হিজলা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩১ নং লাইন: | ৩১ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা |
০৮:১১, ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হিজলা উপজেলা (বরিশাল জেলা) আয়তন: ৫১৫.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫০´ থেকে ২৩°০৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৫´ থেকে ৯০°৪৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে গোঁসাইরহাট ও হাইমচর উপজেলা, দক্ষিণে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে রায়পুর উপজেলা, পশ্চিমে মুলাদী উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৭৪৫০৮; পুরুষ ৮৯৯১৮, মহিলা ৮৪৫৯০। মুসলিম ১৭০১৬৫, হিন্দু ৪৩৩৫ এবং অন্যান্য ৮।
জলাশয় প্রধান নদী: মেঘনা, জয়ন্তি, নয়াভাঙ্গা, আজিমপুর।
প্রশাসন হিজলা থানা গঠিত হয় ১৯১১ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৭ | ১৩৯ | ১১২ | ১৩৪০৬ | ১৬১১০২ | ৩৩৯ | ৪৪.৬ | ৩৭.৭ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৮.২৬ | ৩ | ১৩৪০৬ | ১৬২৩ | ৪৪.৬৪ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
গুয়াবাড়িয়া ৫৪ | ৭৮৯৯ | ১৬০৮৫ | ১৬২৬৫ | ৪৭.৩৫ | ||||
কুচাইপট্টি ৮৫ | ৭১৩১ | ১০০০০ | ৯২৬৭ | ২০.১৯ | ||||
ধুলখোলা ২৭ | ৭৪৮৩ | ১২১৮৪ | ১০৭৩১ | ৪৬.৭২ | ||||
বড় জালিয়া ১৩ | ৯১২৮ | ১৭২৩০ | ১৬৫৭০ | ৪০.০৩ | ||||
মেমানিয়া ৯৪ | ৯২৭২ | ১১৬২২ | ১০৮৭০ | ৩৩.৬০ | ||||
হরিনাথপুর ৬৭ | ১৪৮৩১ | ১৩৭২৫ | ১৩২৮০ | ৪৪.১৪ | ||||
হিজলাগৌরবদী ৮১ | ২৯৮৬২ | ৯০৭২ | ৭৬০৭ | ২০.১৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ প্রস্তর নির্মিত বাসুদেব মূর্তি (গোবিন্দপুর)।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এই উপজেলার হিজলা-মুলাদী অঞ্চলে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বেইছ কমান্ডার কুতুবউদ্দিন ও কাজী আনোয়ার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংঘর্ষে হাবিলদার শাহ আলম, নায়েক আজিজুর রহমান, হাবিলদার নূর মোহাম্মদ ও সিপাহী আবদুল ওয়াজেদ শহীদ হন। তাছাড়া পাল পাড়ার শিক্ষক হোসেন আলী ও দাদপুরের সুলতান জমাদ্দারসহ ৮ জন নিহত হন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩২৬, মন্দির ১২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: শ্রী রামপুর ও শাহনাজপুর গ্রামের মুসলমান জমিদার বাড়ীর মসজিদ, গঙ্গাপুর গ্রামে সুলতান খার মসজিদ ও দরগা।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.২%; পুরুষ ৩৯.১%, মহিলা ৩৭.৪%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৮, মাদ্রাসা ৪১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: হিজলা কলেজ, কাউরিয়া বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সংহতি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিষখোলা সিনিয়র মাদ্রাসা।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী হিজলা উপজেলা বার্তা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৩, ক্লাব ১৪, মহিলা সংগঠন ২, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ১০।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৩.৪৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.৬১%, শিল্প ০.৫৬%, ব্যবসা ১০.৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.০২%, চাকরি ৫.৭২%, নির্মাণ ১.২০%, ধর্মীয় সেবা ০.৩১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৮% এবং অন্যান্য ৩.৬৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৬.০৫%, ভূমিহীন ৩৩.৯৫%। শহরে ৬৬.০৬% এবং গ্রামে ৬৬.০৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, হলুদ, মাছ, আলু, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি সূর্যমুখী, মুগ, কাউন, চীনা, হোগলা পাতা।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, কুল, লিচু, জাম, তাল, খেজুর, নারিকেল, পেঁপে, সুপারি, আমড়া।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৪, গবাদিপশু ২০, হাঁস-মুরগি ৪০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩০ কিমি, কাঁচারাস্তা ১২০ কিমি; নৌপথ ১০৮ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, বিড়ি ফ্যাক্টরি, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, মাছ ধরার জাল তৈরির কাজ, নকশী কাঁথা, পটারী শিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ, পাটের হস্তশিল্প, পাটি ও মাদুর শিল্প, আখের গুড় প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, শীতল পাটি।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩৫। ধুন সিকদার হাট, একতা বাজার, কাইসমা বাজার, চরকিলার হাট উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য দুগ্ধজাত দ্রব্য, আমড়া, শীতল পাটি, চিংড়ি, সুপারি, ধান, চাল।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৭.২৩% (শহরে ৪৫.৬৯% ও গ্রামে ১৪.৯০%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৩.২২%, পুকুর ৫.৫০%, ট্যাপ ০.৪৩% এবং অন্যান্য ১০.৮৫%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪১.৩৪% (গ্রামে ৩৮.৮২% এবং শহরে ৭২.১২%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫১.৫১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৭.১৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৯৬২ সালের দুর্ভিক্ষে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে।
এনজিও দিশা, আলোর দিশা। [কে.এম সাইফুল ইসলাম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; হিজলা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।