বায়তুল্লাহ, মোহাম্মদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বায়তুল্লাহ, মোহাম্মদ '''(১৯২৭-১৯৮৭) আইনজীবি, রাজনীতিক। তিনি ১৯২৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর শালেবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ১৯৪৩ সালে পাহাড়পুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৫ সালে রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৭ সালে একই কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং ১৯৫৩ সালে একই বিশববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। | [[Image:BaitullahMohammad.jpg|thumb|right|400px|মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ]] | ||
'''বায়তুল্লাহ, মোহাম্মদ''' (১৯২৭-১৯৮৭) আইনজীবি, রাজনীতিক। তিনি ১৯২৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর শালেবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ১৯৪৩ সালে পাহাড়পুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৫ সালে রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৭ সালে একই কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং ১৯৫৩ সালে একই বিশববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। | |||
তিনি ১৯৫২-৫৩ সালে কীর্ত্তিপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ১৯৫৩-৫৪ সালে চক-আতিকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এরপর তিনবছর তিনি নওগাঁ বশিরউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নওগাঁ মহকুমা আদালতে আইনব্যবসা শুরু করেন। | তিনি ১৯৫২-৫৩ সালে কীর্ত্তিপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ১৯৫৩-৫৪ সালে চক-আতিকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এরপর তিনবছর তিনি নওগাঁ বশিরউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নওগাঁ মহকুমা আদালতে আইনব্যবসা শুরু করেন। | ||
মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি নওগাঁ মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঙালিপুর (মোহতীপুর) যুব ক্যাম্পের ক্যাম্পপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১২ নভেম্বর তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। | মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি নওগাঁ মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঙালিপুর (মোহতীপুর) যুব ক্যাম্পের ক্যাম্পপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১২ নভেম্বর তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। | ||
১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালের ৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। [মোঃ আলী আকবর] | ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালের ৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। [মোঃ আলী আকবর] |
১০:২৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বায়তুল্লাহ, মোহাম্মদ (১৯২৭-১৯৮৭) আইনজীবি, রাজনীতিক। তিনি ১৯২৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর শালেবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ১৯৪৩ সালে পাহাড়পুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৫ সালে রাজশাহী গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৭ সালে একই কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ এবং ১৯৫৩ সালে একই বিশববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৫২-৫৩ সালে কীর্ত্তিপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ১৯৫৩-৫৪ সালে চক-আতিকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এরপর তিনবছর তিনি নওগাঁ বশিরউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নওগাঁ মহকুমা আদালতে আইনব্যবসা শুরু করেন।
মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি নওগাঁ মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঙালিপুর (মোহতীপুর) যুব ক্যাম্পের ক্যাম্পপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১২ নভেম্বর তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালের ৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। [মোঃ আলী আকবর]