বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট''' (Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture/BINA) বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশন কর্তৃক ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত আণবিক শক্তি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (Atomic Energy Agricultural Research Centre) বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও আইসোটোপ প্রযুক্তি ব্যবহারক্রমে মৌলিক ও ফলিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। স্বাধীনতার পর নবগঠিত বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের অধীনে আণবিক কৃষি ইনস্টিটিউট নামকরণের পর ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফিস ও গবেষণাগার ভবনসমূহ নির্মাণের পর ১৯৭৫ সালে এটি তার বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। একটি প্রশাসনিক ও সেবা শাখা ছাড়াও এতে আছে ৮টি বৈজ্ঞানিক বিভাগ: উদ্ভিদ প্রজনন ও জীনতত্ত্ব (Plant Breeding and Genetics), মৃত্তিকাবিজ্ঞান (Soil Science), ফসল শারীরতত্ত্ব (Crop Physiology), কীটতত্ত্ব (Entomology), উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব (Plant Pathology), কৃষিতত্ত্ব (Agronomy), কৃষি প্রকৌশল (Agricultural Engineering) এবং প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রকাশনা (Training, Communication and Publication)। কুমিল্লা, রংপুর, ঈশ্বরদী, মাগুরা ও খুলনায় ইনস্টিটিউটের পাঁচটি উপকেন্দ্র রয়েছে। জামালপুরে সংস্থার নিজস্ব একটি খামারও আছে। বর্তমানে মোট ৯৭ জন বিজ্ঞানিসহ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মিসংখ্যা ৪০৪ জন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রায় ৮০০০ কুরী (curie) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি 60Co gamma বিকিরণ উৎস রয়েছে। | '''বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট''' (Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture/BINA) বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশন কর্তৃক ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত আণবিক শক্তি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (Atomic Energy Agricultural Research Centre) বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও আইসোটোপ প্রযুক্তি ব্যবহারক্রমে মৌলিক ও ফলিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। স্বাধীনতার পর নবগঠিত বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের অধীনে আণবিক কৃষি ইনস্টিটিউট নামকরণের পর ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফিস ও গবেষণাগার ভবনসমূহ নির্মাণের পর ১৯৭৫ সালে এটি তার বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। একটি প্রশাসনিক ও সেবা শাখা ছাড়াও এতে আছে ৮টি বৈজ্ঞানিক বিভাগ: উদ্ভিদ প্রজনন ও জীনতত্ত্ব (Plant Breeding and Genetics), মৃত্তিকাবিজ্ঞান (Soil Science), ফসল শারীরতত্ত্ব (Crop Physiology), কীটতত্ত্ব (Entomology), উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব (Plant Pathology), কৃষিতত্ত্ব (Agronomy), কৃষি প্রকৌশল (Agricultural Engineering) এবং প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রকাশনা (Training, Communication and Publication)। কুমিল্লা, রংপুর, ঈশ্বরদী, মাগুরা ও খুলনায় ইনস্টিটিউটের পাঁচটি উপকেন্দ্র রয়েছে। জামালপুরে সংস্থার নিজস্ব একটি খামারও আছে। বর্তমানে মোট ৯৭ জন বিজ্ঞানিসহ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মিসংখ্যা ৪০৪ জন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রায় ৮০০০ কুরী (curie) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি 60Co gamma বিকিরণ উৎস রয়েছে। | ||
[[Image:BangladeshInstituteofNuclearAgriculture.jpg|thumb|400px|right|বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট,ময়মনসিংহ]] | [[Image:BangladeshInstituteofNuclearAgriculture.jpg|thumb|400px|right|বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ময়মনসিংহ]] | ||
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফসলের নতুন নতুন জাত সৃষ্টি, পানি ও ভূমি সম্পদের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা, শস্যের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির লাগসই প্রযুক্তি এবং রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই ও উৎপাদনশীল কৃষির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম চালানো; কৃষিতাত্ত্বিক ও মাটি-উদ্ভিদ সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর গবেষণা; নতুন জাতের ফসল ও সেগুলি চাষাবাদের কৌশল সম্পর্কে প্রদর্শনী ও পরীক্ষার আয়োজন; ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ; ফসল গবেষণা সম্পর্কিত ম্যানুয়াল, মনোগ্রাফ, বুলেটিন প্রভৃতি প্রকাশ; ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণা সুবিধা প্রদান; কৃষি, কৃষি গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন; বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষা, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ, বৈজ্ঞানিক সফর ও কর্মসূচি বিনিময় বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন। | উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফসলের নতুন নতুন জাত সৃষ্টি, পানি ও ভূমি সম্পদের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা, শস্যের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির লাগসই প্রযুক্তি এবং রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই ও উৎপাদনশীল কৃষির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম চালানো; কৃষিতাত্ত্বিক ও মাটি-উদ্ভিদ সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর গবেষণা; নতুন জাতের ফসল ও সেগুলি চাষাবাদের কৌশল সম্পর্কে প্রদর্শনী ও পরীক্ষার আয়োজন; ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ; ফসল গবেষণা সম্পর্কিত ম্যানুয়াল, মনোগ্রাফ, বুলেটিন প্রভৃতি প্রকাশ; ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণা সুবিধা প্রদান; কৃষি, কৃষি গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন; বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষা, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ, বৈজ্ঞানিক সফর ও কর্মসূচি বিনিময় বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন। | ||
১০ নং লাইন: | ১০ নং লাইন: | ||
এই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ফসলের প্রায় দুই ডজন উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। ধান, পাট, সরিষা, ছোলা, মুগ, মাষকলাই, টমেটো প্রভৃতি ফসলের উচ্চফলনশীল জাত এখন কৃষকরা চাষ করছে। ছয়টি ডালশস্য মসুরি, ছোলা, চীনাবাদাম, মুগ, গোমটর (cowpea) ও সয়াবিনের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কম খরচে পরিবেশসম্মত জীবসারও উদ্ভাবন করেছে। [এম ইদ্রিস আলী] | এই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ফসলের প্রায় দুই ডজন উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। ধান, পাট, সরিষা, ছোলা, মুগ, মাষকলাই, টমেটো প্রভৃতি ফসলের উচ্চফলনশীল জাত এখন কৃষকরা চাষ করছে। ছয়টি ডালশস্য মসুরি, ছোলা, চীনাবাদাম, মুগ, গোমটর (cowpea) ও সয়াবিনের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কম খরচে পরিবেশসম্মত জীবসারও উদ্ভাবন করেছে। [এম ইদ্রিস আলী] | ||
''আরও দেখুন'' বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন; পরমাণু শক্তি গবেষণা | ''আরও দেখুন'' [[বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন|বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন]]; [[পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান|পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান]]। | ||
[[en:Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture]] | [[en:Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture]] |
০৭:০৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture/BINA) বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশন কর্তৃক ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত আণবিক শক্তি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (Atomic Energy Agricultural Research Centre) বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও আইসোটোপ প্রযুক্তি ব্যবহারক্রমে মৌলিক ও ফলিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। স্বাধীনতার পর নবগঠিত বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের অধীনে আণবিক কৃষি ইনস্টিটিউট নামকরণের পর ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফিস ও গবেষণাগার ভবনসমূহ নির্মাণের পর ১৯৭৫ সালে এটি তার বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। একটি প্রশাসনিক ও সেবা শাখা ছাড়াও এতে আছে ৮টি বৈজ্ঞানিক বিভাগ: উদ্ভিদ প্রজনন ও জীনতত্ত্ব (Plant Breeding and Genetics), মৃত্তিকাবিজ্ঞান (Soil Science), ফসল শারীরতত্ত্ব (Crop Physiology), কীটতত্ত্ব (Entomology), উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব (Plant Pathology), কৃষিতত্ত্ব (Agronomy), কৃষি প্রকৌশল (Agricultural Engineering) এবং প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রকাশনা (Training, Communication and Publication)। কুমিল্লা, রংপুর, ঈশ্বরদী, মাগুরা ও খুলনায় ইনস্টিটিউটের পাঁচটি উপকেন্দ্র রয়েছে। জামালপুরে সংস্থার নিজস্ব একটি খামারও আছে। বর্তমানে মোট ৯৭ জন বিজ্ঞানিসহ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মিসংখ্যা ৪০৪ জন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রায় ৮০০০ কুরী (curie) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি 60Co gamma বিকিরণ উৎস রয়েছে।
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফসলের নতুন নতুন জাত সৃষ্টি, পানি ও ভূমি সম্পদের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা, শস্যের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির লাগসই প্রযুক্তি এবং রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই ও উৎপাদনশীল কৃষির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রম চালানো; কৃষিতাত্ত্বিক ও মাটি-উদ্ভিদ সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর গবেষণা; নতুন জাতের ফসল ও সেগুলি চাষাবাদের কৌশল সম্পর্কে প্রদর্শনী ও পরীক্ষার আয়োজন; ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ; ফসল গবেষণা সম্পর্কিত ম্যানুয়াল, মনোগ্রাফ, বুলেটিন প্রভৃতি প্রকাশ; ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণা সুবিধা প্রদান; কৃষি, কৃষি গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন; বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষা, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ, বৈজ্ঞানিক সফর ও কর্মসূচি বিনিময় বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন।
চৌদ্দ সদস্যের একটি বোর্ড বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব যথাক্রমে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বোর্ডের সদস্য সচিব।
এই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ফসলের প্রায় দুই ডজন উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। ধান, পাট, সরিষা, ছোলা, মুগ, মাষকলাই, টমেটো প্রভৃতি ফসলের উচ্চফলনশীল জাত এখন কৃষকরা চাষ করছে। ছয়টি ডালশস্য মসুরি, ছোলা, চীনাবাদাম, মুগ, গোমটর (cowpea) ও সয়াবিনের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কম খরচে পরিবেশসম্মত জীবসারও উদ্ভাবন করেছে। [এম ইদ্রিস আলী]
আরও দেখুন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন; পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।