বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন''' (বিজিএমইএ) | '''বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন''' (বিজিএমইএ) দেশের তৈরি পোশাক-এর উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী স্বীকৃত বণিক সমিতি। একটি ক্ষুদ্র রপ্তানিভিত্তিক অনুল্লেখযোগ্য অপ্রচলিত খাত হিসেবে ১৯৭০ দশকের শেষ পর্যায়ে যাত্রা শুরু করে এবং তৈরি [[পোশাক শিল্প|পোশাক শিল্প]] ১৯৮৩-এর দিকে এসে একটি প্রতিশ্রুতিশীল রপ্তানি আয়কারী খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়। সেই থেকে খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রাধিকার খাত হিসেবে স্বীকৃত। বিজিএমইএ বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার বস্ত্র প্রস্ত্ততকারী কোম্পানির শীর্ষ সংগঠন। ১৯৭৭ সালে মাত্র ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরুর পর থেকে সমিতিটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন ও বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে আসছে এবং জুলাই ২০১১ নাগাদ এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৭৬। তবে এর মধ্যে সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ২৯১৫। | ||
বিজিএমইএ তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশি ক্রেতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সমিতি, চেম্বার এবং গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণে নিবেদিত। বিজিএমইএ আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য আলোচনার উৎসাহদাতা হিসেবেও কাজ করে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুদৃঢ় ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে দেশের জন্য ক্রমাগত অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। বিজিএমইএ এক বছর মেয়াদে নির্বাচিত ২৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই পর্ষদের প্রধান একজন সভাপতি এবং এতে ৪ জন সহ-সভাপতি আছেন। | বিজিএমইএ তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশি ক্রেতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সমিতি, চেম্বার এবং গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণে নিবেদিত। বিজিএমইএ আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য আলোচনার উৎসাহদাতা হিসেবেও কাজ করে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুদৃঢ় ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে দেশের জন্য ক্রমাগত অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। বিজিএমইএ এক বছর মেয়াদে নির্বাচিত ২৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই পর্ষদের প্রধান একজন সভাপতি এবং এতে ৪ জন সহ-সভাপতি আছেন। | ||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
বিজিএমইএ-র নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত বস্ত্রমেলায় সদস্যদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, বিদেশি ক্রেতা, ব্যবসায়ী সমিতি ও চেম্বারের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সদস্য, বস্ত্র ক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবহারকারীদের তা সরবরাহ করা। বিজিএমইএ তৈরি পোশাক প্রস্ত্ততকারীদেরকে মজুতকৃত তৈরি পোশাক বিক্রয়ে সহায়তা প্রদান করে এবং কাপড়, সুতা, তন্তু, উল ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ দেয়। এছাড়াও বিজিএমইএ কারখানায় অগ্নি-দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণে তৈরি পোশাক প্রস্ত্ততকারীদের সাহায্য করে। বিজিএমইএ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বস্ত্র কোটার ব্যাপারে আলোচনায় সরকারকে সাহায্য করে এবং দেশে বস্ত্র খাতে শিশুশ্রম নির্মূল সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক-এর বাস্তবায়ন তদারক করে। এটি কোটা ব্যবহারবিষয়ক ঘোষণা প্রদান, পরিবীক্ষণ, সদস্য কারখানা-মালিকদের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস করার জন্য রপ্তানি আদেশ ইস্যুকরণ এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউজের মালামালের আন্তঃবন্ড উপ-ঠিকাদারি কার্যক্রম তদারকি করে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন ১৪ বছরের কম বয়স্ক চাকরি-হারানো শ্রমিকদের শিক্ষা-সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহণ, সামাজিক নিরাপত্তা এবং বীমা ব্যবস্থাপনা, গৃহায়ণ এবং দক্ষতা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ কর্মসূচিসমূহের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে বিজিএমইএর উদ্যোগে বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ইনস্টিটিউট ২০০১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে। শুরু থেকেই এ প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) কোর্স পরিচালনা করে আসছে। পরবর্তীকালে এখানে নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে এমবিএ কোর্স চালু করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পোশাক প্রস্ত্তত ও বিপণন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে থাকে। [মো. তুহীন মোল্লা] | বিজিএমইএ-র নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত বস্ত্রমেলায় সদস্যদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, বিদেশি ক্রেতা, ব্যবসায়ী সমিতি ও চেম্বারের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সদস্য, বস্ত্র ক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবহারকারীদের তা সরবরাহ করা। বিজিএমইএ তৈরি পোশাক প্রস্ত্ততকারীদেরকে মজুতকৃত তৈরি পোশাক বিক্রয়ে সহায়তা প্রদান করে এবং কাপড়, সুতা, তন্তু, উল ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ দেয়। এছাড়াও বিজিএমইএ কারখানায় অগ্নি-দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণে তৈরি পোশাক প্রস্ত্ততকারীদের সাহায্য করে। বিজিএমইএ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বস্ত্র কোটার ব্যাপারে আলোচনায় সরকারকে সাহায্য করে এবং দেশে বস্ত্র খাতে শিশুশ্রম নির্মূল সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক-এর বাস্তবায়ন তদারক করে। এটি কোটা ব্যবহারবিষয়ক ঘোষণা প্রদান, পরিবীক্ষণ, সদস্য কারখানা-মালিকদের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস করার জন্য রপ্তানি আদেশ ইস্যুকরণ এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউজের মালামালের আন্তঃবন্ড উপ-ঠিকাদারি কার্যক্রম তদারকি করে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন ১৪ বছরের কম বয়স্ক চাকরি-হারানো শ্রমিকদের শিক্ষা-সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহণ, সামাজিক নিরাপত্তা এবং বীমা ব্যবস্থাপনা, গৃহায়ণ এবং দক্ষতা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ কর্মসূচিসমূহের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে বিজিএমইএর উদ্যোগে বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ইনস্টিটিউট ২০০১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে। শুরু থেকেই এ প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) কোর্স পরিচালনা করে আসছে। পরবর্তীকালে এখানে নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে এমবিএ কোর্স চালু করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পোশাক প্রস্ত্তত ও বিপণন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে থাকে। [মো. তুহীন মোল্লা] | ||
[[en:Bangladesh Garment | [[en:Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association]] | ||
০৬:৩০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) দেশের তৈরি পোশাক-এর উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী স্বীকৃত বণিক সমিতি। একটি ক্ষুদ্র রপ্তানিভিত্তিক অনুল্লেখযোগ্য অপ্রচলিত খাত হিসেবে ১৯৭০ দশকের শেষ পর্যায়ে যাত্রা শুরু করে এবং তৈরি পোশাক শিল্প ১৯৮৩-এর দিকে এসে একটি প্রতিশ্রুতিশীল রপ্তানি আয়কারী খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়। সেই থেকে খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রাধিকার খাত হিসেবে স্বীকৃত। বিজিএমইএ বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার বস্ত্র প্রস্ত্ততকারী কোম্পানির শীর্ষ সংগঠন। ১৯৭৭ সালে মাত্র ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরুর পর থেকে সমিতিটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন ও বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে আসছে এবং জুলাই ২০১১ নাগাদ এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৭৬। তবে এর মধ্যে সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ২৯১৫।
বিজিএমইএ তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশি ক্রেতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সমিতি, চেম্বার এবং গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণে নিবেদিত। বিজিএমইএ আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য আলোচনার উৎসাহদাতা হিসেবেও কাজ করে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুদৃঢ় ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে দেশের জন্য ক্রমাগত অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। বিজিএমইএ এক বছর মেয়াদে নির্বাচিত ২৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই পর্ষদের প্রধান একজন সভাপতি এবং এতে ৪ জন সহ-সভাপতি আছেন।
বিজিএমইএ-র নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত বস্ত্রমেলায় সদস্যদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, বিদেশি ক্রেতা, ব্যবসায়ী সমিতি ও চেম্বারের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সদস্য, বস্ত্র ক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবহারকারীদের তা সরবরাহ করা। বিজিএমইএ তৈরি পোশাক প্রস্ত্ততকারীদেরকে মজুতকৃত তৈরি পোশাক বিক্রয়ে সহায়তা প্রদান করে এবং কাপড়, সুতা, তন্তু, উল ইত্যাদির যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ দেয়। এছাড়াও বিজিএমইএ কারখানায় অগ্নি-দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণে তৈরি পোশাক প্রস্ত্ততকারীদের সাহায্য করে। বিজিএমইএ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বস্ত্র কোটার ব্যাপারে আলোচনায় সরকারকে সাহায্য করে এবং দেশে বস্ত্র খাতে শিশুশ্রম নির্মূল সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক-এর বাস্তবায়ন তদারক করে। এটি কোটা ব্যবহারবিষয়ক ঘোষণা প্রদান, পরিবীক্ষণ, সদস্য কারখানা-মালিকদের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস করার জন্য রপ্তানি আদেশ ইস্যুকরণ এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউজের মালামালের আন্তঃবন্ড উপ-ঠিকাদারি কার্যক্রম তদারকি করে। এছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন ১৪ বছরের কম বয়স্ক চাকরি-হারানো শ্রমিকদের শিক্ষা-সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহণ, সামাজিক নিরাপত্তা এবং বীমা ব্যবস্থাপনা, গৃহায়ণ এবং দক্ষতা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ কর্মসূচিসমূহের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে বিজিএমইএর উদ্যোগে বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ইনস্টিটিউট ২০০১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে। শুরু থেকেই এ প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) কোর্স পরিচালনা করে আসছে। পরবর্তীকালে এখানে নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) এবং অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে এমবিএ কোর্স চালু করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পোশাক প্রস্ত্তত ও বিপণন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে থাকে। [মো. তুহীন মোল্লা]