মৃত্তিকা ক্ষিতিজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১০ নং লাইন: | ১০ নং লাইন: | ||
জৈব ক্ষিতিজ (ও-ক্ষিতিজ) সব ধরনের মৃত্তিকাতে দেখা যায় না। এ ক্ষিতিজে অবিয়োজিত বা আংশিক বিয়োজিত জৈববস্ত্তর প্রাধান্য থাকে। এসব বস্ত্ত মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে আসে। জৈব ক্ষিতিজ সাধারণত বনাঞ্চলের মৃত্তিকাতে দেখা যায় এবং তৃণভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকাতে অনুপস্থিত। | জৈব ক্ষিতিজ (ও-ক্ষিতিজ) সব ধরনের মৃত্তিকাতে দেখা যায় না। এ ক্ষিতিজে অবিয়োজিত বা আংশিক বিয়োজিত জৈববস্ত্তর প্রাধান্য থাকে। এসব বস্ত্ত মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে আসে। জৈব ক্ষিতিজ সাধারণত বনাঞ্চলের মৃত্তিকাতে দেখা যায় এবং তৃণভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকাতে অনুপস্থিত। | ||
বাংলাদেশের মৃত্তিকা তুলনামূলকভাবে অপরিপক্ক। সুগঠিত ক, খ, গ ক্ষিতিজ সংবলিত মৃত্তিকা পরিলেখ গাঙ্গেয় পললে উৎপন্ন সারা, গোপালপুর ও ঈশ্বরদী সিরিজ এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পললে উৎপন্ন সোনাতলা ও শিলমন্ডি সিরিজে দেখা যায়। জৈব ক্ষিতিজ নিচু (basin) এলাকায় পাওয়া যায় এবং ও, ক, খ, গ ক্ষিতিজ সংবলিত একটি মৃত্তিকার উদাহরণ হলো বালিনা সিরিজ। | বাংলাদেশের মৃত্তিকা তুলনামূলকভাবে অপরিপক্ক। সুগঠিত ক, খ, গ ক্ষিতিজ সংবলিত মৃত্তিকা পরিলেখ গাঙ্গেয় পললে উৎপন্ন সারা, গোপালপুর ও ঈশ্বরদী সিরিজ এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পললে উৎপন্ন সোনাতলা ও শিলমন্ডি সিরিজে দেখা যায়। জৈব ক্ষিতিজ নিচু (basin) এলাকায় পাওয়া যায় এবং ও, ক, খ, গ ক্ষিতিজ সংবলিত একটি মৃত্তিকার উদাহরণ হলো বালিনা সিরিজ। [সিরাজুল হক] | ||
[সিরাজুল হক] | |||
[[en:Soil Horizon]] | [[en:Soil Horizon]] |
০৫:০৩, ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মৃত্তিকা ক্ষিতিজ (Soil Horizon) মৃত্তিকা পৃষ্ঠের প্রায় সমান্তরালে অবস্থিত মৃত্তিকার স্তর। এ স্তরগুলোর বৈশিষ্ট্য মৃত্তিকা গঠনকারী প্রক্রিয়া দ্বারা উৎপন্ন হয়। কোন একটি মৃত্তিকা ক্ষিতিজকে এর সন্নিকটবর্তী ক্ষিতিজ থেকে মাঠে দেখা যায় অন্তত এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সাধারণত পার্থক্য করা যায়। অনুশীলন ও বর্ণনার সুবিধার জন্য পাঁচটি প্রধান ক্ষিতিজকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ক্ষিতিজকে ও, ক, ই, খ, গ অক্ষর ব্যবহার করে চিহ্নিত করা হয়। সব মৃত্তিকা পরিলেখেই (Soil Profile) দুই বা ততোধিক প্রধান ক্ষিতিজ থাকে। প্রকৃত মৃত্তিকা বা সোলাম (solum) ক, ই, খ ক্ষিতিজ দিয়ে গঠিত।
মৃত্তিকায় অবস্থিত সর্বাপেক্ষা উপরের ক-ক্ষিতিজটি একটি অজৈব ক্ষিতিজ। এ ক্ষিতিজে আংশিক বিয়োজিত জৈবপদার্থ মিশ্রিত থাকে। জৈবপদার্থ নিচের ক্ষিতিজগুলোর চেয়ে এ ক্ষিতিজটিকে তুলনামূলকভাবে গাঢ় রং প্রদান করে। মৃত্তিকার ক-ক্ষিতিজেই সর্বাধিক জৈব ক্রিয়া সংঘটিত হয়। ক-ক্ষিতিজের নিচে অবস্থিত ই-ক্ষিতিজে সবচেয়ে বেশি ক্ষালন বা এঁটেল, আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের ক্ষরণ হয়। এর ফলে এ ক্ষিতিজে বালি ও পলিকণাতে অবক্ষয় প্রতিরোধী কোয়ার্জ মণিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ই-ক্ষিতিজ সাধারণত ক-ক্ষিতিজ থেকে হালকা রঙের হয়ে থাকে। এ ক্ষিতিজে বিদ্যমান জৈবপদার্থে এর আদি বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা যায় না।
মৃত্তিকা পরিলেখে বিদ্যমান খ-ক্ষিতিজের বৈশিষ্ট্যগুলো ভিন্ন ধরনের অবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পৃষ্ঠ ক্ষিতিজের নিচে অবস্থানের জন্যই এটি ঘটে। কারণ এ ক্ষিতিজের বস্ত্তগুলো বারিমন্ডল ও বায়ুমন্ডলের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকে না।
সোলামের নিচে অবস্থিত গ-ক্ষিতিজ অসংহত বস্ত্ত দিয়ে গঠিত। সোলাম উৎপন্নকারী উৎস বস্ত্তর সঙ্গে এর সাদৃশ্য থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। এ ক্ষিতিজটি মুখ্য জৈব ক্রিয়াকলাপ সংঘটিত অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত এবং সাধারণত এর উপরে ক্ষিতিজ উৎপন্নকারী প্রক্রিয়া দ্বারা সামান্যই প্রভাবিত হয়।
জৈব ক্ষিতিজ (ও-ক্ষিতিজ) সব ধরনের মৃত্তিকাতে দেখা যায় না। এ ক্ষিতিজে অবিয়োজিত বা আংশিক বিয়োজিত জৈববস্ত্তর প্রাধান্য থাকে। এসব বস্ত্ত মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে আসে। জৈব ক্ষিতিজ সাধারণত বনাঞ্চলের মৃত্তিকাতে দেখা যায় এবং তৃণভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকাতে অনুপস্থিত।
বাংলাদেশের মৃত্তিকা তুলনামূলকভাবে অপরিপক্ক। সুগঠিত ক, খ, গ ক্ষিতিজ সংবলিত মৃত্তিকা পরিলেখ গাঙ্গেয় পললে উৎপন্ন সারা, গোপালপুর ও ঈশ্বরদী সিরিজ এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পললে উৎপন্ন সোনাতলা ও শিলমন্ডি সিরিজে দেখা যায়। জৈব ক্ষিতিজ নিচু (basin) এলাকায় পাওয়া যায় এবং ও, ক, খ, গ ক্ষিতিজ সংবলিত একটি মৃত্তিকার উদাহরণ হলো বালিনা সিরিজ। [সিরাজুল হক]