বনায়ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
বসতবাড়ি বনায়ন পদ্ধতিতেও বনসম্পদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বৃহদায়তন সামাজিক বনায়ন এখনও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণের অভাবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে নি। বনসম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য জনসাধারণের, বিশেষত নারীর সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। [এম আমিনুল ইসলাম] | বসতবাড়ি বনায়ন পদ্ধতিতেও বনসম্পদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বৃহদায়তন সামাজিক বনায়ন এখনও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণের অভাবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে নি। বনসম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য জনসাধারণের, বিশেষত নারীর সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। [এম আমিনুল ইসলাম] | ||
''আরও দেখুন'' [[ | ''আরও দেখুন'' [[বনউজার|বনউজার]]; [[বন ও বনবিজ্ঞান|বন ও বনবিজ্ঞান]]; [[সামাজিক বনায়ন|সামাজিক বনায়ন]]। | ||
[[en:Afforestation]] | [[en:Afforestation]] |
১০:২৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বনায়ন (Afforestation) বন ব্যতীত অন্যভাবে ব্যবহূত জমিতে বৃক্ষরোপণ প্রক্রিয়া। পক্ষান্তরে পুনর্বনায়ন (reafforestation) হলো বিদ্যমান নিঃশেষিত বৃক্ষবনে আবার বৃক্ষরোপণ। বন বিভাগের অধীনস্থ বনগুলির শ্রেণিবিভাগ নিম্নরূপ: পার্বত্য বন, ম্যানগ্রোভ বন ও সমতলীয় বন। ক্রান্তীয় চিরসবুজ ও আধা-চিরসবুজ প্রজাতি অধ্যুষিত বন আছে দেশের পাবর্ত্য পূর্বাঞ্চলে। পার্বত্য বনে চার শতাধিক বৃক্ষ প্রজাতি রয়েছে। একটি হিসাব অনুযায়ী লক্ষাধিক হেক্টর পার্বত্য বনের জায়গায় মূল্যবান ও দ্রুতবর্ধনশীল প্রজাতির আবাদ গড়ে তোলা হয়েছে। পার্বত্য বনে বার্ষিক প্রায় ১২,০০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য প্রায় ১৮ লক্ষ একর বনভূমি বরাদ্দ আছে।
ম্যানগ্রোভ বন দক্ষিণ-এশিয়ার ক্রান্তীয় উপকূলের অনেকগুলি অঞ্চলকে আড়াল করে রেখেছে। এই বনের বাস্তুসংস্থানিক গুরুত্ব সমধিক। এগুলির অর্থনৈতিক তাৎপর্যও আছে। সমুদ্র থেকে কেবল ভূমি উদ্ধার নয়, এগুলি অতি প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রত্যক্ষ উৎসও। চাষাবাদের জন্য সুন্দরবন অনুপযুক্ত অঞ্চল এবং বসতি স্থাপন নিষিদ্ধ বিধায় জায়গাটি প্রায় জনহীন; ব্যতিক্রম শুধু প্রত্যন্ত উত্তর এলাকা যেখানে ভূমি পুনরুদ্ধার চলছে। জোয়ারসেবিত এই বনটি অভ্যন্তর ভাগে প্রায় ১২০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু উপকূলীয় বন রয়েছে মাত্র ১ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর জুড়ে, তাতে বেশির ভাগই কেওড়া ও বাইন গাছ। ইদানিং এ ধরনের বনায়নের পরিমাণ বার্ষিক ৮,০০০ হেক্টরের বেশি। উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম ঘূর্ণিঝড় ও আনুষঙ্গিক জলোচ্ছ্বাসের বিরুদ্ধে পরিবেশীয় নিরাপত্তা যোগায়। অধিকন্তু এই বনভূমি সুস্থিত এবং তা নতুন জেগে ওঠা জায়গাগুলিকে চাষ উপযোগী করে আর সেইসঙ্গে জ্বালানি ও মন্ডের কাঠের চাহিদা মেটায়।
সমতলীয় বনগুলি আছে দেশের মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম অংশের উচ্চভূমিতে। শালগাছের আধিক্যের কারণে শালবন নামে পরিচিত এই বনগুলির গাছগাছালি নিম্নমানের এবং তাতে অবৈধ হস্তক্ষেপের ঝুঁকিও যথেষ্ট। এসব এলাকার মাত্র ৩০% জমিতে গাছ আছে। বিনষ্ট বনগুলিতে এখন দ্রুতবর্ধনশীল প্রজাতির চারা লাগানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে সমতলীয় শালবনে ১৫ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে বনায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
বসতবাড়ি বনায়ন পদ্ধতিতেও বনসম্পদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বৃহদায়তন সামাজিক বনায়ন এখনও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণের অভাবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে নি। বনসম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য জনসাধারণের, বিশেষত নারীর সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। [এম আমিনুল ইসলাম]
আরও দেখুন বনউজার; বন ও বনবিজ্ঞান; সামাজিক বনায়ন।