পিট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:PeatMineralResourses.jpg|thumb|400px|right|পিট]]
'''পিট'''  কয়লার প্রাথমিক পর্যায় বা জাত। জলাভূমি ও আর্দ্র স্থানে বেড়ে ওঠা গাছপালা, গুল্মলতা, শ্যাওলা-শৈবালের আংশিক পচন ও বিসরণের প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন একটি গাঢ় বাদামি বা কৃষ্ণকায় অবশেষ।
'''পিট'''  কয়লার প্রাথমিক পর্যায় বা জাত। জলাভূমি ও আর্দ্র স্থানে বেড়ে ওঠা গাছপালা, গুল্মলতা, শ্যাওলা-শৈবালের আংশিক পচন ও বিসরণের প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন একটি গাঢ় বাদামি বা কৃষ্ণকায় অবশেষ।


সামান্য পরিমাণ অক্সিজেন বিশিষ্ট বদ্ধ পানিতে উদ্ভিদাদির পচনের ফলে এটি গঠিত হয়। পিটে আর্দ্রতামূলক উপাদান ৭৫ শতাংশের বেশি, কার্বন ৬০% ও অক্সিজেন ৩০% (আদ্রতামুক্ত অবস্থায়)। শুষ্ক অবস্থায় এটি অবাধে জ্বলে। এতে শনাক্তযোগ্য উদ্ভিজ্জ কণিকা বিদ্যমান থাকলেও মণিক নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পিট মজুতের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে মাদারীপুরের বাঘিয়া ও চান্দা বিল, খুলনা জেলার কোলা মৌজা, মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার ও চাতাল বিল এবং সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা ও চোরকাই-এর নাম উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে পিট ক্ষেত্রগুলো ভূ-পৃষ্ঠে বা এর খুব কাছে বিদ্যমান।
সামান্য পরিমাণ অক্সিজেন বিশিষ্ট বদ্ধ পানিতে উদ্ভিদাদির পচনের ফলে এটি গঠিত হয়। পিটে আর্দ্রতামূলক উপাদান ৭৫ শতাংশের বেশি, কার্বন ৬০% ও অক্সিজেন ৩০% (আদ্রতামুক্ত অবস্থায়)। শুষ্ক অবস্থায় এটি অবাধে জ্বলে। এতে শনাক্তযোগ্য উদ্ভিজ্জ কণিকা বিদ্যমান থাকলেও মণিক নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পিট মজুতের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে মাদারীপুরের বাঘিয়া ও চান্দা বিল, খুলনা জেলার কোলা মৌজা, মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার ও চাতাল বিল এবং সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা ও চোরকাই-এর নাম উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে পিট ক্ষেত্রগুলো ভূ-পৃষ্ঠে বা এর খুব কাছে বিদ্যমান।


[[Image:PeatMineralResourses.jpg|thumb|400px|right|পিট]]
নিম্নের সারণিতে দেশের পিট ক্ষেত্রগুলো দেখানো হলো:


নিম্নের সারণিতে দেশের পিট ক্ষেত্রগুলো দেখানো হলো:
{| class="table table-bordered"
{| class="table table-bordered"
|-
|-
| পিট ক্ষেত্রের  নাম ''' || ''''''এলাকা.বর্গ কিমি'''''')''' || '''মজুতের পরিমাণ.মিলিয়ন টন'''''')''' || '''স্তরের পুরুত্ব.মিটার'''''')'''
| পিট ক্ষেত্রের  নাম || এলাকা (বর্গ কিমি)  || মজুতের পরিমাণ (মিলিয়ন মে. টন)  || স্তরের পুরুত্ব (মিটার)
 
|-
|-
|  || ''' ''' || ভিজা || শুকনা || থেকে || পর্যন্ত
|  || ''' ''' || ভিজা || শুকনা || থেকে || পর্যন্ত
|-
|-
| বাঘিয়া-চান্দা বিল  || ৫১৮  || ৮৭৫  || ১২৫  || ০.৯১  || ৪.১৪
| বাঘিয়া-চান্দা বিল  || ৫১৮  || ৮৭৫  || ১২৫  || ০.৯১  || ৪.১৪
|-
|-
| কোলা মৌজা  || ৩৯  || ৫৬  || ৮  || ০.০৭৫  || ৪.০
| কোলা মৌজা  || ৩৯  || ৫৬  || ৮  || ০.০৭৫  || ৪.০
|-
|-
| মৌলভীবাজার ১ || ৯.৫  || ১৪.৭  || ২.১  || ১.২২  || ১.৫২
| মৌলভীবাজার ১ || ৯.৫  || ১৪.৭  || ২.১  || ১.২২  || ১.৫২
|-
|-
| মৌলভীবাজার ২ || ৪.৪  || ৩.০  || ০.৭৬  || --- || ---
| মৌলভীবাজার ২ || ৪.৪  || ৩.০  || ০.৭৬  || --- || ---
|-
|-
| চাতাল বিল || ১৩.৮  || ৪১.৫  || ৬.২১  || ১.৩৭  || ৭.৬৫
| চাতাল বিল || ১৩.৮  || ৪১.৫  || ৬.২১  || ১.৩৭  || ৭.৬৫
|-
|-
| পাগলা || ১১.৫৫  || ১০.০৪  || ১.৮  || ০.৯১  || ১.৮০
| পাগলা || ১১.৫৫  || ১০.০৪  || ১.৮  || ০.৯১  || ১.৮০
৩৭ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:
বাংলাদেশে প্রাপ্ত পিট বাদামি থেকে ঘন বাদামি রঙের এবং অাঁশময় ও নরম। এটি সংকুচিত হয় এবং শুকালে দৃঢ় ও ভঙ্গুর হয়। গৃহস্থালি, শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জ্বালানি হিসেবে পিট ব্যবহার করা সম্ভব। বাংলাদেশে পিটের ব্যবহার এখনও ব্যক্তি পর্যায়েই হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পিট ব্যবহারের একাধিক পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেয়া হলেও বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে কোথাও পিট আহরন করা হচ্ছে না।  [মোঃ নিহাল উদ্দিন]
বাংলাদেশে প্রাপ্ত পিট বাদামি থেকে ঘন বাদামি রঙের এবং অাঁশময় ও নরম। এটি সংকুচিত হয় এবং শুকালে দৃঢ় ও ভঙ্গুর হয়। গৃহস্থালি, শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জ্বালানি হিসেবে পিট ব্যবহার করা সম্ভব। বাংলাদেশে পিটের ব্যবহার এখনও ব্যক্তি পর্যায়েই হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পিট ব্যবহারের একাধিক পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেয়া হলেও বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে কোথাও পিট আহরন করা হচ্ছে না।  [মোঃ নিহাল উদ্দিন]


[[en:Peat]]
[[en:Peat]]
[[en:Peat]]


[[en:Peat]]
[[en:Peat]]

০৬:২৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পিট

পিট  কয়লার প্রাথমিক পর্যায় বা জাত। জলাভূমি ও আর্দ্র স্থানে বেড়ে ওঠা গাছপালা, গুল্মলতা, শ্যাওলা-শৈবালের আংশিক পচন ও বিসরণের প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন একটি গাঢ় বাদামি বা কৃষ্ণকায় অবশেষ।

সামান্য পরিমাণ অক্সিজেন বিশিষ্ট বদ্ধ পানিতে উদ্ভিদাদির পচনের ফলে এটি গঠিত হয়। পিটে আর্দ্রতামূলক উপাদান ৭৫ শতাংশের বেশি, কার্বন ৬০% ও অক্সিজেন ৩০% (আদ্রতামুক্ত অবস্থায়)। শুষ্ক অবস্থায় এটি অবাধে জ্বলে। এতে শনাক্তযোগ্য উদ্ভিজ্জ কণিকা বিদ্যমান থাকলেও মণিক নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পিট মজুতের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে মাদারীপুরের বাঘিয়া ও চান্দা বিল, খুলনা জেলার কোলা মৌজা, মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার ও চাতাল বিল এবং সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা ও চোরকাই-এর নাম উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে পিট ক্ষেত্রগুলো ভূ-পৃষ্ঠে বা এর খুব কাছে বিদ্যমান।

নিম্নের সারণিতে দেশের পিট ক্ষেত্রগুলো দেখানো হলো:

পিট ক্ষেত্রের  নাম এলাকা (বর্গ কিমি) মজুতের পরিমাণ (মিলিয়ন মে. টন) স্তরের পুরুত্ব (মিটার)
  ভিজা শুকনা থেকে পর্যন্ত
বাঘিয়া-চান্দা বিল ৫১৮ ৮৭৫ ১২৫ ০.৯১ ৪.১৪
কোলা মৌজা ৩৯ ৫৬ ০.০৭৫ ৪.০
মৌলভীবাজার ১ ৯.৫ ১৪.৭ ২.১ ১.২২ ১.৫২
মৌলভীবাজার ২ ৪.৪ ৩.০ ০.৭৬ --- ---
চাতাল বিল ১৩.৮ ৪১.৫ ৬.২১ ১.৩৭ ৭.৬৫
পাগলা ১১.৫৫ ১০.০৪ ১.৮ ০.৯১ ১.৮০
চরকাই ১১.৬০ ৮.৯ ১.২ ০.৬০ ১.৮২

বাংলাদেশে প্রাপ্ত পিট বাদামি থেকে ঘন বাদামি রঙের এবং অাঁশময় ও নরম। এটি সংকুচিত হয় এবং শুকালে দৃঢ় ও ভঙ্গুর হয়। গৃহস্থালি, শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জ্বালানি হিসেবে পিট ব্যবহার করা সম্ভব। বাংলাদেশে পিটের ব্যবহার এখনও ব্যক্তি পর্যায়েই হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পিট ব্যবহারের একাধিক পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেয়া হলেও বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে কোথাও পিট আহরন করা হচ্ছে না।  [মোঃ নিহাল উদ্দিন]