মতিহার থানা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩৪ নং লাইন: | ৩৪ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:MotiharThana.jpg|thumb|right|400px]] | |||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ থানায় অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং রসায়ন বিভাগের রিডার ড. শামসুজ্জোহা পুলিশের গুলিতে এবং ১৯৭১ সালে ভাষা বিভাগের শিক্ষক সুখরঞ্জন সমাদ্দার পাকবাহিনীর হাতে নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল ছিল পাকবাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ থানায় অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং রসায়ন বিভাগের রিডার ড. শামসুজ্জোহা পুলিশের গুলিতে এবং ১৯৭১ সালে ভাষা বিভাগের শিক্ষক সুখরঞ্জন সমাদ্দার পাকবাহিনীর হাতে নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল ছিল পাকবাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র। | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (জোহা হল সংলগ্ন); স্বাধীনতার ভাস্কর্য, সাবাস বাংলাদেশ, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, । | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (জোহা হল সংলগ্ন); স্বাধীনতার ভাস্কর্য, সাবাস বাংলাদেশ, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, । | ||
ধর্মীয় | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ১৩০, মন্দির ২, মাযার ২। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬৩.৩৪%; পুরুষ ৭৫.০৯%, মহিলা ৬৩.৩৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৩), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০২), রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ, মাসকাটা দিঘি বহুমুখী কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২), খড়খড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৫)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬৩.৩৪%; পুরুষ ৭৫.০৯%, মহিলা ৬৩.৩৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৩), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০২), রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ, মাসকাটা দিঘি বহুমুখী কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২), খড়খড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৫)। | ||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৮, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ২৪, খেলার মাঠ ৮, ক্লাব ১২। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৮, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ২৪, খেলার মাঠ ৮, ক্লাব ১২। | ||
৫৬ নং লাইন: | ৫৫ নং লাইন: | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' খেসারি, মটর, ছোলা, তিসি, অড়হর। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' খেসারি, মটর, ছোলা, তিসি, অড়হর। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, লিচু, পেঁপে, জাম, কাঁঠাল, কলা। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১২, গবাদিপশু ১৪, হাঁস-মুরগি ২৭। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ১২, গবাদিপশু ১৪, হাঁস-মুরগি ২৭। | ||
৭০ নং লাইন: | ৬৯ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৯। দেওয়ানপাড়া বাজার উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৯। দেওয়ানপাড়া বাজার উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' চিনি, পাটজাত দ্রব্য, লিচু, আম, আলু, কলা, পেঁপে, শাকসবজি। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭২.২১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭২.২১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
৭৮ নং লাইন: | ৭৭ নং লাইন: | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ থানার ৭২.৯৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২২.৪২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.৬৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ থানার ৭২.৯৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২২.৪২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.৬৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪। | ||
[মো. মাহবুবর রহমান] | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, টিএমএসএস। [মো. মাহবুবর রহমান] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। |
০৮:৩০, ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মতিহার থানা (রাজশাহী জেলা) আয়তন: ৮.২০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°২১´ থেকে ২৪°২৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৩২´ থেকে ৮৮°৩৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে বোয়ালিয়া থানা ও পবা উপজেলা, দক্ষিণ ও পূর্বে পবা উপজেলা, পশ্চিমে বোয়ালিয়া থানা।
জনসংখ্যা ২৯৭৫৩; পুরুষ ১৬৪৭০, মহিলা ১৩২৮৩। মুসলিম ২৯১০৩, হিন্দু ৬৩২, খ্রিস্টান ১০ এবং অন্যান্য ৮।
প্রশাসন ১৯৯২ সালের ১ জুলাই রাজশাহী শহরের পবা উপজেলা, বোয়ালিয়া থানা ও চারঘাট উপজেলার অংশ বিশেষ নিয়ে মতিহার থানা গঠিত হয়।
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
৩ | ১৬ | ২৯৭৫৩ | - | ৩৬২৮ | ৬৩.৩৪ | - |
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | ||||
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
ওয়ার্ড নং ২৮ | ৪.২২ | ৬৩৬২ | ৪৯৭০ | ৫৬.৬৫ |
ওয়ার্ড নং ২৯ | ২.৬৪ | ৫০৩৪ | ৪৪৪৯ | ৬০.১৪ |
ওয়ার্ড নং ৩০ | ১.৩৪ | ৫০৭৪ | ৩৮৬৪ | ৭৩.২৪ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ থানায় অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং রসায়ন বিভাগের রিডার ড. শামসুজ্জোহা পুলিশের গুলিতে এবং ১৯৭১ সালে ভাষা বিভাগের শিক্ষক সুখরঞ্জন সমাদ্দার পাকবাহিনীর হাতে নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল ছিল পাকবাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ১ (জোহা হল সংলগ্ন); স্বাধীনতার ভাস্কর্য, সাবাস বাংলাদেশ, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৩০, মন্দির ২, মাযার ২।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৩.৩৪%; পুরুষ ৭৫.০৯%, মহিলা ৬৩.৩৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৩), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০২), রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ, মাসকাটা দিঘি বহুমুখী কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫২), খড়খড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮৫)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৮, সিনেমা হল ১, মহিলা সংগঠন ২৪, খেলার মাঠ ৮, ক্লাব ১২।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬.৪৮%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৩৫%, শিল্প ২.৮৫%, ব্যবসা ২০.০৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১২.৫২%, চাকরি ৩৪.৫৭%, নির্মাণ ৪.৯%, ধর্মীয় সেবা ০.১৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৪১% এবং অন্যান্য ১২.৬৯%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৩.০৫%, ভূমিহীন ৬৬.৯৫%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, আখ, আলু, পিঁয়াজ, শাকসবজি।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রেডিও ট্রান্সমিশন কেন্দ্র, ধান গবেষণা কেন্দ্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি খেসারি, মটর, ছোলা, তিসি, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, লিচু, পেঁপে, জাম, কাঁঠাল, কলা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১২, গবাদিপশু ১৪, হাঁস-মুরগি ২৭।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১২ কিমি, কাঁচারাস্তা ১০০ কিমি; রেলপথ ৬ কিমি; নৌপথ ৩ নটিক্যাল মাইল। রেলওয়ে স্টেশন ১।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চিনিকল, পাটকল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৯। দেওয়ানপাড়া বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য চিনি, পাটজাত দ্রব্য, লিচু, আম, আলু, কলা, পেঁপে, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭২.২১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯১.৫১%, পুকুর ০.১২%, ট্যাপ ৬.৪৮% এবং অন্যান্য ১.৮৯%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৭২.৯৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২২.৪২% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪.৬৩% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, টিএমএসএস। [মো. মাহবুবর রহমান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।