রাউজান আর.আর.এ.সি আদর্শ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''রাউজান আর.আর.এ.সি আদর্শ বিদ্যালয়'''  ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয় চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের আমলে রাউজান সুলতানপুর গ্রামে দাতারাম চৌধুরী নামক একজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। মুন্সেফ শোকর আলীর প্রচেষ্টায় ১৮৬২ সালে বিদ্যালয়টি রাউজান থানা সদরে স্থানান্তরিত হয় এবং মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। বিদ্যালয় গৃহটি দুবার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয়বার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়া বিদ্যালয় গৃহ পুনর্নির্মাণের জন্য ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গণির শরণাপন্ন হন। তাঁর দেওয়া অর্থ ও স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং নাম রাখা হয় নবাব আবদুল গণি নিউ ইংলিশ স্কুল। মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন দ্বারিকানাথ বিশ্বাস। ১৮৯৮ সালে ডাবুয়ার জমিদার রামগতি ধর এবং রামধন বিদ্যালয়ের জন্য জমি ও ৭ হাজার টাকা দান করে এটিকে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হতে সহায়তা করেন। ১৯১৯ সালের এই বিদ্যালয়ের পাশে ফটিকছড়ির দৌলতপুরের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আবদুল বারি চৌধুরী একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হলে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ দুটি বিদ্যালয়কে একটি বিদ্যালয়ে পরিণত করেন। ১৯২১ সালে তা আর.আর.এ.সি ইনস্টিটিউশন নামে নবযাত্রা শুরু করে।
'''রাউজান আর.আর.এ.সি আদর্শ বিদ্যালয়'''  ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয় চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের আমলে রাউজান সুলতানপুর গ্রামে দাতারাম চৌধুরী নামক একজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। মুন্সেফ শোকর আলীর প্রচেষ্টায় ১৮৬২ সালে বিদ্যালয়টি রাউজান থানা সদরে স্থানান্তরিত হয় এবং মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। বিদ্যালয় গৃহটি দুবার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয়বার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়া বিদ্যালয় গৃহ পুনর্নির্মাণের জন্য ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গণির শরণাপন্ন হন। তাঁর দেওয়া অর্থ ও স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং নাম রাখা হয় নবাব আবদুল গণি নিউ ইংলিশ স্কুল। মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন দ্বারিকানাথ বিশ্বাস। ১৮৯৮ সালে ডাবুয়ার জমিদার রামগতি ধর এবং রামধন বিদ্যালয়ের জন্য জমি ও ৭ হাজার টাকা দান করে এটিকে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হতে সহায়তা করেন। ১৯১৯ সালের এই বিদ্যালয়ের পাশে ফটিকছড়ির দৌলতপুরের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আবদুল বারি চৌধুরী একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হলে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ দুটি বিদ্যালয়কে একটি বিদ্যালয়ে পরিণত করেন। ১৯২১ সালে তা আর.আর.এ.সি ইনস্টিটিউশন নামে নবযাত্রা শুরু করে।


ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন বিদ্যালয় হলেও স্কুলটির ১৯২১ পরবর্তী প্রায় আশি বছর তেমন বর্ণময় নয়। এই সময়ে স্কুলটির ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০০১ সালে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১২০০ ও ৩২ জন।
ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন বিদ্যালয় হলেও স্কুলটির ১৯২১ পরবর্তী প্রায় আশি বছর তেমন বর্ণময় নয়। এই সময়ে স্কুলটির ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০০১ সালে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১২০০ ও ৩২ জন। [সাদাত উল্লাহ খান]
 
[সাদাত উল্লাহ খান]


[[en:Raozan RRAC Adarsha School]]
[[en:Raozan RRAC Adarsha School]]

০৯:১৭, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

রাউজান আর.আর.এ.সি আদর্শ বিদ্যালয়  ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয় চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের আমলে রাউজান সুলতানপুর গ্রামে দাতারাম চৌধুরী নামক একজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। মুন্সেফ শোকর আলীর প্রচেষ্টায় ১৮৬২ সালে বিদ্যালয়টি রাউজান থানা সদরে স্থানান্তরিত হয় এবং মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। বিদ্যালয় গৃহটি দুবার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয়বার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়া বিদ্যালয় গৃহ পুনর্নির্মাণের জন্য ঢাকার নবাব খাজা আবদুল গণির শরণাপন্ন হন। তাঁর দেওয়া অর্থ ও স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং নাম রাখা হয় নবাব আবদুল গণি নিউ ইংলিশ স্কুল। মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন দ্বারিকানাথ বিশ্বাস। ১৮৯৮ সালে ডাবুয়ার জমিদার রামগতি ধর এবং রামধন বিদ্যালয়ের জন্য জমি ও ৭ হাজার টাকা দান করে এটিকে ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হতে সহায়তা করেন। ১৯১৯ সালের এই বিদ্যালয়ের পাশে ফটিকছড়ির দৌলতপুরের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আবদুল বারি চৌধুরী একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হলে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ দুটি বিদ্যালয়কে একটি বিদ্যালয়ে পরিণত করেন। ১৯২১ সালে তা আর.আর.এ.সি ইনস্টিটিউশন নামে নবযাত্রা শুরু করে।

ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন বিদ্যালয় হলেও স্কুলটির ১৯২১ পরবর্তী প্রায় আশি বছর তেমন বর্ণময় নয়। এই সময়ে স্কুলটির ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০০১ সালে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১২০০ ও ৩২ জন। [সাদাত উল্লাহ খান]