মুখোপাধ্যায়, রাজকৃষ্ণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের এডুকেশন গেজেট ও বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শনে তাঁর অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। বাংলা গদ্য ও পদ্যে তাঁর যথেষ্ট পারঙ্গমতা ছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য বাংলা রচনা: যৌবনোদ্যান (১৮৬৮), মিত্রবিলাপ (১৮৬৯), রাজবালা (১৮৭০), কাব্যকলাপ (১৮৭০), প্রথম শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ (১৮৭২), প্রথম শিক্ষা বাংলার ইতিহাস (১৮৭৪) ও কবিতামালা (১৮৭৭)। তাঁর ‘ভারতমাতা’ কবিতা ও ‘ভারতমহিমা’ প্রবন্ধে জাতীয়তাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৮৮৫ সালে প্রকাশিত তাঁর নানা প্রবন্ধ গ্রন্থে ইতিহাস, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।
ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের এডুকেশন গেজেট ও বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শনে তাঁর অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। বাংলা গদ্য ও পদ্যে তাঁর যথেষ্ট পারঙ্গমতা ছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য বাংলা রচনা: যৌবনোদ্যান (১৮৬৮), মিত্রবিলাপ (১৮৬৯), রাজবালা (১৮৭০), কাব্যকলাপ (১৮৭০), প্রথম শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ (১৮৭২), প্রথম শিক্ষা বাংলার ইতিহাস (১৮৭৪) ও কবিতামালা (১৮৭৭)। তাঁর ‘ভারতমাতা’ কবিতা ও ‘ভারতমহিমা’ প্রবন্ধে জাতীয়তাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৮৮৫ সালে প্রকাশিত তাঁর নানা প্রবন্ধ গ্রন্থে ইতিহাস, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।


রাজকৃষ্ণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইংরেজি প্রবন্ধ হলো: Hindu Philosophy (১৮৬৭ ও ১৮৭০), Hindu Mythology (১৮৭০), Theory of Morals and Origin of Language (১৮৭১), Hints to the Study of the Bengali Language (১৮৮৩)।
রাজকৃষ্ণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইংরেজি প্রবন্ধ হলো: Hindu Philosophy (১৮৬৭ ও ১৮৭০), Hindu Mythology (১৮৭০), Theory of Morals and Origin of Language (১৮৭১), Hints to the Study of the Bengali Language (১৮৮৩)। [তানজিনা খান মুন্নী]
 
[তানজিনা খান মুন্নী]


[[en:Mukhopadhyay, Rajkrishna]]
[[en:Mukhopadhyay, Rajkrishna]]

০৯:৩৭, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মুখোপাধ্যায়, রাজকৃষ্ণ (১৮৪৫-১৮৮৬)  প্রাবন্ধিক। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার গোস্বামী দুর্গাপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা আনন্দচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন নীল কারখানার দেওয়ান। জ্যেষ্ঠভ্রাতা রাধিকাপ্রসাদের ব্যক্তিসত্তা রাজকৃষ্ণের জীবনে অনেকখানি প্রভাব ফেলেছিল।

রাজকৃষ্ণ বরাবর একজন কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি কৃষ্ণনগর কলেজ  থেকে এন্ট্রান্স ও এফএ এবং ১৮৬৬ সালে  প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে দর্শনশাস্ত্রে এমএ (১৮৬৭) এবং  আইনশাস্ত্রে বিএল (১৮৬৮) পরীক্ষায়ও তিনি অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন।

রাজকৃষ্ণ কলকাতা জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কটক ল কলেজ ও বহরমপুর কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৮৭৯-৮৬ পর্যন্ত তিনি গভর্নমেন্টের বাংলা অনুবাদকের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বহরমপুর ও কলকাতা বারে কিছুদিন ওকালতিও করেন।

রাজকৃষ্ণ ১৮৭৬ সালে ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞান সভার পরিচালক সমিতির সদস্য এবং ১৮৮২ সালে পাঠ্যপুস্তক নির্বাচন সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিরও সদস্য ছিলেন। ফারসি, উর্দু, ওড়িয়া, সংস্কৃত, জার্মান, ফরাসি, ল্যাটিন ও পালি ভাষায় তিনি পারদর্শী ছিলেন। তবে তাঁর অধিকাংশ লেখাই ছিল বাংলায়।

ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের এডুকেশন গেজেট ও বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শনে তাঁর অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। বাংলা গদ্য ও পদ্যে তাঁর যথেষ্ট পারঙ্গমতা ছিল। তাঁর উল্লেখযোগ্য বাংলা রচনা: যৌবনোদ্যান (১৮৬৮), মিত্রবিলাপ (১৮৬৯), রাজবালা (১৮৭০), কাব্যকলাপ (১৮৭০), প্রথম শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ (১৮৭২), প্রথম শিক্ষা বাংলার ইতিহাস (১৮৭৪) ও কবিতামালা (১৮৭৭)। তাঁর ‘ভারতমাতা’ কবিতা ও ‘ভারতমহিমা’ প্রবন্ধে জাতীয়তাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৮৮৫ সালে প্রকাশিত তাঁর নানা প্রবন্ধ গ্রন্থে ইতিহাস, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।

রাজকৃষ্ণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইংরেজি প্রবন্ধ হলো: Hindu Philosophy (১৮৬৭ ও ১৮৭০), Hindu Mythology (১৮৭০), Theory of Morals and Origin of Language (১৮৭১), Hints to the Study of the Bengali Language (১৮৮৩)। [তানজিনা খান মুন্নী]