বাসাইল উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বাসাইল উপজেলা '''(টাঙ্গাইল জেলা)  আয়তন: ১৫৭.৭৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৭´ থেকে ২৪°১৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৮´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিহাতি উপজেলা, দক্ষিণে মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা, পূর্বে সখীপুর উপজেলা, পশ্চিমে দেলদুয়ার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা।
'''বাসাইল উপজেলা''' ([[টাঙ্গাইল জেলা|টাঙ্গাইল জেলা]])  আয়তন: ১৫৭.৭৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৭´ থেকে ২৪°১৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৮´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিহাতি উপজেলা, দক্ষিণে মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা, পূর্বে সখীপুর উপজেলা, পশ্চিমে দেলদুয়ার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ১৬০৩৪৬; পুরুষ ৮০৬৬৮, মহিলা ৭৯৬৭৮। মুসলিম ১৪৩৭৯৬, হিন্দু ১৬৪২৭, বৌদ্ধ ৯ এবং অন্যান্য ১১৪।
''জনসংখ্যা'' ১৬০৩৪৬; পুরুষ ৮০৬৬৮, মহিলা ৭৯৬৭৮। মুসলিম ১৪৩৭৯৬, হিন্দু ১৬৪২৭, বৌদ্ধ ৯ এবং অন্যান্য ১১৪।
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৫৮ নং লাইন: ৫৮ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:BasailUpazila.jpg|thumb|400px|right]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে এ উপজেলার কামুটিয়ায় ঝিনাই নদীর দুই পাড়ে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয় এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে এ উপজেলার কামুটিয়ায় ঝিনাই নদীর দুই পাড়ে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয় এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।


৬৩ নং লাইন: ৬৪ নং লাইন:


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৩.৫%; পুরুষ ৪৭.৮%, মহিলা ৩৯.২%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪, কিন্ডার গার্টেন ১২, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১১, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৫), কাউলজানী কলেজ, কাউলজানী নওশেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৬), আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), কে বি এন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮), কাঞ্চনপুর এলাহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৪১)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৩.৫%; পুরুষ ৪৭.৮%, মহিলা ৩৯.২%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪, কিন্ডার গার্টেন ১২, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১১, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৫), কাউলজানী কলেজ, কাউলজানী নওশেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৬), আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), কে বি এন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮), কাঞ্চনপুর এলাহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৪১)।
[[Image:BasailUpazila.jpg|thumb|400px|right|বাসাইল উপজেলা]]


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৪০, লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৩০।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৪০, লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৩০।
৭২ নং লাইন: ৬৯ নং লাইন:
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৬.৮৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭১%, শিল্প ১.৩৫%, ব্যবসা ১১.১৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৫৪%, চাকরি ৮.২১%, নির্মাণ ০.৮০%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৯৯% এবং অন্যান্য ১০.২৯%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৬.৮৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭১%, শিল্প ১.৩৫%, ব্যবসা ১১.১৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৫৪%, চাকরি ৮.২১%, নির্মাণ ০.৮০%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৯৯% এবং অন্যান্য ১০.২৯%।


কৃষিভিূমির মালিকানা  ভূমিমালিক ৬৪.৯২%, ভূমিহীন ৩৫.০৮%। শহরে ৪৬.৪৩% এবং গ্রামে ৬৬.৫৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
''কৃষিভিূমির মালিকানা''  ভূমিমালিক ৬৪.৯২%, ভূমিহীন ৩৫.০৮%। শহরে ৪৬.৪৩% এবং গ্রামে ৬৬.৫৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, সরিষা, আখ, আলু, গম, শাকসবজি।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, সরিষা, আখ, আলু, গম, শাকসবজি।
৭৮ নং লাইন: ৭৫ নং লাইন:
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' বিভিন্ন ধরনের ডাল, মিষ্টি আলু।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' বিভিন্ন ধরনের ডাল, মিষ্টি আলু।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, পেঁপে।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, পেঁপে।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ২৫, গবাদিপশু ৮২, হাঁস-মুরগি ৭১।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ২৫, গবাদিপশু ৮২, হাঁস-মুরগি ৭১।
৯২ নং লাইন: ৮৯ নং লাইন:
''হাটবাজার ও মেলা'' বাসাইল হাট, সুন্না হাট, ময়থা হাট, কাউলজানী হাট, আইসড়া হাট, সৈদামপুর বাজার, ফুলকি বাজার, খাটরা শান্তি বাজার এবং ফাইলা পাগলার মেলা ও নববছ পাগলার মেলা উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' বাসাইল হাট, সুন্না হাট, ময়থা হাট, কাউলজানী হাট, আইসড়া হাট, সৈদামপুর বাজার, ফুলকি বাজার, খাটরা শান্তি বাজার এবং ফাইলা পাগলার মেলা ও নববছ পাগলার মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   পাট, আখের গুড়, আলু।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  পাট, আখের গুড়, আলু।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৭.৫০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৭.৫০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.৫৬%, পুকুর ০.০৬%, ট্যাপ ০.৪৯% এবং অন্যান্য ৪.৮৯%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৪.৫৬%, পুকুর ০.০৬%, ট্যাপ ০.৪৯% এবং অন্যান্য ৪.৮৯%।
১০৬ নং লাইন: ১০৩ নং লাইন:
''এনজিও'' প্রশিকা, ব্র্যাক, সিডো।  [নুরুর রহমান সেলিম]
''এনজিও'' প্রশিকা, ব্র্যাক, সিডো।  [নুরুর রহমান সেলিম]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বাসাইল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বাসাইল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Basail Upazila]]
[[en:Basail Upazila]]

০৪:৪৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাসাইল উপজেলা (টাঙ্গাইল জেলা)  আয়তন: ১৫৭.৭৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৭´ থেকে ২৪°১৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৮´ থেকে ৯০°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিহাতি উপজেলা, দক্ষিণে মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা, পূর্বে সখীপুর উপজেলা, পশ্চিমে দেলদুয়ার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা।

জনসংখ্যা ১৬০৩৪৬; পুরুষ ৮০৬৬৮, মহিলা ৭৯৬৭৮। মুসলিম ১৪৩৭৯৬, হিন্দু ১৬৪২৭, বৌদ্ধ ৯ এবং অন্যান্য ১১৪।

জলাশয় প্রধান নদী: বংশী, লৌহজং, লাংলী। চাপড়া বিল, ডুবাইল বিল, কাউলজানী বিল, বনিকিশোরী বিল ও বালিয়া বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন বাসাইল থানা গঠিত হয় ১৯১৩ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ৭৩ ১০৭ ১৩০৩৩ ১৪৭৩১৩ ১০১৬ ৫১.৪ ৪২.৮
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১১.৩০ ১৩০৩৩ ১১৫৩ ৫১.৪
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
কাউলজানী ৮৩ ৫৩৪০ ১১৫০৪ ১১৩২০ ৪১.০৭
কাঞ্চনপুর ৫৯ ৭৩৯৫ ১২৩২৯ ১২৩৫৯ ৩৯.৯৪
কাশিল ৭১ ৬০৫৮ ১২৭৩৬ ১২৯২৩ ৪২.৫৮
ফুলকি ৩৫ ৬৮৫০ ১৫১৬৫ ১৪৮৭৪ ৪১.৬৪
বাসাইল ১১ ৬৪৫৬ ১৩৫১৬ ১৩০৫৪ ৪২.৮৫
হাবলা ৪৭ ৬৫০৯ ১৫৪১৮ ১৫১৪৮ ৫১.১০

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে এ উপজেলার কামুটিয়ায় ঝিনাই নদীর দুই পাড়ে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয় এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিসৌধ ১ (ঝিনাই নদীর তীর, কামুটিয়া)।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৩.৫%; পুরুষ ৪৭.৮%, মহিলা ৩৯.২%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪, কিন্ডার গার্টেন ১২, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১১, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ (১৯৮৫), কাউলজানী কলেজ, কাউলজানী নওশেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৬), আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), কে বি এন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৮), কাঞ্চনপুর এলাহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৪১)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৪০, লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ৩০।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৬.৮৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭১%, শিল্প ১.৩৫%, ব্যবসা ১১.১৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৫৪%, চাকরি ৮.২১%, নির্মাণ ০.৮০%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৯৯% এবং অন্যান্য ১০.২৯%।

কৃষিভিূমির মালিকানা  ভূমিমালিক ৬৪.৯২%, ভূমিহীন ৩৫.০৮%। শহরে ৪৬.৪৩% এবং গ্রামে ৬৬.৫৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, সরিষা, আখ, আলু, গম, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি বিভিন্ন ধরনের ডাল, মিষ্টি আলু।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, পেঁপে।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ২৫, গবাদিপশু ৮২, হাঁস-মুরগি ৭১।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫০.২৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৪৮.১৬ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন ঘোড়া ও গরুর গাড়ি, ডুলি।

শিল্প ও কলকারখানা বেকারি, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, রাইসমিল, সাবান কারখানা, ওয়েল্ডিং কারখানা।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, সেলাই কাজ।

হাটবাজার ও মেলা বাসাইল হাট, সুন্না হাট, ময়থা হাট, কাউলজানী হাট, আইসড়া হাট, সৈদামপুর বাজার, ফুলকি বাজার, খাটরা শান্তি বাজার এবং ফাইলা পাগলার মেলা ও নববছ পাগলার মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  পাট, আখের গুড়, আলু।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৭.৫০% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৫৬%, পুকুর ০.০৬%, ট্যাপ ০.৪৯% এবং অন্যান্য ৪.৮৯%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩৯.৯০% (গ্রামে ৩৮.০৭% ও শহরে ৬০.৬৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫০.৯৩% (গ্রামে ৫২.৫৩% ও শহরে ৩২.৭৮%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.১৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৯৬ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, গাছপালা ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এনজিও প্রশিকা, ব্র্যাক, সিডো।  [নুরুর রহমান সেলিম]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বাসাইল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।