মাদারীপুর বিল রুট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
মাদারীপুর বিল রুট একটি ব্যস্ত নৌপথ। খুলনা থেকে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা যাওয়ার এটি একটি সংক্ষিপ্ত নৌপথ। এর গতিপথ মোটামুটি সরল। মাঝে মধ্যে ভাঙন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রচুর পরিমাণ পলি বহন করার ফলে প্রায়ই চর সৃষ্টি হয়। ফলে শুকনা মৌসুমে নৌচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নৌপথটি পলিমুক্ত করে সারা বৎসর সচল রাখা হয়। এই বিল রুটটি জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত এবং এর গড় প্রস্থতা ১৫০ মিটার। | মাদারীপুর বিল রুট একটি ব্যস্ত নৌপথ। খুলনা থেকে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা যাওয়ার এটি একটি সংক্ষিপ্ত নৌপথ। এর গতিপথ মোটামুটি সরল। মাঝে মধ্যে ভাঙন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রচুর পরিমাণ পলি বহন করার ফলে প্রায়ই চর সৃষ্টি হয়। ফলে শুকনা মৌসুমে নৌচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নৌপথটি পলিমুক্ত করে সারা বৎসর সচল রাখা হয়। এই বিল রুটটি জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত এবং এর গড় প্রস্থতা ১৫০ মিটার। | ||
কবিরাজপুর, টেকেরহাট, সিন্দিয়াঘাট, জলিরপাড়, সাতপাড়, বৌলতলী, ভেড়ারহাট, হরিদাসপুর ও মানিকদহ মাদারীপুর বিল রুট তীরবর্তী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। টেকেরহাট গুরুত্বপূর্ণ নৌ ও বাণিজ্য বন্দর। খুলনা-ঢাকার সংযোগকারী এই রুটের ওপর মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার অংশবিশেষের নৌচলাচল, ব্যবসা ও আর্থ-সামাজিক জীবন নির্ভরশীল। | কবিরাজপুর, টেকেরহাট, সিন্দিয়াঘাট, জলিরপাড়, সাতপাড়, বৌলতলী, ভেড়ারহাট, হরিদাসপুর ও মানিকদহ মাদারীপুর বিল রুট তীরবর্তী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। টেকেরহাট গুরুত্বপূর্ণ নৌ ও বাণিজ্য বন্দর। খুলনা-ঢাকার সংযোগকারী এই রুটের ওপর মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার অংশবিশেষের নৌচলাচল, ব্যবসা ও আর্থ-সামাজিক জীবন নির্ভরশীল। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | ||
[মাসুদ হাসান চৌধুরী] | |||
[[en:Madaripur Beel Route]] | [[en:Madaripur Beel Route]] |
০৪:০০, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মাদারীপুর বিল রুট (Madaripur Beel Route) খুলনা থেকে মাদারীপুর, গোয়ালন্দ, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, কাছাড় এবং আসামের মধ্যে নৌপথের দূরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্যার আর্থার কটন ১৮৫৮ সালে এই নৌপথ খনন করার প্রস্তাব দেন। ১৮৭৫ সালে স্যার বেডফোর্ড ল্যাসলী এবং ১৮৮৬ সালে স্যার রিচার্ড টমসন এই নৌপথ খননের কিছু সংশোধিত প্রস্তাব দেন। ১৮৯৯ সালে স্যার আর.বি ব্যাকল হরিদাসপুরের কাছে মধুমতি নদীর সঙ্গে টেকেরহাটে কুমার নদীর সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮৯৯ সালে মাদারীপুর বিল রুট খননের কাজ শুরু হয়। কায়িক শ্রমের সাহায্যে প্রথম খনন করে পরে ড্রেজার দিয়ে অধিকতর গভীর করা হয়। ১৯০০ সাল থেকে এ রুটকে সাময়িকভাবে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। ১৯১২ সালে এটিকে সাংবৎসর নাব্য (Perennial) খালে রূপান্তর করা হয় এবং ১৯১৪ সালে এই রুটের কাজ সার্বিকভাবে শেষ হয়। মাদারীপুর এলাকার বহু সংখ্যক বিল ও জলাশয় এই রুটের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত হয়েছে বলে এর নাম ‘মাদারীপুর বিল রুট’ রাখা হয়েছে।
মাদারীপুর বিল রুট মাদারীপুর জেলার কবিরাজপুরের কাছে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে গোপালগঞ্জের মানিকদহের কাছে মধুমতি পর্যন্ত বিস্তৃত। টেকেরহাট থেকে প্রায় ৩৫ কিমি অগ্রসর হয়ে মানিকদহে মধুমতি নদীতে রুট শেষ হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মাদারীপুর বিল রুটের কবিরাজপুর থেকে টেকেরহাট পর্যন্ত অংশটুকু পূর্বে ‘আপার কুমার’ নামে পরিচিত ছিল। কুমার নদী ফতেপুর নামক স্থানে মাদারীপুর বিল রুটে পড়েছে এবং টেকেরহাটের কাছে এই রুট থেকে লোয়ার কুমারের উৎপত্তি হয়েছে।
পূর্বে মাদারীপুর বিল রুটের বাম পাড় বরাবর একটি মার্জিনাল বাঁধ ছিল। বাঁধের উপর উলপুর, কংসপুর, শৌলতলী, সাতপাড়, ভেন্নাবাড়ী, বানিয়ারচর এই ছয়টি জল কাঠামোর সাহায্যে বাম তীরবর্তী এলাকার ২৪,০০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হতো। পরবর্তীকালে এই মার্জিনাল বাঁধ এবং অধিকাংশ জলকাঠামো নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এই বাঁধের সংষ্কার কাজ হাতে নিয়েছে।
মাদারীপুর বিল রুট একটি ব্যস্ত নৌপথ। খুলনা থেকে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা যাওয়ার এটি একটি সংক্ষিপ্ত নৌপথ। এর গতিপথ মোটামুটি সরল। মাঝে মধ্যে ভাঙন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রচুর পরিমাণ পলি বহন করার ফলে প্রায়ই চর সৃষ্টি হয়। ফলে শুকনা মৌসুমে নৌচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নৌপথটি পলিমুক্ত করে সারা বৎসর সচল রাখা হয়। এই বিল রুটটি জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত এবং এর গড় প্রস্থতা ১৫০ মিটার।
কবিরাজপুর, টেকেরহাট, সিন্দিয়াঘাট, জলিরপাড়, সাতপাড়, বৌলতলী, ভেড়ারহাট, হরিদাসপুর ও মানিকদহ মাদারীপুর বিল রুট তীরবর্তী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। টেকেরহাট গুরুত্বপূর্ণ নৌ ও বাণিজ্য বন্দর। খুলনা-ঢাকার সংযোগকারী এই রুটের ওপর মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার অংশবিশেষের নৌচলাচল, ব্যবসা ও আর্থ-সামাজিক জীবন নির্ভরশীল। [মাসুদ হাসান চৌধুরী]