মধুপুর জাতীয় উদ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''মধুপুর জাতীয় উদ্যান''' বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যান। ঢাকা মহানগরী থেকে ১২৫ কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গাইল জেলাস্থ ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। উদ্যানটি টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাভুক্ত। ২০ হাজার ৮৩৭ একর আয়তন জুড়ে বিস্তৃত শাল বনভূমির এ উদ্যানটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে ১৭৬ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যার মধ্যে আছে ৭৩ প্রজাতির বৃক্ষ, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১ প্রজাতির পামগাছ, ৮ প্রজাতির ঘাস, ২৭ প্রজাতির ক্লাইম্বার ও ৪৫ প্রজাতির ঔষধি উদ্ভিদ। এর বাইরেও কিছু বিদেশি প্রজাতির উদ্ভিদ উদ্যান এলাকার বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে। একসময় হাতি, বাঘ, চিতা, ময়ূর ইত্যাদি বন্য জীব-জন্তুর কারণে মধুপুর উদ্যানটি বেশ সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু এগুলির অধিকাংশই এখন লুপ্তপ্রায়। বর্তমানে এ উদ্যানে ১৯০ প্রজাতির প্রাণি রয়েছে, যার মধ্যে আছে ২১ প্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণি, ১৪০ ধরনের পাখি ও ২৯ প্রজাতির সরিসৃপ। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হনুমান, বানর, মায়া হরিণ, শজারু, বুনো শুকর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ উদ্যানে গারো এবং কোচ আদিবাসীর বসবাস রয়েছে। অনন্য জীব-বৈচিত্র এবং মনোমুগ্ধকর নিসর্গের কারণে এ উদ্যান ইকো-ট্যুরিজমের জন্য অতিশয় উপযোগী। উদ্যানে বিশ্রামাগার, পিকনিক স্পট ও কৃত্রিম হ্রদসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা আছে। বিভাগীয় বন কার্যালয়ে এগুলির অগ্রিম বুকিং দেওয়া হয়। | [[Image:MadhupurNationalPark.jpg|thumb|right|400px|মধুপুর জাতীয় উদ্যান]] | ||
'''মধুপুর জাতীয় উদ্যান''' বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যান। ঢাকা মহানগরী থেকে ১২৫ কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গাইল জেলাস্থ ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। উদ্যানটি টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাভুক্ত। ২০ হাজার ৮৩৭ একর আয়তন জুড়ে বিস্তৃত শাল বনভূমির এ উদ্যানটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে ১৭৬ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যার মধ্যে আছে ৭৩ প্রজাতির বৃক্ষ, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১ প্রজাতির পামগাছ, ৮ প্রজাতির ঘাস, ২৭ প্রজাতির ক্লাইম্বার ও ৪৫ প্রজাতির ঔষধি উদ্ভিদ। এর বাইরেও কিছু বিদেশি প্রজাতির উদ্ভিদ উদ্যান এলাকার বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে। একসময় হাতি, বাঘ, চিতা, ময়ূর ইত্যাদি বন্য জীব-জন্তুর কারণে মধুপুর উদ্যানটি বেশ সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু এগুলির অধিকাংশই এখন লুপ্তপ্রায়। বর্তমানে এ উদ্যানে ১৯০ প্রজাতির প্রাণি রয়েছে, যার মধ্যে আছে ২১ প্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণি, ১৪০ ধরনের পাখি ও ২৯ প্রজাতির সরিসৃপ। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হনুমান, বানর, মায়া হরিণ, শজারু, বুনো শুকর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ উদ্যানে গারো এবং কোচ আদিবাসীর বসবাস রয়েছে। অনন্য জীব-বৈচিত্র এবং মনোমুগ্ধকর নিসর্গের কারণে এ উদ্যান ইকো-ট্যুরিজমের জন্য অতিশয় উপযোগী। উদ্যানে বিশ্রামাগার, পিকনিক স্পট ও কৃত্রিম হ্রদসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা আছে। বিভাগীয় বন কার্যালয়ে এগুলির অগ্রিম বুকিং দেওয়া হয়। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | |||
[হেলাল উদ্দিন আহমেদ] | |||
[[en:Madhupur National Park]] | [[en:Madhupur National Park]] |
০৯:০১, ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মধুপুর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যান। ঢাকা মহানগরী থেকে ১২৫ কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গাইল জেলাস্থ ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। উদ্যানটি টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাভুক্ত। ২০ হাজার ৮৩৭ একর আয়তন জুড়ে বিস্তৃত শাল বনভূমির এ উদ্যানটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে ১৭৬ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যার মধ্যে আছে ৭৩ প্রজাতির বৃক্ষ, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১ প্রজাতির পামগাছ, ৮ প্রজাতির ঘাস, ২৭ প্রজাতির ক্লাইম্বার ও ৪৫ প্রজাতির ঔষধি উদ্ভিদ। এর বাইরেও কিছু বিদেশি প্রজাতির উদ্ভিদ উদ্যান এলাকার বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে। একসময় হাতি, বাঘ, চিতা, ময়ূর ইত্যাদি বন্য জীব-জন্তুর কারণে মধুপুর উদ্যানটি বেশ সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু এগুলির অধিকাংশই এখন লুপ্তপ্রায়। বর্তমানে এ উদ্যানে ১৯০ প্রজাতির প্রাণি রয়েছে, যার মধ্যে আছে ২১ প্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণি, ১৪০ ধরনের পাখি ও ২৯ প্রজাতির সরিসৃপ। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হনুমান, বানর, মায়া হরিণ, শজারু, বুনো শুকর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এ উদ্যানে গারো এবং কোচ আদিবাসীর বসবাস রয়েছে। অনন্য জীব-বৈচিত্র এবং মনোমুগ্ধকর নিসর্গের কারণে এ উদ্যান ইকো-ট্যুরিজমের জন্য অতিশয় উপযোগী। উদ্যানে বিশ্রামাগার, পিকনিক স্পট ও কৃত্রিম হ্রদসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা আছে। বিভাগীয় বন কার্যালয়ে এগুলির অগ্রিম বুকিং দেওয়া হয়। [হেলাল উদ্দিন আহমেদ]