ফুলঝাড়ু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''ফুলঝাড়ু''' (Broom grass) Poaceae (= Gramineae) গোত্রের লম্বা (৪ মিটার পর্যন্ত) ও রাইজোমধর এক তৃণপ্রজাতি Thysanclaena maxima। তৃণকান্ড (culm) নিরেট, মসৃণ, গোলাকার ও আঙ্গুলের মতো পুরু। পাতা বড়, চওড়া, অনেকটা বাঁশপাতার মতো। মঞ্জরি প্রান্তিক, ৩০-৪০ সেমি লম্বা, অজস্র ছোট ছোট ফুলে ঘনবদ্ধ ও শেয়ালের লেজের মতো ফোলানো। ফুলঝাড়ু এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলে সর্বত্র জন্মায়। বাংলাদেশে পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ের উন্মুক্ত উৎরাই এলাকায় এ তৃণ সহজদৃষ্ট। এগুলি ঘর পরিষ্কার ও দালানের চুনকামের কাজে ব্যবহূত হয়। মঞ্জরিসহ লম্বা তৃণকান্ড ঝুল-পরিষ্কারের ঝাড়ুর হাতল তৈরিতে লাগে। কচি ডালপালা গবাদি পশুর উত্তম খাদ্য। হাতি গোটা ঝাড়ই খেয়ে থাকে। এর বীজ গর্ভপাত ঘটায় বলে জনশ্রুতি আছে। দৃঢ়বদ্ধ রাইজোম ভূমিক্ষয়রোধী। এদের বংশবিস্তার হয় বীজ ও রাইজোমের মাধ্যমে। বীজ থেকে যথেষ্ট চারা গজালেও মাটির নিচের রাইজোম থেকেই এদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এপ্রিল-মে মাসে নতুন ডালপালা গজায়, ফুল ফোটে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ফসল (ফুলের গোছা) তোলা যায়। ফুলঝাড়ুর হাতল পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়। [মোঃ খায়রুল আলম] | '''ফুলঝাড়ু''' (Broom grass) Poaceae (= Gramineae) গোত্রের লম্বা (৪ মিটার পর্যন্ত) ও রাইজোমধর এক তৃণপ্রজাতি Thysanclaena maxima। তৃণকান্ড (culm) নিরেট, মসৃণ, গোলাকার ও আঙ্গুলের মতো পুরু। পাতা বড়, চওড়া, অনেকটা বাঁশপাতার মতো। মঞ্জরি প্রান্তিক, ৩০-৪০ সেমি লম্বা, অজস্র ছোট ছোট ফুলে ঘনবদ্ধ ও শেয়ালের লেজের মতো ফোলানো। ফুলঝাড়ু এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলে সর্বত্র জন্মায়। বাংলাদেশে পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ের উন্মুক্ত উৎরাই এলাকায় এ তৃণ সহজদৃষ্ট। এগুলি ঘর পরিষ্কার ও দালানের চুনকামের কাজে ব্যবহূত হয়। মঞ্জরিসহ লম্বা তৃণকান্ড ঝুল-পরিষ্কারের ঝাড়ুর হাতল তৈরিতে লাগে। কচি ডালপালা গবাদি পশুর উত্তম খাদ্য। হাতি গোটা ঝাড়ই খেয়ে থাকে। এর বীজ গর্ভপাত ঘটায় বলে জনশ্রুতি আছে। দৃঢ়বদ্ধ রাইজোম ভূমিক্ষয়রোধী। এদের বংশবিস্তার হয় বীজ ও রাইজোমের মাধ্যমে। বীজ থেকে যথেষ্ট চারা গজালেও মাটির নিচের রাইজোম থেকেই এদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এপ্রিল-মে মাসে নতুন ডালপালা গজায়, ফুল ফোটে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ফসল (ফুলের গোছা) তোলা যায়। ফুলঝাড়ুর হাতল পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়। [মোঃ খায়রুল আলম] | ||
''আরও দেখুন'' | ''আরও দেখুন'' [[বাঁশ|বাঁশ]]। | ||
[[en:Broom Grass]] | [[en:Broom Grass]] |
১০:৩৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ফুলঝাড়ু (Broom grass) Poaceae (= Gramineae) গোত্রের লম্বা (৪ মিটার পর্যন্ত) ও রাইজোমধর এক তৃণপ্রজাতি Thysanclaena maxima। তৃণকান্ড (culm) নিরেট, মসৃণ, গোলাকার ও আঙ্গুলের মতো পুরু। পাতা বড়, চওড়া, অনেকটা বাঁশপাতার মতো। মঞ্জরি প্রান্তিক, ৩০-৪০ সেমি লম্বা, অজস্র ছোট ছোট ফুলে ঘনবদ্ধ ও শেয়ালের লেজের মতো ফোলানো। ফুলঝাড়ু এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলে সর্বত্র জন্মায়। বাংলাদেশে পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ের উন্মুক্ত উৎরাই এলাকায় এ তৃণ সহজদৃষ্ট। এগুলি ঘর পরিষ্কার ও দালানের চুনকামের কাজে ব্যবহূত হয়। মঞ্জরিসহ লম্বা তৃণকান্ড ঝুল-পরিষ্কারের ঝাড়ুর হাতল তৈরিতে লাগে। কচি ডালপালা গবাদি পশুর উত্তম খাদ্য। হাতি গোটা ঝাড়ই খেয়ে থাকে। এর বীজ গর্ভপাত ঘটায় বলে জনশ্রুতি আছে। দৃঢ়বদ্ধ রাইজোম ভূমিক্ষয়রোধী। এদের বংশবিস্তার হয় বীজ ও রাইজোমের মাধ্যমে। বীজ থেকে যথেষ্ট চারা গজালেও মাটির নিচের রাইজোম থেকেই এদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এপ্রিল-মে মাসে নতুন ডালপালা গজায়, ফুল ফোটে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ফসল (ফুলের গোছা) তোলা যায়। ফুলঝাড়ুর হাতল পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়। [মোঃ খায়রুল আলম]
আরও দেখুন বাঁশ।