বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণানিধান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণানিধান '''(১৮৭৭-১৯৫৫)  কবি ও স্বদেশপ্রেমিক। ১৮৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের  [[নদীয়া|নদীয়া]] জেলার শান্তিপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা নৃসিংহ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।
[[Image:BandaypadayKarunanidhan.jpg|thumb|right|400px|করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়]]
'''বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণানিধান''' (১৮৭৭-১৯৫৫)  কবি ও স্বদেশপ্রেমিক। ১৮৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের  [[নদীয়া|নদীয়া]] জেলার শান্তিপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা নৃসিংহ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।


করুণানিধান শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৯৬) ও কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে এফএ (১৮৯৯) পাস করে কলকাতা জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে বিএ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেন।
করুণানিধান শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৯৬) ও কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে এফএ (১৮৯৯) পাস করে কলকাতা জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে বিএ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেন।


করুণানিধানের সাহিত্যচর্চার শুরু ছাত্রাবস্থা থেকেই। তখন তাঁর কবিতায় প্রধানত দেশপ্রেমের বাণী প্রকাশ পেত। এরূপ কতগুলি কবিতার সমন্বয়ে তাঁর প্রথম কাব্য বঙ্গমঙ্গল প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালে। কিন্তু এর ফলে রাজরোষে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় কাব্যের প্রথম সংস্করণে তাঁর নাম মুদ্রিত হয়নি। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: প্রসাদী (১৯০৪), ঝরাফুল (১৯১১), শান্তিজল (১৯১৩), ধানদুর্বা (১৯২১), শতনরী (১৯৩০), রবীন্দ্র আরতি (১৯৪৭), গীতারঞ্জন (১৯৫১), গীতায়ন (মরণোত্তর, ১৯৫৯) ইত্যাদি।  
করুণানিধানের সাহিত্যচর্চার শুরু ছাত্রাবস্থা থেকেই। তখন তাঁর কবিতায় প্রধানত দেশপ্রেমের বাণী প্রকাশ পেত। এরূপ কতগুলি কবিতার সমন্বয়ে তাঁর প্রথম কাব্য বঙ্গমঙ্গল প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালে। কিন্তু এর ফলে রাজরোষে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় কাব্যের প্রথম সংস্করণে তাঁর নাম মুদ্রিত হয়নি। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: প্রসাদী (১৯০৪), ঝরাফুল (১৯১১), শান্তিজল (১৯১৩), ধানদুর্বা (১৯২১), শতনরী (১৯৩০), রবীন্দ্র আরতি (১৯৪৭), গীতারঞ্জন (১৯৫১), গীতায়ন (মরণোত্তর, ১৯৫৯) ইত্যাদি।  
[[Image:BandaypadayKarunanidhan.jpg|thumb|right|করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়]]


করুণানিধান ছিলেন রবীন্দ্রানুসারী কবি-সমাজের অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের ধারায় রোমান্টিক প্রেম, দাম্পত্য জীবনের লীলামাধুর্য, প্রকৃতিপ্রেম ও আধ্যাত্মিক ব্যাকুলতা তাঁর পরবর্তীকালের কবিতার উপজীব্য। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৫১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী পদকে’ ভূষিত হন। ১৯৫৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।  [সুশান্ত সরকার]
করুণানিধান ছিলেন রবীন্দ্রানুসারী কবি-সমাজের অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের ধারায় রোমান্টিক প্রেম, দাম্পত্য জীবনের লীলামাধুর্য, প্রকৃতিপ্রেম ও আধ্যাত্মিক ব্যাকুলতা তাঁর পরবর্তীকালের কবিতার উপজীব্য। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৫১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী পদকে’ ভূষিত হন। ১৯৫৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।  [সুশান্ত সরকার]
[[en:Bandyopadhyay, Karunanidhan]]
[[en:Bandyopadhyay, Karunanidhan]]
[[en:Bandyopadhyay, Karunanidhan]]


[[en:Bandyopadhyay, Karunanidhan]]
[[en:Bandyopadhyay, Karunanidhan]]

১০:৩৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়

বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণানিধান (১৮৭৭-১৯৫৫)  কবি ও স্বদেশপ্রেমিক। ১৮৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের  নদীয়া জেলার শান্তিপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা নৃসিংহ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।

করুণানিধান শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৯৬) ও কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে এফএ (১৮৯৯) পাস করে কলকাতা জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে বিএ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেন।

করুণানিধানের সাহিত্যচর্চার শুরু ছাত্রাবস্থা থেকেই। তখন তাঁর কবিতায় প্রধানত দেশপ্রেমের বাণী প্রকাশ পেত। এরূপ কতগুলি কবিতার সমন্বয়ে তাঁর প্রথম কাব্য বঙ্গমঙ্গল প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালে। কিন্তু এর ফলে রাজরোষে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় কাব্যের প্রথম সংস্করণে তাঁর নাম মুদ্রিত হয়নি। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: প্রসাদী (১৯০৪), ঝরাফুল (১৯১১), শান্তিজল (১৯১৩), ধানদুর্বা (১৯২১), শতনরী (১৯৩০), রবীন্দ্র আরতি (১৯৪৭), গীতারঞ্জন (১৯৫১), গীতায়ন (মরণোত্তর, ১৯৫৯) ইত্যাদি।

করুণানিধান ছিলেন রবীন্দ্রানুসারী কবি-সমাজের অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের ধারায় রোমান্টিক প্রেম, দাম্পত্য জীবনের লীলামাধুর্য, প্রকৃতিপ্রেম ও আধ্যাত্মিক ব্যাকুলতা তাঁর পরবর্তীকালের কবিতার উপজীব্য। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৫১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী পদকে’ ভূষিত হন। ১৯৫৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।  [সুশান্ত সরকার]