বনছাগল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:SerowMainland.jpg|thumb|400px|right|বনছাগল]] | |||
'''বনছাগল''' (Serow) ‘গোট অ্যান্টিলোপ’ (goat antelope) নামে পরিচিত চার প্রজাতির স্তন্যপায়ীর অন্যতম, অপর তিনটি হলো গোরাল (goral), চ্যামোইস (chamois) ও টাকিন (takin)। | '''বনছাগল''' (Serow) ‘গোট অ্যান্টিলোপ’ (goat antelope) নামে পরিচিত চার প্রজাতির স্তন্যপায়ীর অন্যতম, অপর তিনটি হলো গোরাল (goral), চ্যামোইস (chamois) ও টাকিন (takin)। | ||
বনছাগল গোরালের খুবই ঘনিষ্ঠ, তবে আকারে বড় এবং করোটির গর্তে রয়েছে কিছু ছোট ছোট মুখগ্রন্থি। বনছাগলের শিং গরালের মতোই কালো ও প্রায় ২০ সেমি লম্বা। বনছাগল Artiodactyla বর্গের Bovidae গোত্রের স্তন্যপায়ী প্রজাতি Capricornis sumatraensis-এর সাধারণ নাম। | বনছাগল গোরালের খুবই ঘনিষ্ঠ, তবে আকারে বড় এবং করোটির গর্তে রয়েছে কিছু ছোট ছোট মুখগ্রন্থি। বনছাগলের শিং গরালের মতোই কালো ও প্রায় ২০ সেমি লম্বা। বনছাগল Artiodactyla বর্গের Bovidae গোত্রের স্তন্যপায়ী প্রজাতি ''Capricornis sumatraensis''-এর সাধারণ নাম। | ||
ঘাড়ের কাছে বনছাগলের উচ্চতা ৯০-১১০ সেমি, পাতলা ও অমসৃণ লোমবিশিষ্ট ত্বক, ধোঁয়াটে কালো থেকে লাল রঙের দেহ এবং ঘাড়ের উপর আছে প্রকট কেশর এবং অত্যধিক লম্বা কান। বনছাগল দেখা যায় সুমাত্রা থেকে হিমালয়ের উত্তরাঞ্চল, জিয়াং ও দক্ষিণ চীনের নিম্নভূমি পর্যন্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও দেখা যায়। | ঘাড়ের কাছে বনছাগলের উচ্চতা ৯০-১১০ সেমি, পাতলা ও অমসৃণ লোমবিশিষ্ট ত্বক, ধোঁয়াটে কালো থেকে লাল রঙের দেহ এবং ঘাড়ের উপর আছে প্রকট কেশর এবং অত্যধিক লম্বা কান। বনছাগল দেখা যায় সুমাত্রা থেকে হিমালয়ের উত্তরাঞ্চল, জিয়াং ও দক্ষিণ চীনের নিম্নভূমি পর্যন্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও দেখা যায়। | ||
বনছাগল ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে স্থান বদল করে এবং গ্রীষ্মকালে উঁচু পাহাড়ে ওঠে। ঘাস ও গাছের পাতা খায়। গর্ভকাল ৭-৮ মাস, এক সঙ্গে একটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রজাতিটি বাংলাদেশে অতি বিপন্ন। [নুরজাহান সরকার] | বনছাগল ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে স্থান বদল করে এবং গ্রীষ্মকালে উঁচু পাহাড়ে ওঠে। ঘাস ও গাছের পাতা খায়। গর্ভকাল ৭-৮ মাস, এক সঙ্গে একটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রজাতিটি বাংলাদেশে অতি বিপন্ন। [নুরজাহান সরকার] |
১০:০৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বনছাগল (Serow) ‘গোট অ্যান্টিলোপ’ (goat antelope) নামে পরিচিত চার প্রজাতির স্তন্যপায়ীর অন্যতম, অপর তিনটি হলো গোরাল (goral), চ্যামোইস (chamois) ও টাকিন (takin)।
বনছাগল গোরালের খুবই ঘনিষ্ঠ, তবে আকারে বড় এবং করোটির গর্তে রয়েছে কিছু ছোট ছোট মুখগ্রন্থি। বনছাগলের শিং গরালের মতোই কালো ও প্রায় ২০ সেমি লম্বা। বনছাগল Artiodactyla বর্গের Bovidae গোত্রের স্তন্যপায়ী প্রজাতি Capricornis sumatraensis-এর সাধারণ নাম।
ঘাড়ের কাছে বনছাগলের উচ্চতা ৯০-১১০ সেমি, পাতলা ও অমসৃণ লোমবিশিষ্ট ত্বক, ধোঁয়াটে কালো থেকে লাল রঙের দেহ এবং ঘাড়ের উপর আছে প্রকট কেশর এবং অত্যধিক লম্বা কান। বনছাগল দেখা যায় সুমাত্রা থেকে হিমালয়ের উত্তরাঞ্চল, জিয়াং ও দক্ষিণ চীনের নিম্নভূমি পর্যন্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও দেখা যায়।
বনছাগল ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে স্থান বদল করে এবং গ্রীষ্মকালে উঁচু পাহাড়ে ওঠে। ঘাস ও গাছের পাতা খায়। গর্ভকাল ৭-৮ মাস, এক সঙ্গে একটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রজাতিটি বাংলাদেশে অতি বিপন্ন। [নুরজাহান সরকার]