সাংবিধানিক ঘোষণা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''সাংবিধানিক ঘোষণা'''  ১৯৭৫ সালের আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত নিম্নলিখিত ঘোষণাগুলো বাংলাদেশ সংবিধানের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
'''সাংবিধানিক ঘোষণা'''  ১৯৭৫ সালের আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত নিম্নলিখিত ঘোষণাগুলো বাংলাদেশ সংবিধানের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।


১৯৭৫ সালের ২০ আগস্টের ঘোষণা  রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমদ ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট এ ঘোষণা জারি করেন। এ ঘোষণাবলে সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং ৫ম ভাগের ক অধ্যায় তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি বিলোপ করা হয়।
''১৯৭৫ সালের ২০ আগস্টের ঘোষণা''  রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমদ ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট এ ঘোষণা জারি করেন। এ ঘোষণাবলে সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং ৫ম ভাগের ক অধ্যায় তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি বিলোপ করা হয়।


১৯৭৫ সালের ৮ নভেম্বরের ঘোষণা  রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এ ঘোষণা জারি করেন। এর দ্বারা তিনি নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন, সশস্ত্রবাহিনীর তিন প্রধানকে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ রহিত করেন।
''১৯৭৫ সালের ৮ নভেম্বরের ঘোষণা''  রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এ ঘোষণা জারি করেন। এর দ্বারা তিনি নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন, সশস্ত্রবাহিনীর তিন প্রধানকে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ রহিত করেন।


দ্বিতীয় ঘোষণা (তৃতীয় সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৫  ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর জারিকৃত এ আদেশবলে (১৯৭৫ সালের ৩ নং ঘোষণা আদেশ) সংবিধানের ৬৬ ও ১২২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। এ ঘোষণায় ‘বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ ১৯৭২’ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮, ১৯৭২) বিলুপ্ত করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫)।
''দ্বিতীয় ঘোষণা (তৃতীয় সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৫''  ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর জারিকৃত এ আদেশবলে (১৯৭৫ সালের ৩ নং ঘোষণা আদেশ) সংবিধানের ৬৬ ও ১২২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। এ ঘোষণায় ‘বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ ১৯৭২’ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮, ১৯৭২) বিলুপ্ত করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫)।


দ্বিতীয় ঘোষণা (চতুর্থ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬  ১৯৭৬ সালের দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ নং ১ জারি হয় ১৯৭৬ সালের ২২ জানুয়ারি। এর দ্বারা সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২২ জানুয়ারি ১৯৭৬)।
''দ্বিতীয় ঘোষণা (চতুর্থ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬''  ১৯৭৬ সালের দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ নং ১ জারি হয় ১৯৭৬ সালের ২২ জানুয়ারি। এর দ্বারা সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২২ জানুয়ারি ১৯৭৬)।


দ্বিতীয় ঘোষণা (ষষ্ঠ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬  ১৯৭৬ সালের ৪ মে তারিখে জারিকৃত ১৯৭৬ সালের দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ নং ৩ দ্বারা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের বিধান বিলুপ্ত করা হয়। (বাংলাদেশ সরকার, ১৯৭৬)।
''দ্বিতীয় ঘোষণা (ষষ্ঠ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬''  ১৯৭৬ সালের ৪ মে তারিখে জারিকৃত ১৯৭৬ সালের দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ নং ৩ দ্বারা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের বিধান বিলুপ্ত করা হয়। (বাংলাদেশ সরকার, ১৯৭৬)।


দ্বিতীয় ঘোষণা (সপ্তম সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬  ১৯৭৬ সালের ২৮ মে জারিকৃত এ আদেশবলে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ পুনর্বিন্যাস, ৬ষ্ঠ ভাগের প্রথম অধ্যায় প্রতিস্থাপন, অনুচ্ছেদ ৮৮, ১১৪, ১১৭, ১৪৭ ও ১৫২ এবং সংবিধানের তৃতীয় শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২৮ মে ১৯৭৬)।
''দ্বিতীয় ঘোষণা (সপ্তম সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬''  ১৯৭৬ সালের ২৮ মে জারিকৃত এ আদেশবলে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ পুনর্বিন্যাস, ৬ষ্ঠ ভাগের প্রথম অধ্যায় প্রতিস্থাপন, অনুচ্ছেদ ৮৮, ১১৪, ১১৭, ১৪৭ ও ১৫২ এবং সংবিধানের তৃতীয় শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২৮ মে ১৯৭৬)।


ঘোষণা (সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৭  ১৯৭৭ সালের ২৩ এপ্রিল জারিকৃত ১৯৭৭ সালের ১নং ঘোষণা আদেশ বলে সংবিধানে ৬ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন, সংবিধানের মুখবন্ধ পরিবর্তন এবং ৮, ৯, ১০, ২৫, ৪২, ৪৭, ৯৩, ১০৫, ১০৭, ১১৮, ১২৯ ও ১৩৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। ১২ অনুচ্ছেদ বিলোপ ও সংবিধানের চতুর্থ শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২৩ এপ্রিল ১৯৭৭)।
''ঘোষণা (সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৭''  ১৯৭৭ সালের ২৩ এপ্রিল জারিকৃত ১৯৭৭ সালের ১নং ঘোষণা আদেশ বলে সংবিধানে ৬ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন, সংবিধানের মুখবন্ধ পরিবর্তন এবং ৮, ৯, ১০, ২৫, ৪২, ৪৭, ৯৩, ১০৫, ১০৭, ১১৮, ১২৯ ও ১৩৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। ১২ অনুচ্ছেদ বিলোপ ও সংবিধানের চতুর্থ শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২৩ এপ্রিল ১৯৭৭)।


দ্বিতীয় ঘোষণা (পঞ্চদশ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৮  ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারিকৃত দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ (১৯৭৮ সালের ৪নং ঘোষণা আদেশ) দ্বারা প্রধানত (ক) সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন, (খ) সংবিধানের ৬৫, ৬৬, ৭৩ক, ৮০, ৯২, ১১৬, ১৪২, ১৪৫, ১৪৭ ও ১৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং (গ) সংবিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৮)।  [এমাজউদ্দীন আহমদ]
''দ্বিতীয় ঘোষণা (পঞ্চদশ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৮''  ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারিকৃত দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ (১৯৭৮ সালের ৪নং ঘোষণা আদেশ) দ্বারা প্রধানত (ক) সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন, (খ) সংবিধানের ৬৫, ৬৬, ৭৩ক, ৮০, ৯২, ১১৬, ১৪২, ১৪৫, ১৪৭ ও ১৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং (গ) সংবিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৮)।  [এমাজউদ্দীন আহমদ]


[[en:Proclamation]]
[[en:Proclamation]]

০৭:৪৭, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সাংবিধানিক ঘোষণা  ১৯৭৫ সালের আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জারিকৃত নিম্নলিখিত ঘোষণাগুলো বাংলাদেশ সংবিধানের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

১৯৭৫ সালের ২০ আগস্টের ঘোষণা  রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমদ ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট এ ঘোষণা জারি করেন। এ ঘোষণাবলে সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং ৫ম ভাগের ক অধ্যায় তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি বিলোপ করা হয়।

১৯৭৫ সালের ৮ নভেম্বরের ঘোষণা রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এ ঘোষণা জারি করেন। এর দ্বারা তিনি নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন, সশস্ত্রবাহিনীর তিন প্রধানকে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ রহিত করেন।

দ্বিতীয় ঘোষণা (তৃতীয় সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৫  ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর জারিকৃত এ আদেশবলে (১৯৭৫ সালের ৩ নং ঘোষণা আদেশ) সংবিধানের ৬৬ ও ১২২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। এ ঘোষণায় ‘বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ ১৯৭২’ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮, ১৯৭২) বিলুপ্ত করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫)।

দ্বিতীয় ঘোষণা (চতুর্থ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬  ১৯৭৬ সালের দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ নং ১ জারি হয় ১৯৭৬ সালের ২২ জানুয়ারি। এর দ্বারা সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২২ জানুয়ারি ১৯৭৬)।

দ্বিতীয় ঘোষণা (ষষ্ঠ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬  ১৯৭৬ সালের ৪ মে তারিখে জারিকৃত ১৯৭৬ সালের দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ নং ৩ দ্বারা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের বিধান বিলুপ্ত করা হয়। (বাংলাদেশ সরকার, ১৯৭৬)।

দ্বিতীয় ঘোষণা (সপ্তম সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৬  ১৯৭৬ সালের ২৮ মে জারিকৃত এ আদেশবলে সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ পুনর্বিন্যাস, ৬ষ্ঠ ভাগের প্রথম অধ্যায় প্রতিস্থাপন, অনুচ্ছেদ ৮৮, ১১৪, ১১৭, ১৪৭ ও ১৫২ এবং সংবিধানের তৃতীয় শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২৮ মে ১৯৭৬)।

ঘোষণা (সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৭  ১৯৭৭ সালের ২৩ এপ্রিল জারিকৃত ১৯৭৭ সালের ১নং ঘোষণা আদেশ বলে সংবিধানে ৬ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন, সংবিধানের মুখবন্ধ পরিবর্তন এবং ৮, ৯, ১০, ২৫, ৪২, ৪৭, ৯৩, ১০৫, ১০৭, ১১৮, ১২৯ ও ১৩৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। ১২ অনুচ্ছেদ বিলোপ ও সংবিধানের চতুর্থ শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ২৩ এপ্রিল ১৯৭৭)।

দ্বিতীয় ঘোষণা (পঞ্চদশ সংশোধনী) আদেশ ১৯৭৮  ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারিকৃত দ্বিতীয় ঘোষণা আদেশ (১৯৭৮ সালের ৪নং ঘোষণা আদেশ) দ্বারা প্রধানত (ক) সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন, (খ) সংবিধানের ৬৫, ৬৬, ৭৩ক, ৮০, ৯২, ১১৬, ১৪২, ১৪৫, ১৪৭ ও ১৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন এবং (গ) সংবিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ শিডিউল সংশোধন করা হয় (বাংলাদেশ সরকার, ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৮)।  [এমাজউদ্দীন আহমদ]