হরিণাকুন্ড উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-\|\s''জনসংখ্যা''\s\|\| +| জনসংখ্যা ||)) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''হরিণাকুন্ড উপজেলা''' (ঝিনাইদহ জেলা) আয়তন: ২২৭.১৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩৩´ থেকে ২৩°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫৯´ থেকে ৮৯°১১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, পূর্বে শৈলকূপা উপজেলা, পশ্চিমে আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা। | '''হরিণাকুন্ড উপজেলা''' ([[ঝিনাইদহ জেলা|ঝিনাইদহ জেলা]]) আয়তন: ২২৭.১৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩৩´ থেকে ২৩°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫৯´ থেকে ৮৯°১১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, পূর্বে শৈলকূপা উপজেলা, পশ্চিমে আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' ১৭২৪৯১; পুরুষ ৮৯৪৩৮, মহিলা ৮৩০৫৩। মুসলিম ১৬৩০১৩, হিন্দু ৯৪০০, বৌদ্ধ ৩৩ এবং অন্যান্য ৪৫। | ''জনসংখ্যা'' ১৭২৪৯১; পুরুষ ৮৯৪৩৮, মহিলা ৮৩০৫৩। মুসলিম ১৬৩০১৩, হিন্দু ৯৪০০, বৌদ্ধ ৩৩ এবং অন্যান্য ৪৫। | ||
১০ নং লাইন: | ১০ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| colspan="9" | উপজেলা | |||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || rowspan="2" | জনসংখ্যা || colspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ || ৮ || ৭৪ || ১২৪ || ১৮৩৩২ || ১৫৪১৫৯ || ৭৫৯ || ৪২.২ || ৩৯.৩৮ | | ১ || ৮ || ৭৪ || ১২৪ || ১৮৩৩২ || ১৫৪১৫৯ || ৭৫৯ || ৪২.২ || ৩৯.৩৮ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১১.০২ || ১ || ১০২৫২ || ৯৩০ || ৪২.২ | | ১১.০২ || ১ || ১০২৫২ || ৯৩০ || ৪২.২ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৪২ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
|- | |- | ||
| কাপাসহাটি ৬৩ || ৯০৯০ || ১১২১০ || ১০২৮৩ || ৪৩.২৬ | | কাপাসহাটি ৬৩ || ৯০৯০ || ১১২১০ || ১০২৮৩ || ৪৩.২৬ | ||
|- | |- | ||
| চাঁদপুর ২১ || ৮৩৬৬ || ১২৭৫২ || ১১৮২২ || ৩৯.৬৯ | | চাঁদপুর ২১ || ৮৩৬৬ || ১২৭৫২ || ১১৮২২ || ৩৯.৬৯ | ||
|- | |- | ||
| জোড়াদহ ৫২ || ৩৫০৫ || ৬২৮০ || ৫৮৮৬ || ৩৭.৮১ | | জোড়াদহ ৫২ || ৩৫০৫ || ৬২৮০ || ৫৮৮৬ || ৩৭.৮১ | ||
|- | |- | ||
| তাহেরহুদা ৮৪ || ৬৭২২ || ১১৯৩৫ || ১১০০৭ || ৪১.৭৬ | | তাহেরহুদা ৮৪ || ৬৭২২ || ১১৯৩৫ || ১১০০৭ || ৪১.৭৬ | ||
|- | |- | ||
| দৌলতপুর ৩১ || ৮৯০৬ || ১৪৩৯৫ || ১৩৩০৫ || ৩৯.৫১ | | দৌলতপুর ৩১ || ৮৯০৬ || ১৪৩৯৫ || ১৩৩০৫ || ৩৯.৫১ | ||
|- | |- | ||
| ভায়না ১০ || ৬০৯৭ || ১০৯৩১ || ১০০৮৪ || ৩৭.৯২ | | ভায়না ১০ || ৬০৯৭ || ১০৯৩১ || ১০০৮৪ || ৩৭.৯২ | ||
|- | |- | ||
| রঘুনাথপুর ৭৩ || ৭২৩৩ || ১১০৪২ || ১০৪২১ || ৩৬.১৯ | | রঘুনাথপুর ৭৩ || ৭২৩৩ || ১১০৪২ || ১০৪২১ || ৩৬.১৯ | ||
|- | |- | ||
| ফলসী ৪২ || ৩২৮৪ || ৪৮৭৮ || ৪৫৫১ || ৩৮.৮৬ | | ফলসী ৪২ || ৩২৮৪ || ৪৮৭৮ || ৪৫৫১ || ৩৮.৮৬ | ||
৬৬ নং লাইন: | ৫২ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:HarinakundaUpazila.jpg|thumb|right|400px]] | |||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' হরিণাকুন্ড জমিদার বাড়ি, জোড়াদহ, ধুলিয়া, ভায়না, সোনাতনপুর ও হরিণাকুন্ডতে নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' হরিণাকুন্ড জমিদার বাড়ি, জোড়াদহ, ধুলিয়া, ভায়না, সোনাতনপুর ও হরিণাকুন্ডতে নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ। | ||
ঐতিহাসিক | ''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' এ উপজেলায় মরমী কবি লালন শাহ (১৭৭২-১৮৯০) এবং মরমী সাধক পাঞ্জু শাহ (১৮৫১) জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঘা যতীন ও কিরণ রায় অংশ নেন। এ উপজেলার অধিকাংশ লোক নীল বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার শিতলির মাঠে পাকসেনাদের সঙ্গে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়। | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উপজেলার ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশে)। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উপজেলার ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশে)। | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১২৫, মন্দির ১৬, গির্জা ১, তীর্থস্থান ১, মাযার ৫। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: জোড়াদহ গম্বুজ মসজিদ, শ্রীপুর মসজিদ, উপজেলা মসজিদ, পার্বতীপুর মসজিদ, আন্দুলিয়া মসজিদ, কুলবাড়ীয়া ফকির মাহমুদ বিশ্বাসের মাযার, ভবানীপুর কালীমন্দির। | |||
ধর্মীয় | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪১.৪১%; পুরুষ ৪২%, মহিলা ৩৬.৮%। কলেজ ৫, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৯, মাদ্রাসা ৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারি লালন শাহ কলেজ (১৯৭২), জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৭২), হরিণাকুন্ড প্রিয়নাথ হাইস্কুল (১৮৭২), হরিণাকুন্ড পাইলট হাইস্কুল (১৯৪৫)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪১.৪১%; পুরুষ ৪২%, মহিলা ৩৬.৮%। কলেজ ৫, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৯, মাদ্রাসা ৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারি লালন শাহ কলেজ (১৯৭২), জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৭২), হরিণাকুন্ড প্রিয়নাথ হাইস্কুল (১৮৭২), হরিণাকুন্ড পাইলট হাইস্কুল (১৯৪৫)। | ||
৯১ নং লাইন: | ৭৫ নং লাইন: | ||
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি রাই, তিসি, কাউন, যব, তিল। | বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি রাই, তিসি, কাউন, যব, তিল। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, লিচু, জাম, জামরুল, খেজুর, নারিকেল, কুল, বেল, আতা, পেয়ারা। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৫, গবাদিপশু ২, হাঁস-মুরগি ৭। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ৫, গবাদিপশু ২, হাঁস-মুরগি ৭। | ||
১০৫ নং লাইন: | ৮৯ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৬, মেলা ৩। হরিণাকুন্ড, পার্বতীপুর, ভবানীপুর, জোড়াদহ, পোড়াহাটি চরপাড়া, রিশখালী, দখলপুর, কুলবাড়ীয়া, নারায়ণকান্দি, সাতব্রীজ ও মান্দিয়া বাজার এবং চড়ক পূজার মেলা (কাপাশটিয়া) উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৬, মেলা ৩। হরিণাকুন্ড, পার্বতীপুর, ভবানীপুর, জোড়াদহ, পোড়াহাটি চরপাড়া, রিশখালী, দখলপুর, কুলবাড়ীয়া, নারায়ণকান্দি, সাতব্রীজ ও মান্দিয়া বাজার এবং চড়ক পূজার মেলা (কাপাশটিয়া) উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, পাট, আখ, পান, কলা, খেজুর গুড়, শাকসবজি। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৮.৮২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৮.৮২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
১১৭ নং লাইন: | ১০১ নং লাইন: | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক। [টিপু সুলতান বারী] | ''এনজিও'' ব্র্যাক। [টিপু সুলতান বারী] | ||
'''তথ্যসূত্র ''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; হরিণাকুন্ড উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; হরিণাকুন্ড উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Harinakunda Upazila]] | [[en:Harinakunda Upazila]] |
০৪:১১, ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হরিণাকুন্ড উপজেলা (ঝিনাইদহ জেলা) আয়তন: ২২৭.১৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩৩´ থেকে ২৩°৪৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫৯´ থেকে ৮৯°১১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, পূর্বে শৈলকূপা উপজেলা, পশ্চিমে আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৭২৪৯১; পুরুষ ৮৯৪৩৮, মহিলা ৮৩০৫৩। মুসলিম ১৬৩০১৩, হিন্দু ৯৪০০, বৌদ্ধ ৩৩ এবং অন্যান্য ৪৫।
জলাশয় কুমার ও নবগঙ্গা নদী এবং নারায়ণকান্দি, ঋণিখালী ও চাঁদপুর বাওড় উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন হরিণাকুন্ড থানা গঠিত হয় ১৮৭৯ সালে। বর্তমানে এটি উপজেলা।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৮ | ৭৪ | ১২৪ | ১৮৩৩২ | ১৫৪১৫৯ | ৭৫৯ | ৪২.২ | ৩৯.৩৮ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
১১.০২ | ১ | ১০২৫২ | ৯৩০ | ৪২.২ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কাপাসহাটি ৬৩ | ৯০৯০ | ১১২১০ | ১০২৮৩ | ৪৩.২৬ | ||||
চাঁদপুর ২১ | ৮৩৬৬ | ১২৭৫২ | ১১৮২২ | ৩৯.৬৯ | ||||
জোড়াদহ ৫২ | ৩৫০৫ | ৬২৮০ | ৫৮৮৬ | ৩৭.৮১ | ||||
তাহেরহুদা ৮৪ | ৬৭২২ | ১১৯৩৫ | ১১০০৭ | ৪১.৭৬ | ||||
দৌলতপুর ৩১ | ৮৯০৬ | ১৪৩৯৫ | ১৩৩০৫ | ৩৯.৫১ | ||||
ভায়না ১০ | ৬০৯৭ | ১০৯৩১ | ১০০৮৪ | ৩৭.৯২ | ||||
রঘুনাথপুর ৭৩ | ৭২৩৩ | ১১০৪২ | ১০৪২১ | ৩৬.১৯ | ||||
ফলসী ৪২ | ৩২৮৪ | ৪৮৭৮ | ৪৫৫১ | ৩৮.৮৬ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ হরিণাকুন্ড জমিদার বাড়ি, জোড়াদহ, ধুলিয়া, ভায়না, সোনাতনপুর ও হরিণাকুন্ডতে নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি এ উপজেলায় মরমী কবি লালন শাহ (১৭৭২-১৮৯০) এবং মরমী সাধক পাঞ্জু শাহ (১৮৫১) জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঘা যতীন ও কিরণ রায় অংশ নেন। এ উপজেলার অধিকাংশ লোক নীল বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার শিতলির মাঠে পাকসেনাদের সঙ্গে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১ (উপজেলার ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশে)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১২৫, মন্দির ১৬, গির্জা ১, তীর্থস্থান ১, মাযার ৫। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: জোড়াদহ গম্বুজ মসজিদ, শ্রীপুর মসজিদ, উপজেলা মসজিদ, পার্বতীপুর মসজিদ, আন্দুলিয়া মসজিদ, কুলবাড়ীয়া ফকির মাহমুদ বিশ্বাসের মাযার, ভবানীপুর কালীমন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪১.৪১%; পুরুষ ৪২%, মহিলা ৩৬.৮%। কলেজ ৫, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৯, মাদ্রাসা ৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারি লালন শাহ কলেজ (১৯৭২), জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৭২), হরিণাকুন্ড প্রিয়নাথ হাইস্কুল (১৮৭২), হরিণাকুন্ড পাইলট হাইস্কুল (১৯৪৫)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী আন্তরিক (অবলুপ্ত)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, নাট্যদল ৪, যাত্রাপার্টি ১, সিনেমা হল ৫, ক্লাব ৩৪।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৮.৪৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.২৯%, শিল্প ০.৭%, ব্যবসা ৯.৯৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৭১%, চাকরি ২.৮৬%, নির্মাণ ০.৬২%, ধর্মীয় সেবা ০.০৭%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৭% এবং অন্যান্য ৩.১৪%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৭.৭৯%, ভূমিহীন ৩২.২১%। শহরে ৫৮.৮১% এবং গ্রামে ৬৮.৮৩% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, গম, পান, আলু, সরিষা, ডাল, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি রাই, তিসি, কাউন, যব, তিল।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, লিচু, জাম, জামরুল, খেজুর, নারিকেল, কুল, বেল, আতা, পেয়ারা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫, গবাদিপশু ২, হাঁস-মুরগি ৭।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১০৭.২৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪৯.৫৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৩৮.৮৭ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, মহিষের গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চালকল, ডালকল, তেলকল, মসলাকল, ময়দাকল, মুড়িকল, বিস্কুট ফ্যাক্টরি।
কুটিরশিল্প মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, নকশিকাঁথা, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৬, মেলা ৩। হরিণাকুন্ড, পার্বতীপুর, ভবানীপুর, জোড়াদহ, পোড়াহাটি চরপাড়া, রিশখালী, দখলপুর, কুলবাড়ীয়া, নারায়ণকান্দি, সাতব্রীজ ও মান্দিয়া বাজার এবং চড়ক পূজার মেলা (কাপাশটিয়া) উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পাট, আখ, পান, কলা, খেজুর গুড়, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৮.৮২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৫.৩%, পুকুর ০.০৬%, ট্যাপ ০.৫০% এবং অন্যান্য ৪.১৪%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১১.৮২% (গ্রামে ১১.০৭% ও শহরে ১৮.২৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪২.৫৩% (গ্রামে ৪২.৩৮% ও শহরে ৪৩.৮১%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৪৫.৬৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ১১, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৩।
এনজিও ব্র্যাক। [টিপু সুলতান বারী]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; হরিণাকুন্ড উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।