হাইমচর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩০ নং লাইন: | ৩০ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
|rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| পুরুষ || মহিলা | | পুরুষ || মহিলা |
০৫:২৪, ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হাইমচর উপজেলা (চাঁদপুর জেলা) আয়তন: ১৭৪.৪৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°০০´ থেকে ২৩°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩২´ থেকে ৯০°৪২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে চাঁদপুর সদর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বরিশালের হিজলা উপজেলা, পূর্বে ফরিদগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলা, পশ্চিমে গোঁসাইরহাট উপজেলা।
জনসংখ্যা ১২৫১০৮; পুরুষ ৬৩৪৪৬, মহিলা ৬১৬৬২। মুসলিম ১১৯১৪৬, হিন্দু ৫৯৫৮ এবং অন্যান্য ৪।
জলাশয় প্রধান নদী: মেঘনা।
প্রশাসন হাইমচর থানা গঠিত হয় ১৯৭৬ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৬ | ২৮ | ৫৯ | ১৫৮৫৭ | ১০৯২৫১ | ৭১৭ | ৪৫.৯৪ | ৩৯.৪৬ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
১১.২ | ২ | ১৫৮৫৭ | ১৪১৬ | ৪৫.২২ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
উত্তর আলগী দূর্গাপুর ১১ | ৫০০৩ | ১৫১১৯ | ১৫১৮১ | ৫১.৫৩ | ||||
দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ২৩ | ৪৭৩০ | ১৫৫৭০ | ১৫৫৯৮ | ৪৭.৮২ | ||||
গাজীপুর ৫৯ | ২৭৮৯ | ২১৪৩ | ১৮০৩ | ২০.৬১ | ||||
চরভৈরবী ৩৫ | ২৫৬৯ | ১৫৭৪৯ | ১৫৫০৫ | ৩৪.৩২ | ||||
নীলকমল ৭১ | ১০৫৫১ | ১৩২০০ | ১২১৮৬ | ২৯.৮৩ | ||||
হাইমচর ৪৭ | ৭৫১২ | ১৬৬৫ | ১৩৮৯ | ১৭.৭৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ ও প্রাচীন কবর (ভিঙ্গুলিয়া)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৫৫, মন্দির ১৮, মাযার ৪, তীর্থস্থান ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: চরভৈরবী জামে মসজিদ, খোন্দকার বাড়ি মসজিদ, জগন্নাথ বাড়ি মন্দির (হাইমচর), শ্রী শ্রী হরি মন্দির (চরভৈরবী), শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪০.২৯%; পুরুষ ৪২.২৯%, মহিলা ৩৮.২৬%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫, মাদ্রাসা ২৬। উলেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চরভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১০), বাজাপ্তী রমণী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), নীলকমল ওসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৮), হাইমচর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, এম.জে.এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কে.ভি.এন উচ্চ বিদ্যালয়, দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চরভৈরবী উচ্চ বিদ্যালয়, চরশোলদী কেবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৩৭)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, নাট্যদল ১, সিনেমা হল ৩, ক্লাব ২৯, মহিলা সংগঠন ১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৪.৩৭%, অকৃষি শ্রমিক ৩.২২%, শিল্প ০.৬৩%, ব্যবসা ১৫.০১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৫২%, চাকরি ৬.৫৪%, নির্মাণ ০.৮৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৩২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১১% এবং অন্যান্য ৭.৪২%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.১৪%, ভূমিহীন ৪৯.৮৬%। শহরে ৩৩.১৮% এবং গ্রামে ৫২.৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, পান, সুপারি, পিঁয়াজ, রসুন, সয়াবিন, আলু, করলা।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, তিল, তিসি, কালিজিরা, তামাক, সরিষা, অড়হর, খেসারি, মিষ্টি আলু।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, তাল, বেল, পেঁপে, আমড়া, চালতা, কুল, বাতাবি লেবু, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১২৭, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ১, হাঁস-মুরগি ১০, নার্সারি ১৪।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯৫ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চালকল, করাতকল, বরফকল।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৪, মেলা ৪। চরভৈরবী বাজার, হাইমচর বাজার ও কাটাখালী বাজার এবং বৈশাখী মেলা, পৌষ পার্বণ মেলা ও রথের মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পাট, পান, রসুন, পিঁয়াজ, নারিকেল, সুপারি, মাছ, করলা।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৫% (শহরে ১৫.৮৬% এবং গ্রামে ১৪.৮৮%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৭৮.৬৬%, ট্যাপ ০.৫৭%, পুকুর ১৩.৩৯% এবং অন্যান্য ৭.৩৮%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩৯% (শহরে ৪৯.৩১% এবং গ্রামে ৩৭.৫৬%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫১.৮% (শহরে ৪৫.৫২% এবং গ্রামে ৫২.৭১%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৯.২% (শহরে ৫.৩৮% এবং গ্রামে ৯.৭৩%) পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ২, স্যাটেলাইট ক্লিনিক ১।
এনজিও কারিতাস, ব্র্যাক, দিশা। [মো. মাহবুবুর রহমান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; হাইমচর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।