ম্যারাসমাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
১৯৯৮ সালে এই প্রকল্পের এক মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, প্রকল্প এলাকায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির সর্বনিম্ন হার ১৩ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পটি আগামী ১৫ বছরের মধ্যে সম্প্রসারিত হয়ে দেশের সকল গ্রামীণ অঞ্চলে পৌঁছে যাবে। | ১৯৯৮ সালে এই প্রকল্পের এক মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, প্রকল্প এলাকায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির সর্বনিম্ন হার ১৩ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পটি আগামী ১৫ বছরের মধ্যে সম্প্রসারিত হয়ে দেশের সকল গ্রামীণ অঞ্চলে পৌঁছে যাবে। | ||
অপুষ্টি রোধের জন্য পুষ্টিগত ঘাটতিপূরণ ও মায়েদের শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক জরুরি করণীয়। শিশুকে বুকের দুধদান এবং মাতৃমঙ্গল ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় মায়েদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। | অপুষ্টি রোধের জন্য পুষ্টিগত ঘাটতিপূরণ ও মায়েদের শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক জরুরি করণীয়। শিশুকে বুকের দুধদান এবং মাতৃমঙ্গল ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় মায়েদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। [এস.এম হুমায়ুন কবির] | ||
''আরও দেখুন'' [[পরিবার পরিকল্পনা|পরিবার পরিকল্পনা]]; [[কোয়াশিওরকর|কোয়াশিওরকর]]; [[অপুষ্টি|অপুষ্টি]]। | |||
''আরও দেখুন'' পরিবার পরিকল্পনা; কোয়াশিওরকর; | |||
[[en:Marasmus]] | [[en:Marasmus]] |
০৯:১২, ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ম্যারাসমাস নবজাতক এবং কম বয়সী শিশুদের অপুষ্টি ও দুর্বলতাজনিত ব্যাধি। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী দরিদ্র শিশুদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ ব্যাধি। অপর্যাপ্ত খাদ্যগ্রহণ, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব ও ক্যালরি ঘাটতি এই অসুখের কারণ।
ম্যারাসমাসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অত্যধিক দুর্বলতা, দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে বাধা এবং ওজনহানি। এ ব্যাধিতে শরীরে পানি জমে না বা যকৃতের আকার বৃদ্ধি পায় না; তবে মস্তিষ্ক ও করোটির বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, ফলে দেহ হয় দীর্ঘ ও চর্মসার, ওজনের আনুপাতিক হিসাবে মাথা হয় বড়। ত্বকের নিচে চর্বি জমে খুব কম, চোখ কোটরাগত ও ত্বক ঢিলে দেখায়। শিশু হয়নিষ্ক্রিয় স্বভাবের, মাংসপেশী হয় শিথিল ও নিস্তেজ, ব্যাপকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত। শিশুর কান্নার শব্দ হয় ক্ষীণ ও কর্কশ।
আক্রান্ত শিশুদের প্রায় ৪০ শতাংশ মারা যায়। ১৯৯৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক ও ইউনিসেফের সহায়তায় সরকার বাংলাদেশ সমন্বিত পুষ্টি প্রকল্প শুরু করে। বিশ্বজুড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে পরিচালিত বৃহৎ পরিসরের পুষ্টি প্রকল্পের অন্যতম এই প্রকল্প বাংলাদেশের তিন কোটির অধিক পরিবারে পৌঁছেছে। এই প্রকল্প কম্যুনিটি পর্যায়ে কাজের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে এবং এর অধীনে পুষ্টি বিষয়ক সেবা, শিশুর বিকাশ তত্ত্বাবধান, পুষ্টি বিষয়ক পরামর্শ এবং দুই বছরের কম বয়সী গুরুতরভাবে আক্রান্ত শিশুদের বাড়তি খাবার সরবরাহ ইত্যাদি কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কম্যুনিটি পুষ্টি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে পুষ্টি বিষয়ক সেবা প্রদান করা হয়।
১৯৯৮ সালে এই প্রকল্পের এক মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, প্রকল্প এলাকায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির সর্বনিম্ন হার ১৩ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পাইলট প্রকল্পটি আগামী ১৫ বছরের মধ্যে সম্প্রসারিত হয়ে দেশের সকল গ্রামীণ অঞ্চলে পৌঁছে যাবে।
অপুষ্টি রোধের জন্য পুষ্টিগত ঘাটতিপূরণ ও মায়েদের শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক জরুরি করণীয়। শিশুকে বুকের দুধদান এবং মাতৃমঙ্গল ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় মায়েদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। [এস.এম হুমায়ুন কবির]
আরও দেখুন পরিবার পরিকল্পনা; কোয়াশিওরকর; অপুষ্টি।