সাপাহার উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''সাপাহার উপজেলা '''([[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ জেলা]]) আয়তন: ২৪৪.৪৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০১´ থেকে ২৫°১৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°২৬´ থেকে ৮৮°৩৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য , দক্ষিণে পোরশা উপজেলা, পূর্বে পত্নীতলা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য । | '''সাপাহার উপজেলা''' ([[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ জেলা]]) আয়তন: ২৪৪.৪৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০১´ থেকে ২৫°১৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°২৬´ থেকে ৮৮°৩৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য , দক্ষিণে পোরশা উপজেলা, পূর্বে পত্নীতলা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য । | ||
''জনসংখ্যা'' ১৪৩৮৫৩; পুরুষ ৭৩৯৭৪, মহিলা ৬৯৮৭৯। মুসলিম ১৩৩৮৯৩, হিন্দু ৬৭৯৬, বৌদ্ধ ১০০৭, খ্রিস্টান ৩১ এবং অন্যান্য ২১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও, মাহালী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। | ''জনসংখ্যা'' ১৪৩৮৫৩; পুরুষ ৭৩৯৭৪, মহিলা ৬৯৮৭৯। মুসলিম ১৩৩৮৯৩, হিন্দু ৬৭৯৬, বৌদ্ধ ১০০৭, খ্রিস্টান ৩১ এবং অন্যান্য ২১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও, মাহালী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। | ||
১০ নং লাইন: | ১০ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| colspan="9" | উপজেলা | |||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || rowspan="2" | জনসংখ্যা || colspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - || ৬ || ১৫১ || ২৩৪ || ১০৬৭৫ || ১৩৩১৭৮ || ৫৮৮ || ৫৯.৩ || ৩৮.৭ | | - || ৬ || ১৫১ || ২৩৪ || ১০৬৭৫ || ১৩৩১৭৮ || ৫৮৮ || ৫৯.৩ || ৩৮.৭ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ৮.৩৯ || ৪ || ১০৬৭৫ || ১২৭২ || ৫৯.৩১ | | ৮.৩৯ || ৪ || ১০৬৭৫ || ১২৭২ || ৫৯.৩১ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৪২ নং লাইন: | ৩৬ নং লাইন: | ||
|- | |- | ||
| আইহাই ৭ || ৯৩৯৩ || ৯৫২৯ || ৯২৩৪ || ৩৬.০৮ | | আইহাই ৭ || ৯৩৯৩ || ৯৫২৯ || ৯২৩৪ || ৩৬.০৮ | ||
|- | |- | ||
| গোয়ালা ৩৯ || ১৪৩০৪ || ১৬৪৩৬ || ১৫৭৯১ || ৩২.৭১ | | গোয়ালা ৩৯ || ১৪৩০৪ || ১৬৪৩৬ || ১৫৭৯১ || ৩২.৭১ | ||
|- | |- | ||
| তিলনা ৯৪ || ৯৯৬৫ || ১০৪৩১ || ৯৮৭৩ || ৫৩.১৩ | | তিলনা ৯৪ || ৯৯৬৫ || ১০৪৩১ || ৯৮৭৩ || ৫৩.১৩ | ||
|- | |- | ||
| পাথরি ৬৩ || ৭০৬৪ || ১১০৫০ || ১০৫৬৯ || ২৫.৮৪ | | পাথরি ৬৩ || ৭০৬৪ || ১১০৫০ || ১০৫৬৯ || ২৫.৮৪ | ||
|- | |- | ||
| শিরন্টি ৭৯ || ১০০০৬ || ১২৭৪২ || ১১৯১৯ || ৪০.৮৮ | | শিরন্টি ৭৯ || ১০০০৬ || ১২৭৪২ || ১১৯১৯ || ৪০.৮৮ | ||
|- | |- | ||
| সাপাহার ৭১ || ৯৬৮৪ || ১৩৭৮৬ || ১২৪৯৩ || ৫২.৪১ | | সাপাহার ৭১ || ৯৬৮৪ || ১৩৭৮৬ || ১২৪৯৩ || ৫২.৪১ | ||
৬০ নং লাইন: | ৪৯ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:SapaharUpazila.jpg|thumb|right|400px]] | |||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে এ উপজেলা ৭ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ১৪ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা হাপানিয়া সড়কে ডিনামাইটের আঘাতে পাকবাহিনীর ১ টি জীপসহ ৫ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। এতে বিক্ষুব্ধ পাকবাহিনী হাপানিয়া ও এর আশেপাশের গ্রামবাসীদের নির্বিচারে হত্যা করে। এ উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের পাহাড়ি পুকুর গ্রামে ও সাপাহার মহিলা কলেজের পিছনে হাতিডাঙ্গা নামক স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হয়। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে এ উপজেলা ৭ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ১৪ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা হাপানিয়া সড়কে ডিনামাইটের আঘাতে পাকবাহিনীর ১ টি জীপসহ ৫ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। এতে বিক্ষুব্ধ পাকবাহিনী হাপানিয়া ও এর আশেপাশের গ্রামবাসীদের নির্বিচারে হত্যা করে। এ উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের পাহাড়ি পুকুর গ্রামে ও সাপাহার মহিলা কলেজের পিছনে হাতিডাঙ্গা নামক স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হয়। | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (হাতিডাঙ্গা)। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (হাতিডাঙ্গা)। | ||
ধর্মীয় | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২২৫, মন্দির ২৩, কেয়াং ৬৭, গির্জা ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: তিলনা মসজিদ, আলীনগর জামে মসজিদ, পুনর্ভবা নদীর পাড়ে শ্মশানঘাট ও মন্দির। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪০.৪%; পুরুষ ৪৩.৬%, মহিলা ৩৭%। কলেজ ৬, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১৪, কেজি স্কুল ৩, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, মাদ্রাসা ৫১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সাপাহার সরকারি ডিগ্রী কলেজ (১৯৭৩), সাপাহার মহিলা কলেজ (১৯৯৫), খাট্টাপাড়া এম এল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), তিলনা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬২), মিরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), কোচকোড়িলা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), সাপাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), পাথরি ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৬১)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪০.৪%; পুরুষ ৪৩.৬%, মহিলা ৩৭%। কলেজ ৬, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১৪, কেজি স্কুল ৩, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, মাদ্রাসা ৫১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সাপাহার সরকারি ডিগ্রী কলেজ (১৯৭৩), সাপাহার মহিলা কলেজ (১৯৯৫), খাট্টাপাড়া এম এল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), তিলনা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬২), মিরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), কোচকোড়িলা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), সাপাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), পাথরি ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৬১)। | ||
৮০ নং লাইন: | ৬৬ নং লাইন: | ||
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, সরিষা, শাকসবজি। | ''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, সরিষা, শাকসবজি। | ||
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' আউশ ধান, তিল, তিসি, অড়হর। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, তরমুজ। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১১, গবাদিপশু ৮, হাঁস-মুরগি ৩২। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১১, গবাদিপশু ৮, হাঁস-মুরগি ৩২। | ||
যোগাযোগ | ''যোগাযোগ বিশেষত'' পাকারাস্তা ৬৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩০, কাঁচারাস্তা ২৬৫ কিমি। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি। | ||
৯২ নং লাইন: | ৭৮ নং লাইন: | ||
''শিল্প ও কলকারখানা'' চালকল, আটাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা। | ''শিল্প ও কলকারখানা'' চালকল, আটাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা। | ||
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, বুননশিল্প, বাঁশের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা। | ''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, বুননশিল্প, বাঁশের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা। | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৩, মেলা ২। সাপাহার হাট, দীঘিরপাড়া হাট, মিরাপাড়া হাট, পোড়ামধইল হাট, নিশ্চিন্তপুর বাজার, শিরন্টি বাজার, পাথরি বাজার, তিলনা বাজার, গোপালপুর বাজার উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ২৩, মেলা ২। সাপাহার হাট, দীঘিরপাড়া হাট, মিরাপাড়া হাট, পোড়ামধইল হাট, নিশ্চিন্তপুর বাজার, শিরন্টি বাজার, পাথরি বাজার, তিলনা বাজার, গোপালপুর বাজার উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, গম, সরিষা, তরমুজ। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.১৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.১৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
১০৬ নং লাইন: | ৯২ নং লাইন: | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (আর ডি) ৯, ক্লিনিক ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৭। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (আর ডি) ৯, ক্লিনিক ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৭। | ||
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, উজ্জীবন, কারিতাস। | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, উজ্জীবন, কারিতাস। [মো. মোখলেছুর রহমান] | ||
[মো. মোখলেছুর রহমান] | |||
'''তথ্যসূত্র''' | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; সাপাহার উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Sapahar Upazila]] | [[en:Sapahar Upazila]] |
১০:২০, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সাপাহার উপজেলা (নওগাঁ জেলা) আয়তন: ২৪৪.৪৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০১´ থেকে ২৫°১৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°২৬´ থেকে ৮৮°৩৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য , দক্ষিণে পোরশা উপজেলা, পূর্বে পত্নীতলা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ।
জনসংখ্যা ১৪৩৮৫৩; পুরুষ ৭৩৯৭৪, মহিলা ৬৯৮৭৯। মুসলিম ১৩৩৮৯৩, হিন্দু ৬৭৯৬, বৌদ্ধ ১০০৭, খ্রিস্টান ৩১ এবং অন্যান্য ২১২৬। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওঁরাও, মাহালী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় প্রধান নদী: পূনর্ভবা।
প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৯৭৯ এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১ মার্চ ১৯৮৫ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৬ | ১৫১ | ২৩৪ | ১০৬৭৫ | ১৩৩১৭৮ | ৫৮৮ | ৫৯.৩ | ৩৮.৭ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৮.৩৯ | ৪ | ১০৬৭৫ | ১২৭২ | ৫৯.৩১ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আইহাই ৭ | ৯৩৯৩ | ৯৫২৯ | ৯২৩৪ | ৩৬.০৮ | ||||
গোয়ালা ৩৯ | ১৪৩০৪ | ১৬৪৩৬ | ১৫৭৯১ | ৩২.৭১ | ||||
তিলনা ৯৪ | ৯৯৬৫ | ১০৪৩১ | ৯৮৭৩ | ৫৩.১৩ | ||||
পাথরি ৬৩ | ৭০৬৪ | ১১০৫০ | ১০৫৬৯ | ২৫.৮৪ | ||||
শিরন্টি ৭৯ | ১০০০৬ | ১২৭৪২ | ১১৯১৯ | ৪০.৮৮ | ||||
সাপাহার ৭১ | ৯৬৮৪ | ১৩৭৮৬ | ১২৪৯৩ | ৫২.৪১ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে এ উপজেলা ৭ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ১৪ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা হাপানিয়া সড়কে ডিনামাইটের আঘাতে পাকবাহিনীর ১ টি জীপসহ ৫ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। এতে বিক্ষুব্ধ পাকবাহিনী হাপানিয়া ও এর আশেপাশের গ্রামবাসীদের নির্বিচারে হত্যা করে। এ উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের পাহাড়ি পুকুর গ্রামে ও সাপাহার মহিলা কলেজের পিছনে হাতিডাঙ্গা নামক স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ১ (হাতিডাঙ্গা)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২২৫, মন্দির ২৩, কেয়াং ৬৭, গির্জা ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: তিলনা মসজিদ, আলীনগর জামে মসজিদ, পুনর্ভবা নদীর পাড়ে শ্মশানঘাট ও মন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪০.৪%; পুরুষ ৪৩.৬%, মহিলা ৩৭%। কলেজ ৬, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১৪, কেজি স্কুল ৩, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১, মাদ্রাসা ৫১। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সাপাহার সরকারি ডিগ্রী কলেজ (১৯৭৩), সাপাহার মহিলা কলেজ (১৯৯৫), খাট্টাপাড়া এম এল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), তিলনা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬২), মিরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), কোচকোড়িলা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), সাপাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), পাথরি ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৬১)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী যুগের বাণী (অনিয়মিত)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৫৫, লাইব্রেরি ৩, সিনেমা হল ১, নাট্যমঞ্চ ১, নাট্যদল ৪, খেলার মাঠ ৩০।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৯.০৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.২৩%, ব্যবসা ৭.৪৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৩২%, চাকরি ৩.৭৬%, নির্মাণ ০.৩৭%, ধর্মীয় সেবা ০.১০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.০৭% এবং অন্যান্য ৫.৬৬%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, সরিষা, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি আউশ ধান, তিল, তিসি, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, তরমুজ।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১১, গবাদিপশু ৮, হাঁস-মুরগি ৩২।
যোগাযোগ বিশেষত পাকারাস্তা ৬৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩০, কাঁচারাস্তা ২৬৫ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চালকল, আটাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, বুননশিল্প, বাঁশের কাজ, নকশি কাঁথা, নকশি পাখা।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৩, মেলা ২। সাপাহার হাট, দীঘিরপাড়া হাট, মিরাপাড়া হাট, পোড়ামধইল হাট, নিশ্চিন্তপুর বাজার, শিরন্টি বাজার, পাথরি বাজার, তিলনা বাজার, গোপালপুর বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, গম, সরিষা, তরমুজ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.১৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৬৯.৪৪%, ট্যাপ ০.৫২%, পুকুর ১.২১%, অন্যান্য ২৮.৮৩%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলায় ১০.৮৫% (গ্রামে ৮.৫৪% এবং শহরে ৩৭.৮৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৯.২৫% (গ্রামে ১৯.৩৩% এবং শহরে ১৮.২৬%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৬৯.৯০% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (আর ডি) ৯, ক্লিনিক ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৭।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, উজ্জীবন, কারিতাস। [মো. মোখলেছুর রহমান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; সাপাহার উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।