বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার''' দেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রথম একটি নভোথিয়েটার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়সরণি, তেজগাঁও-এ ৫.৪৬ একর জমিতে এই নভোথিয়েটারের উদ্বোধন করা হয় এবং এর নতুন নামকরণ হয় [[ভাসানী, মওলানা আবদুল হামিদ খান|মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]-এর নামে ‘ভাসানী নভোথিয়েটার’। দেশের প্রথম এই অত্যাধুনিক প্লানেটারিয়াম স্থাপনে ব্যয় হয় ১২৩১২.৭২ লক্ষ টাকা। নভোথিয়েটারের স্থাপত্য নকশা করেন স্থপতি আলী ইমাম। নভোথিয়েটারে প্রদর্শনীর জন্য জাপান থেকে আমদানি করা হয় অত্যাধুনিক প্রজেকশন যন্ত্রপাতি। বলা হয় এটি বিশ্বের বারো শত নভোথিয়েটারের একটি। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সাল থেকে দর্শকদের জন্য নভোথিয়েটারের নিয়মিত প্রদর্শনী চালু করা হয়। [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান]] নভোথিয়েটার আইন (২০১০) সালের মাধ্যমে ভাসানী নভোথিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’। | '''বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার''' দেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রথম একটি নভোথিয়েটার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়সরণি, তেজগাঁও-এ ৫.৪৬ একর জমিতে এই নভোথিয়েটারের উদ্বোধন করা হয় এবং এর নতুন নামকরণ হয় [[ভাসানী, মওলানা আবদুল হামিদ খান|মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]-এর নামে ‘ভাসানী নভোথিয়েটার’। দেশের প্রথম এই অত্যাধুনিক প্লানেটারিয়াম স্থাপনে ব্যয় হয় ১২৩১২.৭২ লক্ষ টাকা। নভোথিয়েটারের স্থাপত্য নকশা করেন স্থপতি আলী ইমাম। নভোথিয়েটারে প্রদর্শনীর জন্য জাপান থেকে আমদানি করা হয় অত্যাধুনিক প্রজেকশন যন্ত্রপাতি। বলা হয় এটি বিশ্বের বারো শত নভোথিয়েটারের একটি। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সাল থেকে দর্শকদের জন্য নভোথিয়েটারের নিয়মিত প্রদর্শনী চালু করা হয়। [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান]] নভোথিয়েটার আইন (২০১০) সালের মাধ্যমে ভাসানী নভোথিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’। | ||
[[Image:BhananiNovaTheare.jpg|thumb|right|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার]] | [[Image:BhananiNovaTheare.jpg|thumb|right|400px|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার]] | ||
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ২টি ফিল্ম প্রদর্শিত হয়। প্রথমটি ৪০ মিনিটব্যাপী মহাকাশবিষয়ক ফিল্ম ‘জার্নি টু ইনফিনিটি’ এবং অন্যটি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্বলিত লার্জ ফরমেট ফিল্ম ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’। নভোথিয়েটারে মোট আসনসংখ্যা ২৭৫ এবং প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা। প্রত্যেক প্রদর্শনীর ২ ঘণ্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়। লাইনে দাঁড়ানো দর্শকদের প্রত্যেককে একটি করে টিকিট দেওয়া হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদনের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুধু সকালের প্রদর্শনীতে অগ্রিম টিকিট বরাদ্দের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস-এর সাহায্যে নভোথিয়েটারের প্রদর্শনীর অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করা যায়। | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ২টি ফিল্ম প্রদর্শিত হয়। প্রথমটি ৪০ মিনিটব্যাপী মহাকাশবিষয়ক ফিল্ম ‘জার্নি টু ইনফিনিটি’ এবং অন্যটি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্বলিত লার্জ ফরমেট ফিল্ম ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’। নভোথিয়েটারে মোট আসনসংখ্যা ২৭৫ এবং প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা। প্রত্যেক প্রদর্শনীর ২ ঘণ্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়। লাইনে দাঁড়ানো দর্শকদের প্রত্যেককে একটি করে টিকিট দেওয়া হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদনের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুধু সকালের প্রদর্শনীতে অগ্রিম টিকিট বরাদ্দের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস-এর সাহায্যে নভোথিয়েটারের প্রদর্শনীর অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করা যায়। | ||
১৫ নং লাইন: | ১৩ নং লাইন: | ||
নভোথিয়েটারে বিজ্ঞানবিষয়ক সভা ও সেমিনার আয়োজনের জন্য রয়েছে ১৫০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, বৃহদায়তনের একটি কনফারেন্স রুম এবং ১০০টি গাড়ির জন্য পার্কিং এলাকা। ১৫০ সিটের অডিটোরিয়াম ও ৫০ সিটের কনফারেন্স রুম নির্ধারিত হারে ভাড়া প্রদান করা হয়। [মোঃ মনসুর হোসেন] | নভোথিয়েটারে বিজ্ঞানবিষয়ক সভা ও সেমিনার আয়োজনের জন্য রয়েছে ১৫০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, বৃহদায়তনের একটি কনফারেন্স রুম এবং ১০০টি গাড়ির জন্য পার্কিং এলাকা। ১৫০ সিটের অডিটোরিয়াম ও ৫০ সিটের কনফারেন্স রুম নির্ধারিত হারে ভাড়া প্রদান করা হয়। [মোঃ মনসুর হোসেন] | ||
[[en:Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Novotheatre]] | [[en:Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Novotheatre]] |
০৪:৫৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার দেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রথম একটি নভোথিয়েটার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০০৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়সরণি, তেজগাঁও-এ ৫.৪৬ একর জমিতে এই নভোথিয়েটারের উদ্বোধন করা হয় এবং এর নতুন নামকরণ হয় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী-এর নামে ‘ভাসানী নভোথিয়েটার’। দেশের প্রথম এই অত্যাধুনিক প্লানেটারিয়াম স্থাপনে ব্যয় হয় ১২৩১২.৭২ লক্ষ টাকা। নভোথিয়েটারের স্থাপত্য নকশা করেন স্থপতি আলী ইমাম। নভোথিয়েটারে প্রদর্শনীর জন্য জাপান থেকে আমদানি করা হয় অত্যাধুনিক প্রজেকশন যন্ত্রপাতি। বলা হয় এটি বিশ্বের বারো শত নভোথিয়েটারের একটি। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সাল থেকে দর্শকদের জন্য নভোথিয়েটারের নিয়মিত প্রদর্শনী চালু করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন (২০১০) সালের মাধ্যমে ভাসানী নভোথিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ২টি ফিল্ম প্রদর্শিত হয়। প্রথমটি ৪০ মিনিটব্যাপী মহাকাশবিষয়ক ফিল্ম ‘জার্নি টু ইনফিনিটি’ এবং অন্যটি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্বলিত লার্জ ফরমেট ফিল্ম ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’। নভোথিয়েটারে মোট আসনসংখ্যা ২৭৫ এবং প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা। প্রত্যেক প্রদর্শনীর ২ ঘণ্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়। লাইনে দাঁড়ানো দর্শকদের প্রত্যেককে একটি করে টিকিট দেওয়া হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদনের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুধু সকালের প্রদর্শনীতে অগ্রিম টিকিট বরাদ্দের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস-এর সাহায্যে নভোথিয়েটারের প্রদর্শনীর অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করা যায়।
প্রতিদিন পাঁচবার প্রদর্শনী চলে। সপ্তাহে একদিন (বুধবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার বন্ধ থাকে। প্রদর্শনী প্রতিদিন শনিবার, রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা, দুপুর ১টা, বিকাল ৩টা, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টা এবং শুক্রবার সকাল ১০ টা, সকাল ১১:৩০টা, বিকাল ৩ টা, বিকাল ৫ টা ও সন্ধ্যা ৭ টা।
নভোথিয়েটারে অ্যাক্রোবেটিক এ্যারোপ্লেন, রেসিং কার, স্পেস ক্র্যাপ্ট, মনোরেল, এয়ারক্র্যাপ্ট ফাইবার এবং প্রাচীন পিরামিডের কোস্টারে চড়ে ভ্রমণের শিহরণ লাভের জন্য অনুভূমিক ও উল্লম্বভাবে গতিবিশিষ্ট স্পেস রাইড সিমুলেটর রয়েছে। আসন সংখ্যা ৩০। জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ২০ টাকা।
নভোথিয়েটারে প্রদর্শনী ছাড়াও রয়েছে সৌরজগতের গ্রহসমূহের মডেল, তারকাসমূহের মডেল, চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর মডেল, ট্রান্সপারেন্ট সেলেসিয়াল গ্লোব ইত্যাদি এবং বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের ছবি।
নভোথিয়েটারে বিজ্ঞানবিষয়ক সভা ও সেমিনার আয়োজনের জন্য রয়েছে ১৫০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, বৃহদায়তনের একটি কনফারেন্স রুম এবং ১০০টি গাড়ির জন্য পার্কিং এলাকা। ১৫০ সিটের অডিটোরিয়াম ও ৫০ সিটের কনফারেন্স রুম নির্ধারিত হারে ভাড়া প্রদান করা হয়। [মোঃ মনসুর হোসেন]