রাইটার্স বিল্ডিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''রাইটার্স বিল্ডিং'''  ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় ভবন এবং বর্তমানে মূখ্যমন্ত্রীর সরকারী দফতর।''' '''১৭০২ সালে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফোর্ট উইলিয়াম প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘকাল একই নামেই এ ভবনটি তার  ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৭৭৬ সালে বাংলায় ব্রিটিশদের প্রকৃত শাসন শুরু হলে কোম্পানির করণিক বা রাইটারদের কাজ বহুবিধ হয়ে যায়। ফলে তাদেরকে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে একিভূত করতে গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংস একটি নতুন কাঠামো নির্ধারণ করেন। সে সময় থেকেই এ ভবনটি রাইটার্স বিল্ডিং’ নামে পরিচিত হয়। তবে, ১৮০০ সাল পর্যন্ত এ ভবন কোম্পানির করণিকদের আবাসিক ভবনের কাজে ব্যবহূত হয়েছে। ভবনের একাংশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের কার্যক্রম শুরু হলে রাইটারদের বাসস্থান স্থানান্তর করা হয়। এরপর রাইটার্স বিল্ডিং ব্রিটিশ উপনিবেশিক রাষ্ট্রের সচিবালয়ে পরিণত হয় এবং উপনিবেশিক রাষ্ট্রের প্রশাসনিক প্রয়োজনের তাগিদে ভবনও পরিসরে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভবন সম্প্রসারনের কাজ হয় সবচেয়ে বেশি ১৮২১, ১৮৩০, ১৮৭১-১৮৮২ এবং ১৮৭৯ সালে। প্রত্যেকবারই মূল ভবনের সঙ্গে নতুন নতুন অংশ সংযুক্ত হয়ে রাইটার্স বিল্ডিং তার বর্তমান কাঠামো ধারণ করেছে।
'''রাইটার্স বিল্ডিং'''  ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় ভবন এবং বর্তমানে মূখ্যমন্ত্রীর সরকারী দফতর।''' '''১৭০২ সালে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফোর্ট উইলিয়াম প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘকাল একই নামেই এ ভবনটি তার  ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৭৭৬ সালে বাংলায় ব্রিটিশদের প্রকৃত শাসন শুরু হলে কোম্পানির করণিক বা রাইটারদের কাজ বহুবিধ হয়ে যায়। ফলে তাদেরকে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে একিভূত করতে গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংস একটি নতুন কাঠামো নির্ধারণ করেন। সে সময় থেকেই এ ভবনটি রাইটার্স বিল্ডিং’ নামে পরিচিত হয়। তবে, ১৮০০ সাল পর্যন্ত এ ভবন কোম্পানির করণিকদের আবাসিক ভবনের কাজে ব্যবহূত হয়েছে। ভবনের একাংশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের কার্যক্রম শুরু হলে রাইটারদের বাসস্থান স্থানান্তর করা হয়। এরপর রাইটার্স বিল্ডিং ব্রিটিশ উপনিবেশিক রাষ্ট্রের সচিবালয়ে পরিণত হয় এবং উপনিবেশিক রাষ্ট্রের প্রশাসনিক প্রয়োজনের তাগিদে ভবনও পরিসরে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভবন সম্প্রসারনের কাজ হয় সবচেয়ে বেশি ১৮২১, ১৮৩০, ১৮৭১-১৮৮২ এবং ১৮৭৯ সালে। প্রত্যেকবারই মূল ভবনের সঙ্গে নতুন নতুন অংশ সংযুক্ত হয়ে রাইটার্স বিল্ডিং তার বর্তমান কাঠামো ধারণ করেছে।


[[Image:WritersBuilding.jpg|thumb|right|রাইটার্স বিল্ডিং, কলকাতা
[[Image:WritersBuilding.jpg|thumb|right|400px|রাইটার্স বিল্ডিং, কলকাতা]]
]]
 
 
শাস্ত্রীয় ইউরোপীয় স্থাপত্যিক ধারায় নির্মিত রাইটার্স বিল্ডিং যুগপতভাবে প্রথমে কোম্পানির রাইটারদের আবাসিক ভবন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও তা পরিণত হয় ব্রিটিশ সরকারের রাজকীয় দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান কেন্দ্র হিসেবে। যদিও বাংলার সাধারণ জনগনের কাছে রাইটারর্স বিল্ডিং আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার, লাল ফিতার দৌরাত্বের এবং দূর্নীতির প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারতের সর্বত্র এবং তার বাইরেও বিভিন্ন লিখিত বর্ণনায় যখনই উপনিবেশিক রাষ্ট্র ক্ষমতার, আমলাতান্ত্রিক মহিমার, লবিং এবং দূর্নীতির প্রসঙ্গ আসে তখন প্রতীক হিসেবে রাইটার্স বিল্ডিং এর প্রসঙ্গই সবার আগে আসে।  [নাসরীন আক্তার]
শাস্ত্রীয় ইউরোপীয় স্থাপত্যিক ধারায় নির্মিত রাইটার্স বিল্ডিং যুগপতভাবে প্রথমে কোম্পানির রাইটারদের আবাসিক ভবন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও তা পরিণত হয় ব্রিটিশ সরকারের রাজকীয় দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান কেন্দ্র হিসেবে। যদিও বাংলার সাধারণ জনগনের কাছে রাইটারর্স বিল্ডিং আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার, লাল ফিতার দৌরাত্বের এবং দূর্নীতির প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারতের সর্বত্র এবং তার বাইরেও বিভিন্ন লিখিত বর্ণনায় যখনই উপনিবেশিক রাষ্ট্র ক্ষমতার, আমলাতান্ত্রিক মহিমার, লবিং এবং দূর্নীতির প্রসঙ্গ আসে তখন প্রতীক হিসেবে রাইটার্স বিল্ডিং এর প্রসঙ্গই সবার আগে আসে।  [নাসরীন আক্তার]



০৯:১৬, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রাইটার্স বিল্ডিং  ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় ভবন এবং বর্তমানে মূখ্যমন্ত্রীর সরকারী দফতর। ১৭০২ সালে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফোর্ট উইলিয়াম প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘকাল একই নামেই এ ভবনটি তার  ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৭৭৬ সালে বাংলায় ব্রিটিশদের প্রকৃত শাসন শুরু হলে কোম্পানির করণিক বা রাইটারদের কাজ বহুবিধ হয়ে যায়। ফলে তাদেরকে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে একিভূত করতে গভর্ণর ওয়ারেন হেস্টিংস একটি নতুন কাঠামো নির্ধারণ করেন। সে সময় থেকেই এ ভবনটি রাইটার্স বিল্ডিং’ নামে পরিচিত হয়। তবে, ১৮০০ সাল পর্যন্ত এ ভবন কোম্পানির করণিকদের আবাসিক ভবনের কাজে ব্যবহূত হয়েছে। ভবনের একাংশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের কার্যক্রম শুরু হলে রাইটারদের বাসস্থান স্থানান্তর করা হয়। এরপর রাইটার্স বিল্ডিং ব্রিটিশ উপনিবেশিক রাষ্ট্রের সচিবালয়ে পরিণত হয় এবং উপনিবেশিক রাষ্ট্রের প্রশাসনিক প্রয়োজনের তাগিদে ভবনও পরিসরে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভবন সম্প্রসারনের কাজ হয় সবচেয়ে বেশি ১৮২১, ১৮৩০, ১৮৭১-১৮৮২ এবং ১৮৭৯ সালে। প্রত্যেকবারই মূল ভবনের সঙ্গে নতুন নতুন অংশ সংযুক্ত হয়ে রাইটার্স বিল্ডিং তার বর্তমান কাঠামো ধারণ করেছে।

রাইটার্স বিল্ডিং, কলকাতা

শাস্ত্রীয় ইউরোপীয় স্থাপত্যিক ধারায় নির্মিত রাইটার্স বিল্ডিং যুগপতভাবে প্রথমে কোম্পানির রাইটারদের আবাসিক ভবন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও তা পরিণত হয় ব্রিটিশ সরকারের রাজকীয় দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান কেন্দ্র হিসেবে। যদিও বাংলার সাধারণ জনগনের কাছে রাইটারর্স বিল্ডিং আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার, লাল ফিতার দৌরাত্বের এবং দূর্নীতির প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারতের সর্বত্র এবং তার বাইরেও বিভিন্ন লিখিত বর্ণনায় যখনই উপনিবেশিক রাষ্ট্র ক্ষমতার, আমলাতান্ত্রিক মহিমার, লবিং এবং দূর্নীতির প্রসঙ্গ আসে তখন প্রতীক হিসেবে রাইটার্স বিল্ডিং এর প্রসঙ্গই সবার আগে আসে।  [নাসরীন আক্তার]