সিরাজগঞ্জ জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪৪ নং লাইন: | ৪৪ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:SirajganjDistrict.jpg|thumb|right| | [[Image:SirajganjDistrict.jpg|thumb|right|400px]] | ||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কালীবাড়িতে গঠিত হয় পলাশডাঙ্গা যুব শিবির। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ যুব শিবির উলেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ২০ এপ্রিল উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা ব্রিজের কাছে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। ২৩ এপ্রিল পাকসেনারা উল্লাপাড়ায় ব্যাপক হত্যা, লুণ্ঠণ, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন করে। ২৫ এপ্রিল এ উপজেলার হাতিকামরুল গোলচত্বরের অদূরে চড়িয়াশিকা ও চড়িয়া কালীবাড়িতে পাকসেনারা বহুলোককে গুলি করে হত্যা করে। ১১ নভেম্বর তাড়াস উপজেলার নওগাঁয় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৩০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ১৯ নভেম্বর চৌহালী উপজেলার সম্ভুদিয়ার পাকসেনা-ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ২৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় আক্রমণ করে সম্ভুদিয়া পাকসেনা-ক্যাম্পের ক্ষতি সাধন করে এবং এ সময় ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। ২৯ নভেম্বর চৌহালী পাকসেনা মুক্ত হয়। ডিসেম্বর মাসে কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৭ ডিসেম্বর বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা বাঁধে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকসেনারা পরাজিত হয়। এছাড়া একই উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের উত্তর পাশে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ২ জন সহোদর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১১-১৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শৈলবাড়িতে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়। ১৪ ডিসেম্বর উল্লাপাড়া পাকসেনা মুক্ত হয়। একই দিনে পাকবাহিনী পরাজিত হয় এবং সিরাজগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কালীবাড়িতে গঠিত হয় পলাশডাঙ্গা যুব শিবির। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ যুব শিবির উলেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ২০ এপ্রিল উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা ব্রিজের কাছে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। ২৩ এপ্রিল পাকসেনারা উল্লাপাড়ায় ব্যাপক হত্যা, লুণ্ঠণ, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন করে। ২৫ এপ্রিল এ উপজেলার হাতিকামরুল গোলচত্বরের অদূরে চড়িয়াশিকা ও চড়িয়া কালীবাড়িতে পাকসেনারা বহুলোককে গুলি করে হত্যা করে। ১১ নভেম্বর তাড়াস উপজেলার নওগাঁয় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৩০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ১৯ নভেম্বর চৌহালী উপজেলার সম্ভুদিয়ার পাকসেনা-ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ২৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় আক্রমণ করে সম্ভুদিয়া পাকসেনা-ক্যাম্পের ক্ষতি সাধন করে এবং এ সময় ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। ২৯ নভেম্বর চৌহালী পাকসেনা মুক্ত হয়। ডিসেম্বর মাসে কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৭ ডিসেম্বর বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা বাঁধে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকসেনারা পরাজিত হয়। এছাড়া একই উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের উত্তর পাশে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ২ জন সহোদর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১১-১৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শৈলবাড়িতে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়। ১৪ ডিসেম্বর উল্লাপাড়া পাকসেনা মুক্ত হয়। একই দিনে পাকবাহিনী পরাজিত হয় এবং সিরাজগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়। | ||
০৬:৩৪, ২২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ জেলা (রাজশাহী বিভাগ) আয়তন: ২৪৯৭.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০১´ থেকে ২৪°৪৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৫´ থেকে ৮৯°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বগুড়া জেলা, দক্ষিণে পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলা, পূর্বে টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা, পশ্চিমে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলা।
জনসংখ্যা ২৬৯৩৮১৪; পুরুষ ১৩৯৭৮৬৩, মহিলা ১২৯৫৯৫১। মুসলিম ২৫৫১৭০৮, হিন্দু ১৪১৪০৬, বৌদ্ধ ৩৭১, খ্রিস্টান ৭০ এবং অন্যান্য ২৫৯।
জলাশয় যমুনা, ইছামতি, করতোয়া, বারনাই, বড়াল, হুরাসাগর ও দূর্গাদহ নদী এবং চলনবিল উলেখযোগ্য। চলনবিলের ১০ ভাগ এই জেলার তাড়াস উপজেলায় অবস্থিত।
প্রশাসন ১৮৮৫ সালে পাবনা জেলার অধীনে সিরাজগঞ্জ মহকুমা গঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে উলাপাড়া উপজেলা সর্ববৃহৎ (৪১৪.৪৩ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট উপজেলা কামারখন্দ (৯১.৬১ বর্গ কিমি)।
জেলা | |||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | উপজেলা | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
শহর | গ্রাম | ||||||||
২৪৯৭.৯২ | ৯ | ৫ | ৭৯ | ১৪৬৭ | ২০২৪ | ৩২১২৫৩ | ২৩৭২৫৬১ | ১৮৪২ | ৪০.৬ |
জেলার অন্যান্য তথ্য | |||||||||
উপজেলার নাম | আয়তন (বর্গ কিমি) | পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |
উল্লাপাড়া | ৪১৪.৪৩ | ১ | ১৩ | ২৬৩ | ৪০৭ | ৪৪৯২৪৩ | ১০৮৪ | ৩৯.৬১ | |
কাজীপুর | ৩৬৮.৬৩ | ১ | ১১ | ১১৪ | ১৫৪ | ২৬৬৯৫০ | ৭২৪ | ৩৮.২৭ | |
কামারখন্দ | ৯১.৬১ | - | ৪ | ৫৫ | ৯৩ | ১২৭৮৩৯ | ১৩৯৫ | ৪২.৫৯ | |
চৌহালী | ২৪৩.৬৭ | - | ৫ | ১৫২ | ১১০ | ১৫৫২৬০ | ৬৩৭ | ৩৭.২৪ | |
তাড়াস | ২৯৭.২ | - | ৮ | ১৭৮ | ২৫২ | ১৬৭৬৪৭ | ৫৬৪ | ৩৫.০৪ | |
বেলকুচি | ১৬৪.৩১ | - | ৬ | ১০৮ | ১৪৩ | ৩০২৬৭৮ | ১৮৪২ | ৪৭.০৩ | |
রায়গঞ্জ | ২৬৭.৮৩ | ১ | ৯ | ১৯৩ | ২৭০ | ২৬৭৫২২ | ৯৯৯ | ৩৫.৫৮ | |
শাহজাদপুর | ৩২৪.৪৭ | ১ | ১৩ | ১৮৭ | ২৯৬ | ৪৭২৫০৫ | ১৪৫৬ | ৩৬.৯৮ | |
সিরাজগঞ্জ সদর | ৩২৫.৭৭ | ১ | ১০ | ২১৭ | ২৯৯ | ৪৮৪১৭০ | ১৫০৪ | ৪৭.৪৪ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কালীবাড়িতে গঠিত হয় পলাশডাঙ্গা যুব শিবির। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ যুব শিবির উলেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ২০ এপ্রিল উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা ব্রিজের কাছে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। ২৩ এপ্রিল পাকসেনারা উল্লাপাড়ায় ব্যাপক হত্যা, লুণ্ঠণ, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন করে। ২৫ এপ্রিল এ উপজেলার হাতিকামরুল গোলচত্বরের অদূরে চড়িয়াশিকা ও চড়িয়া কালীবাড়িতে পাকসেনারা বহুলোককে গুলি করে হত্যা করে। ১১ নভেম্বর তাড়াস উপজেলার নওগাঁয় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৩০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ১৯ নভেম্বর চৌহালী উপজেলার সম্ভুদিয়ার পাকসেনা-ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ২৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় আক্রমণ করে সম্ভুদিয়া পাকসেনা-ক্যাম্পের ক্ষতি সাধন করে এবং এ সময় ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। ২৯ নভেম্বর চৌহালী পাকসেনা মুক্ত হয়। ডিসেম্বর মাসে কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৭ ডিসেম্বর বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা বাঁধে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং পাকসেনারা পরাজিত হয়। এছাড়া একই উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের উত্তর পাশে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ২ জন সহোদর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১১-১৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শৈলবাড়িতে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই হয়। ১৪ ডিসেম্বর উল্লাপাড়া পাকসেনা মুক্ত হয়। একই দিনে পাকবাহিনী পরাজিত হয় এবং সিরাজগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ (কাজীপুর উপজেলার বরইতলা ও তাড়াস উপজেলার আসবাড়িয়া); শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ২ (সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চন্ডীদাসগাতীতে দুর্জয় বাংলা ভাস্কর্য ও উলাপাড়ার ঘাটিনা)।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪০.৬%; পুরুষ ৪৫.৫%, মহিলা ৩৫.৪%। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ২, কলেজ ৮০, আইন কলেজ ১, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ১, নাসিং ইনস্টিটিউট ১, সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ১, প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ১, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ১, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৭৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৬৪, স্যাটেলাইট স্কুল ১৯, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৩৪, কিন্ডার গার্টেন ২, মাদ্রাসা ২৪৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (১৯৪০), নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ, এনায়েতপুর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, ইসলামিয়া কলেজ (১৮৮৭), কাজীপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজ, সরকারি রাশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজ, শাহজাদপুর সরকারি কলেজ, সলংগা ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০), চৌহালী ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০), স্থল পাকগাশী ইন্সটিটিউশন (১৮৬৪), সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, যুব প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট, হরিণা বাগবাটী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৬৬), বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৬৯), পোরজনা মুকুন্দনাথ হাই স্কুল (১৮৮০), শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮২), জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৪), পোতাজিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৪), ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৮), জামিরতা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০০), খাসসাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৪), সোনাতনী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), সলপ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৫), উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৬), শ্যাম কিশোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৩), মোহনপুর কেএম ইনস্টিটিউশন (১৯১৫), মেঘাই ইইউআই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), গান্ধাইল হাইস্কুল (১৯২০), চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২১), পাকরাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৫৬), ঝিকড়া বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৩), এনায়েতপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৮৮৯)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫১.১৪%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৯৯%, শিল্প ১১.০৫%, ব্যবসা ১৪.৪৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০২%, নির্মাণ ১.৪১%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, চাকরি ৬.৩৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৪২% এবং অন্যান্য ৭.৯৬%।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: কলম সৈনিক, যমুনা প্রবাহ, যমুনা সেতু; সাপ্তাহিক: যমুনা বার্তা, সাহসী জনতা, যাহা বলিব সত্য বলিব, আসে যায় এই দিন, সুন্দর বার্তা, আনন্দভোর, সিরাজগঞ্জ বার্তা, সিরাজগঞ্জ কণ্ঠ, দোলনচাঁপা, উলাপাড়া; মাসিক: বিবর্তন, সাহিত্য দর্পণ; অবলুপ্ত সাপ্তাহিক: সমকাল, হিতৈষী, সমযুগ, সিরাজগঞ্জ সমাচার, জেহাদ, কৃষাণ, জনপদ, ইত্তেফাক, নয়া জামানা, যুগের দাবী, মৌসুমী, গণবাংলা; অবলুপ্ত পাক্ষিক: মুকুল, যমুনা (১৯৬৩); অবলুপ্ত মাসিক: যমুনা, আশালতাই, নূর, প্রতিনিধি, তাজকীর, পলী প্রদীপ (১৯৩৫), সেবক, নয়া জামানা, দেশের দাস, প্রতিভা, সাহিত্য; অবলুপ্ত ত্রৈমাসিক: বিজ্ঞান বিচিত্রা।
লোকসংস্কৃতি জারি গান, সারি গান, মুর্শিদি, ভাটিয়ালী গান বেশ জনপ্রিয়। এখানে তীর-ধনুক, লাঠিখেলা, নৌকাবাইচসহ নানা ধরনের খেলাধুলার প্রচলন রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমূখী সেতু, রাউতারা বাঁধ ও স্লুইচ গেট। [কামরুল ইসলাম]
আরও দেখুন সংশ্লিষ্ট উপজেলা।
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; সিরাজগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; সিরাজগঞ্জ জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।