ময়নামতী প্রাসাদ টিলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''ময়নামতী প্রাসাদ টিলা''' ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সড়কের ঠিক পূর্বে ময়নামতী গ্রামের নিকটবর্তী শৈলশিরার উত্তর প্রান্তের | [[Image:MainamatiPalaceMouand.jpg|thumb|right|400px|ময়নামতী প্রাসাদ টিলা]] | ||
'''ময়নামতী প্রাসাদ টিলা''' ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সড়কের ঠিক পূর্বে ময়নামতী গ্রামের নিকটবর্তী শৈলশিরার উত্তর প্রান্তের সর্ববৃহৎ ও সর্বোচ্চ টিলা। গোমতী নদী (প্রাচীন ক্ষীরোদা নদী) এখন তার গতি পরিবর্তন করে কয়েকশ গজ পূর্বে সরে গেছে। এই নদী এক সময় উক্ত শৈলশিরার পূর্ব ধার ঘেঁষে প্রবাহিত হতো এবং শৈলশিরার উত্তর ও দক্ষিণ পাদদেশও অংশত বিধৌত করত। নদীর সেই মজে যাওয়া খাতটি এখনও স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। এই স্থানটি চন্দ্রবংশের কিংবদন্তির রানী ময়নামতীর নিবাস ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। ময়নামতী ছিলেন জানা মতে চন্দ্রবংশের শেষ রাজা [[গোবিন্দচন্দ্র|গোবিন্দচন্দ্র]] এর মা। এই স্থানই চন্দ্রবংশের শেষ রাজধানী ছিল বলে সাধারণ্যে ধারণা প্রচলিত আছে। | |||
সর্ববৃহৎ ও সর্বোচ্চ টিলা। গোমতী নদী (প্রাচীন ক্ষীরোদা নদী) এখন তার গতি পরিবর্তন করে কয়েকশ গজ পূর্বে সরে গেছে। এই নদী এক সময় উক্ত শৈলশিরার পূর্ব ধার ঘেঁষে প্রবাহিত হতো এবং শৈলশিরার উত্তর ও দক্ষিণ পাদদেশও অংশত বিধৌত করত। নদীর সেই মজে যাওয়া খাতটি এখনও স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। এই স্থানটি চন্দ্রবংশের কিংবদন্তির রানী ময়নামতীর নিবাস ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। ময়নামতী ছিলেন জানা মতে চন্দ্রবংশের শেষ রাজা [[গোবিন্দচন্দ্র|গোবিন্দচন্দ্র]] এর মা। এই স্থানই চন্দ্রবংশের শেষ রাজধানী ছিল বলে সাধারণ্যে ধারণা প্রচলিত আছে। | |||
দু-একবার এখানে ছোটখাটো খনন কাজের ফলে এলাকাটির বিভিন্ন অংশের চারদিকে এক বিশাল প্রতিরক্ষা বেষ্টন-প্রাচীরের অংশ উদ্ঘাটিত হয়েছে। সম্ভবত এটি ছিল নগরদুর্গ। আরও পাওয়া গেছে এক বিশাল ইমারতের কোণের অংশ এবং তা সম্ভবত কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাসাদের অংশবিশেষ। পন্ডিতগণ একে সমতট রাজ্যের রাজধানী দেবপর্বতের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করেন। [এম হারুনুর রশিদ] | দু-একবার এখানে ছোটখাটো খনন কাজের ফলে এলাকাটির বিভিন্ন অংশের চারদিকে এক বিশাল প্রতিরক্ষা বেষ্টন-প্রাচীরের অংশ উদ্ঘাটিত হয়েছে। সম্ভবত এটি ছিল নগরদুর্গ। আরও পাওয়া গেছে এক বিশাল ইমারতের কোণের অংশ এবং তা সম্ভবত কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাসাদের অংশবিশেষ। পন্ডিতগণ একে সমতট রাজ্যের রাজধানী দেবপর্বতের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করেন। [এম হারুনুর রশিদ] |
০৪:২৪, ৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ময়নামতী প্রাসাদ টিলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সড়কের ঠিক পূর্বে ময়নামতী গ্রামের নিকটবর্তী শৈলশিরার উত্তর প্রান্তের সর্ববৃহৎ ও সর্বোচ্চ টিলা। গোমতী নদী (প্রাচীন ক্ষীরোদা নদী) এখন তার গতি পরিবর্তন করে কয়েকশ গজ পূর্বে সরে গেছে। এই নদী এক সময় উক্ত শৈলশিরার পূর্ব ধার ঘেঁষে প্রবাহিত হতো এবং শৈলশিরার উত্তর ও দক্ষিণ পাদদেশও অংশত বিধৌত করত। নদীর সেই মজে যাওয়া খাতটি এখনও স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। এই স্থানটি চন্দ্রবংশের কিংবদন্তির রানী ময়নামতীর নিবাস ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। ময়নামতী ছিলেন জানা মতে চন্দ্রবংশের শেষ রাজা গোবিন্দচন্দ্র এর মা। এই স্থানই চন্দ্রবংশের শেষ রাজধানী ছিল বলে সাধারণ্যে ধারণা প্রচলিত আছে।
দু-একবার এখানে ছোটখাটো খনন কাজের ফলে এলাকাটির বিভিন্ন অংশের চারদিকে এক বিশাল প্রতিরক্ষা বেষ্টন-প্রাচীরের অংশ উদ্ঘাটিত হয়েছে। সম্ভবত এটি ছিল নগরদুর্গ। আরও পাওয়া গেছে এক বিশাল ইমারতের কোণের অংশ এবং তা সম্ভবত কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাসাদের অংশবিশেষ। পন্ডিতগণ একে সমতট রাজ্যের রাজধানী দেবপর্বতের কেন্দ্রস্থল বলে মনে করেন। [এম হারুনুর রশিদ]