ১।''' '''


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ১৬২, মন্দির ৬২, গির্জা ৪।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ১৬২, মন্দির ৬২, গির্জা ৪।
৭৫ নং লাইন: ৬২ নং লাইন:
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ২৫, লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ১।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ২৫, লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ১।


সাময়িকী ''' '''অনিয়মিত: উত্তরণ, গণজাগরণ ও পদক্ষেপ।
''সাময়িকী'' অনিয়মিত: উত্তরণ, গণজাগরণ ও পদক্ষেপ।


জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'''  '''কৃষি ৮১.৯৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.২০%, ব্যবসা ৬.২৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০০%, চাকরি ৩.৯৫%, নির্মাণ ০.৬৬%, ধর্মীয়সেবা ০.০৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২১% এবং অন্যান্য ১.৭১%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' 'কৃষি ৮১.৯৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.২০%, ব্যবসা ৬.২৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০০%, চাকরি ৩.৯৫%, নির্মাণ ০.৬৬%, ধর্মীয়সেবা ০.০৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২১% এবং অন্যান্য ১.৭১%।


''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৬৯.৬৫%, ভূমিহীন ৩০.৩৫%। শহরে ৬৮.৬৫% এবং গ্রামে ৬৯.৭৫% পরিবারের কৃষিজমি আছে।
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৬৯.৬৫%, ভূমিহীন ৩০.৩৫%। শহরে ৬৮.৬৫% এবং গ্রামে ৬৯.৭৫% পরিবারের কৃষিজমি আছে।
৮৫ নং লাইন: ৭২ নং লাইন:
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' যব, আউশ ধান, কাউন।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' যব, আউশ ধান, কাউন।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, তরমুজ।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, তরমুজ।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫৮.৭০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫২১.১৩ কিমি, রেলপথ ০৪ কিমি।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫৮.৭০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫২১.১৩ কিমি, রেলপথ ০৪ কিমি।
১০৩ নং লাইন: ৯০ নং লাইন:
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা''  উপজেলার ২৯.৫৫% (গ্রামে ২৮.২৩% এবং শহরে ৪৩.৭৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭.৪৫% (গ্রামে ৭.৮৮% এবং শহরে ২.৮৬%)  পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৬৩.০০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা''  উপজেলার ২৯.৫৫% (গ্রামে ২৮.২৩% এবং শহরে ৪৩.৭৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭.৪৫% (গ্রামে ৭.৮৮% এবং শহরে ২.৮৬%)  পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৬৩.০০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


প্রাকৃতিক সম্পদ  নুড়িপাথর, বালু, কাঁচবালু।
''প্রাকৃতিক সম্পদ''  নুড়িপাথর, বালু, কাঁচবালু।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ১।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ১।
১০৯ নং লাইন: ৯৬ নং লাইন:
''এনজিও'' আশা, ব্র্যাক, প্রশিকা, আরডিআরএস, দিশা।  [শেরোজ্জামান]
''এনজিও'' আশা, ব্র্যাক, প্রশিকা, আরডিআরএস, দিশা।  [শেরোজ্জামান]


'''তথ্য''সূত্র'' '''আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; আটোয়ারী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।''' '''
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; আটোয়ারী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Atwari Upazila]]
[[en:Atwari Upazila]]

১০:৫৪, ৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আটোয়ারী উপজেলা (পঞ্চগড় জেলা)  আয়তন: ২০৯.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৬°১১´ থেকে ২৬°২৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১৯´থেকে ৮৮°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে বোদা ও পঞ্চগড় উপজেলা, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যত।

জনসংখ্যা ১১৪৯৩৮; পুরুষ ৫৯৩৭৬; মহিলা ৫৫৫৬২।  মুসলিম ৮৫২৫১, হিন্দু ২৮২১৩, বৌদ্ধ ১২৯৬ এবং অন্যান্য ১৭৮।

জলাশয় প্রধান নদী: টাংগণ, পাথারিয়া ও নাগর।

প্রশাসন ১৯০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে আটোয়ারী থানা গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮০ সালে পঞ্চগড় জেলার অধীনে আটোয়ারী থানা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ৬২ ৬৪ ৯৭৯০ ১০৫১৪৮ ৫৪৮ ৬০.৪ ৪৯.৮
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১৪.০৫ ৯৭৯০ ৬৯৭ ৬০.৪
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আলোয়াখোয়া ১৩ ৯২৩১ ১২০৫৭ ১১৩৩০ ৪৯.৪৮
তাড়িয়া ৮১ ৮১২৮ ৯৭৮৪ ৯০০৭ ৫১.২০
ধামোর ৪০ ৮৩৬৯ ৭৭৫১ ৭০৭৫ ৪৮.৪০
বলরামপুর ২৭ ৭৪৮৮ ৯০০৩ ৮৬৫২ ৫০.৮৭
মির্জাপুর ৫৪ ৯২২৮ ১০৩২০ ৯৬৪৫ ৪৮.৬৭
রাধানগর ৬৭ ৯১২৬ ১০৪৬১ ৯৮৫৩ ৫৫.৩৬

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

আটোয়ারী উপজেলা

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ মির্জাপুর মসজিদ, ছাপড়াঝাড় মসজিদ (পাহাড় ভাঙ্গা) ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (সর্দার পাড়া গ্রাম),  ইমাম বাড়া (মির্জাপুর গ্রাম) উল্লেখযোগ্য ।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পাকসেনারা ফকিরগঞ্জ হাটে ১১জনকে গুলি করে হত্যা করে। ২৭ মে রাধানগর গ্রামে পাকসেনারা একই পরিবারের ৫জনসহ মোট ৭জনকে গুলি করে হত্যা করে। ৩ জুন পাকসেনারা সুখাতী গ্রামের ৫জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ধামোর গ্রামের ১১জন গ্রামবাসিকে নয়াদিঘী পুকুরপাড়ে হত্যা করে। অক্টোবরের শেষ দিকে পাকসেনারা তোড়িয়ার ডুহাপাড়া  গ্রামের ২৭ জনকে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের  স্মৃতিচিহ্ন  গণকবর ২, স্মৃতিস্তম্ভ ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ১৬২, মন্দির ৬২, গির্জা ৪।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়হার ৫০.৭%; পুরুষ ৫৯.৬%, মহিলা ৪১.১%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২, কেজি স্কুল ৩, মাদ্রাসা ৩০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৮), মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭৬), আলোয়াখোয়া তফসিলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৯), আটোয়ারী পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৫), আটোয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৭), তোড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৫), সাতখামার সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৬৪)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ২৫, লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ১।

সাময়িকী অনিয়মিত: উত্তরণ, গণজাগরণ ও পদক্ষেপ।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস 'কৃষি ৮১.৯৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.২০%, ব্যবসা ৬.২৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০০%, চাকরি ৩.৯৫%, নির্মাণ ০.৬৬%, ধর্মীয়সেবা ০.০৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২১% এবং অন্যান্য ১.৭১%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৯.৬৫%, ভূমিহীন ৩০.৩৫%। শহরে ৬৮.৬৫% এবং গ্রামে ৬৯.৭৫% পরিবারের কৃষিজমি আছে।

প্রধান কৃষিফসল ধান, পাট, গম, আলু, আখ।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি যব, আউশ ধান, কাউন।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, তরমুজ।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫৮.৭০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫২১.১৩ কিমি, রেলপথ ০৪ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি, গরু ও মহিষের গাড়ি।

কুটিরশিল্প মৃৎশিল্প, সোলারশিল্প, পাটশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশ ও কাঠের কাজ উল্লেখযোগ্য।

হাটবাজার ও মেলা ফকিরগঞ্জ, তড়িয়া, বারঘাটি, গুঞ্জনমারী, ধামোর, ডাঙ্গীর হাট, সিকটিহাড়ী, রেলবাজার ও ধরধরার হাট এবং আলোয়াখোয়া মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  ধান, পাট, গম, আলু।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১১.১৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৩.৬৯%, পুকুর ০.৩১%, ট্যাপ ০.৪৪% অন্যান্য উৎস ৫.৫৭%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা উপজেলার ২৯.৫৫% (গ্রামে ২৮.২৩% এবং শহরে ৪৩.৭৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭.৪৫% (গ্রামে ৭.৮৮% এবং শহরে ২.৮৬%)  পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৬৩.০০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

প্রাকৃতিক সম্পদ  নুড়িপাথর, বালু, কাঁচবালু।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৫, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ১।

এনজিও আশা, ব্র্যাক, প্রশিকা, আরডিআরএস, দিশা।  [শেরোজ্জামান]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; আটোয়ারী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।