সেচের আওতাধীন জমি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''সেচের আওতাধীন জমি''' (Irrigated Soil)  অধিক ফলনের জন্য যেসব আবাদি জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন শস্য, বিশেষ করে বোরো ধান এবং শুষ্ক মৌসুমে গম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের দ্বারা সেচ বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া খরিফ মৌসুমেও কিছু সেচের প্রয়োজন হয়। খরিফ মৌসুমে প্রদত্ত সেচ প্রধানত সম্পূরক এবং তা আমন ধান চাষে প্রদান করা হয়। খরিফ-১ মৌসুমে (মার্চ-জুন) উচ্চ ফলনশীল আউস, উচ্চ ফলনশীল রোপা আউশ, স্থানীয় রোপা ও অন্যান্য আউশ এবং পাটে সেচ প্রদান করা হয়; খরিফ-২ মৌসুমে (জুলাই-অক্টোবর) উচ্চ ফলনশীল আমন, স্থানীয় উন্নত জাতের রোপা আমন, স্থানীয় আমন, রোপা ও মিশ্র আমনে সেচ প্রদান করা হয়; রবি মৌসুমে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) বোরো ধান, গম, গোল আলু, আখ, কলাই, তেলবীজ ইত্যাদি ফসলে সেচ প্রদান করা হয়। মোট চাষাবাদকৃত এলাকার (প্রায় ১৩.৫৩ মিলিয়ন হেক্টর) মধ্যে সেচের আওতাধীন এলাকার পরিমাণ ১৯৮২-৮৩ সালের ১.৫২ মিলিয়ন হেক্টর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৬-০৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৫০৫ মিলিয়ন হেক্টরে। সেচের আওতাধীন এলাকা মূলত অগভীর নলকূপ সংবলিত এলাকাতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
'''সেচের আওতাধীন জমি''' (Irrigated Soil)  অধিক ফলনের জন্য যেসব আবাদি জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন শস্য, বিশেষ করে বোরো ধান এবং শুষ্ক মৌসুমে গম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের দ্বারা সেচ বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া খরিফ মৌসুমেও কিছু সেচের প্রয়োজন হয়। খরিফ মৌসুমে প্রদত্ত সেচ প্রধানত সম্পূরক এবং তা আমন ধান চাষে প্রদান করা হয়। খরিফ-১ মৌসুমে (মার্চ-জুন) উচ্চ ফলনশীল আউস, উচ্চ ফলনশীল রোপা আউশ, স্থানীয় রোপা ও অন্যান্য আউশ এবং পাটে সেচ প্রদান করা হয়; খরিফ-২ মৌসুমে (জুলাই-অক্টোবর) উচ্চ ফলনশীল আমন, স্থানীয় উন্নত জাতের রোপা আমন, স্থানীয় আমন, রোপা ও মিশ্র আমনে সেচ প্রদান করা হয়; রবি মৌসুমে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) বোরো ধান, গম, গোল আলু, আখ, কলাই, তেলবীজ ইত্যাদি ফসলে সেচ প্রদান করা হয়। মোট চাষাবাদকৃত এলাকার (প্রায় ১৩.৫৩ মিলিয়ন হেক্টর) মধ্যে সেচের আওতাধীন এলাকার পরিমাণ ১৯৮২-৮৩ সালের ১.৫২ মিলিয়ন হেক্টর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৬-০৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৫০৫ মিলিয়ন হেক্টরে। সেচের আওতাধীন এলাকা মূলত অগভীর নলকূপ সংবলিত এলাকাতে বৃদ্ধি পেয়েছে।


তুলনামূলকভাবে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বিশাল এলাকা, যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে শুষ্কতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেসব এলাকাই সেচ সিস্টেমের অধীনে রয়েছে।
তুলনামূলকভাবে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বিশাল এলাকা, যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে শুষ্কতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেসব এলাকাই সেচ সিস্টেমের অধীনে রয়েছে। [মোঃ শফিকুর রহমান]
 
[মোঃ শফিকুর রহমান]


''আরও দেখুন'' [[সেচ|সেচ]]; [[ভূমি ব্যবহার|ভূমি ব্যবহার]]।
''আরও দেখুন'' [[সেচ|সেচ]]; [[ভূমি ব্যবহার|ভূমি ব্যবহার]]।

০৬:৪৮, ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সেচের আওতাধীন জমি (Irrigated Soil)  অধিক ফলনের জন্য যেসব আবাদি জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন শস্য, বিশেষ করে বোরো ধান এবং শুষ্ক মৌসুমে গম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের দ্বারা সেচ বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া খরিফ মৌসুমেও কিছু সেচের প্রয়োজন হয়। খরিফ মৌসুমে প্রদত্ত সেচ প্রধানত সম্পূরক এবং তা আমন ধান চাষে প্রদান করা হয়। খরিফ-১ মৌসুমে (মার্চ-জুন) উচ্চ ফলনশীল আউস, উচ্চ ফলনশীল রোপা আউশ, স্থানীয় রোপা ও অন্যান্য আউশ এবং পাটে সেচ প্রদান করা হয়; খরিফ-২ মৌসুমে (জুলাই-অক্টোবর) উচ্চ ফলনশীল আমন, স্থানীয় উন্নত জাতের রোপা আমন, স্থানীয় আমন, রোপা ও মিশ্র আমনে সেচ প্রদান করা হয়; রবি মৌসুমে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) বোরো ধান, গম, গোল আলু, আখ, কলাই, তেলবীজ ইত্যাদি ফসলে সেচ প্রদান করা হয়। মোট চাষাবাদকৃত এলাকার (প্রায় ১৩.৫৩ মিলিয়ন হেক্টর) মধ্যে সেচের আওতাধীন এলাকার পরিমাণ ১৯৮২-৮৩ সালের ১.৫২ মিলিয়ন হেক্টর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৬-০৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৫০৫ মিলিয়ন হেক্টরে। সেচের আওতাধীন এলাকা মূলত অগভীর নলকূপ সংবলিত এলাকাতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তুলনামূলকভাবে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বিশাল এলাকা, যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে শুষ্কতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেসব এলাকাই সেচ সিস্টেমের অধীনে রয়েছে। [মোঃ শফিকুর রহমান]

আরও দেখুন সেচ; ভূমি ব্যবহার