পাহাড়তলী থানা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৯ নং লাইন: ৩৯ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:PahartaliThana.jpg|thumb|400px|
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ভবন।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ভবন।


''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর দল এ থানায় অবস্থিত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের চট্টগ্রাম কোষাগার লুণ্ঠন করেন। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যসেনের অন্যতম সহযোগী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এ থানার ইউরোপিয়ান ক্লাবে সফল আক্রমণ পরিচালনা করে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য পটাসিয়াম সায়ানাইট খেয়ে আত্মাহুতি দেন।
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর দল এ থানায় অবস্থিত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের চট্টগ্রাম কোষাগার লুণ্ঠন করেন। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যসেনের অন্যতম সহযোগী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এ থানার ইউরোপিয়ান ক্লাবে সফল আক্রমণ পরিচালনা করে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য পটাসিয়াম সায়ানাইট খেয়ে আত্মাহুতি দেন।


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪, মন্দির ৩, গির্জা ১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সিডিএ মার্কেট মসজিদ, পাহাড়তলী মসজিদ, মহিউদ্দিন শাহ্ মাযার, জববার শাহ্ মাযার, জেলেপাড়া শ্মশান মন্দির, বালিয়াপাড়া কালী মন্দির, উত্তর কাটালী শিব মন্দির।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ৪, মন্দির ৩, গির্জা ১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সিডিএ মার্কেট মসজিদ, পাহাড়তলী মসজিদ, মহিউদ্দিন শাহ্ মাযার, জববার শাহ্ মাযার, জেলেপাড়া শ্মশান মন্দির, বালিয়াপাড়া কালী মন্দির, উত্তর কাটালী শিব মন্দির।
 
[[Image:PahartaliThana.jpg]]
 
 


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬৭.৯৭%; পুরুষ ৭১.৭০%, মহিলা ৬১.৮০%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমী, সিটি কর্পোরেশন কলেজ, নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড়তলী হাইস্কুল।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬৭.৯৭%; পুরুষ ৭১.৭০%, মহিলা ৬১.৮০%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমী, সিটি কর্পোরেশন কলেজ, নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড়তলী হাইস্কুল।


সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান  খেলার মাঠ ৫, সিনেমা হল ১।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান''  খেলার মাঠ ৫, সিনেমা হল ১।


''গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা'' বিসিক শিল্প এলাকা, জোহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম (বিভাগীয় স্টেডিয়াম), পাহাড়তলী রেলস্টেশন।
''গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা'' বিসিক শিল্প এলাকা, জোহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম (বিভাগীয় স্টেডিয়াম), পাহাড়তলী রেলস্টেশন।
৬১ নং লাইন: ৫৮ নং লাইন:
''শিল্প ও কলকারখানা'' একেখান জুট মিলস্, চট্টগ্রাম টেক্সটাইল মিলস, বাগদাদ কার্পেট ফ্যাক্টরি, ভিক্টোরিয়া জুট মিলস্, বিডি ফুডস্, বেক্সিমকো ফুড উল্লেখযোগ্য।
''শিল্প ও কলকারখানা'' একেখান জুট মিলস্, চট্টগ্রাম টেক্সটাইল মিলস, বাগদাদ কার্পেট ফ্যাক্টরি, ভিক্টোরিয়া জুট মিলস্, বিডি ফুডস্, বেক্সিমকো ফুড উল্লেখযোগ্য।


হাটবাজার ও শপিং কমপ্লেক্স  পাহাড়তলী বাজার, বাংলা বাজার, সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, আবদুল আলী হাট, কর্নেল হাট, জোলার হাট,  সিডিএ মার্কেট, হানিমুন টাওয়ার উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও শপিং কমপ্লেক্স''  পাহাড়তলী বাজার, বাংলা বাজার, সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, আবদুল আলী হাট, কর্নেল হাট, জোলার হাট,  সিডিএ মার্কেট, হানিমুন টাওয়ার উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   পাটজাত দ্রব্য, প্রক্রিয়াজাত চিংড়ি।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  পাটজাত দ্রব্য, প্রক্রিয়াজাত চিংড়ি।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও মহল্লা বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯০.০৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও মহল্লা বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯০.০৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৬৪.১১%, পুকুর ১.৩৯%, ট্যাপ ৩৩.২৪% এবং অন্যান্য ১.২৬%।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৬৪.১১%, পুকুর ১.৩৯%, ট্যাপ ৩৩.২৪% এবং অন্যান্য ১.২৬%।


স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৭৭.১৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.৪৯% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.৪% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' ৭৭.১৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.৪৯% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.৪% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''এনজিও'' প্রশিকা।  [গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া]
''এনজিও'' প্রশিকা।  [গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া]
৭৫ নং লাইন: ৭২ নং লাইন:
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[en:Pahartali Thana]]
[[en:Pahartali Thana]]
[[en:Pahartali Thana]]


[[en:Pahartali Thana]]
[[en:Pahartali Thana]]

০৬:৩৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পাহাড়তলী থানা (চট্টগ্রাম জেলা)  আয়তন: ৮.৪৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২০´ থেকে ২২°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৫´ থেকে ৯১°৪৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে সীতাকুন্ড উপজেলা, দক্ষিণে হালিশহর ও ডবলমুরিং থানা, পূর্বে খুলশী থানা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।

জনসংখ্যা ১৩২৩৬৮; পুরুষ ৭২৩০৫, মহিলা ৬০০৬৩। মুসলিম ১১৫৩০৯, হিন্দু ১৬৪২৮, বৌদ্ধ ৩১৫, খ্রিস্টান ২৭৭ এবং অন্যান্য ৩৭।

জলাশয় বঙ্গোপসাগর।

প্রশাসন ১৯৭৮ সালে পাহাড়তলী থানা গঠন করা হয়েছে।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১৪ ১৩২৩৬৮ - ১৫৬৮৩ ৬৭.৯৭ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড  নং ৯ (আংশিক) ০.৪৮ ২৮৮২ ২২৪৩ ৬৭.২৬
ওয়ার্ড  নং ১০ ৬.২২ ১৭৬০১ ১৩৮০০ ৭৫.৭০
ওয়ার্ড  নং ১১ (আংশিক) ১.৭৪ ২৫২৯২ ২২১০৮ ৬৪.৫০
ওয়ার্ড  নং ১২ (আংশিক) ১.৬২ ২৬৫৩০ ২১৯১২ ৬৪.৪০

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

[[Image:PahartaliThana.jpg|thumb|400px| প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ভবন।

ঐতিহাসিক ঘটনাবলি মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর দল এ থানায় অবস্থিত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের চট্টগ্রাম কোষাগার লুণ্ঠন করেন। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যসেনের অন্যতম সহযোগী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এ থানার ইউরোপিয়ান ক্লাবে সফল আক্রমণ পরিচালনা করে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য পটাসিয়াম সায়ানাইট খেয়ে আত্মাহুতি দেন।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪, মন্দির ৩, গির্জা ১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: সিডিএ মার্কেট মসজিদ, পাহাড়তলী মসজিদ, মহিউদ্দিন শাহ্ মাযার, জববার শাহ্ মাযার, জেলেপাড়া শ্মশান মন্দির, বালিয়াপাড়া কালী মন্দির, উত্তর কাটালী শিব মন্দির।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৭.৯৭%; পুরুষ ৭১.৭০%, মহিলা ৬১.৮০%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমী, সিটি কর্পোরেশন কলেজ, নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড়তলী হাইস্কুল।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান  খেলার মাঠ ৫, সিনেমা হল ১।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিসিক শিল্প এলাকা, জোহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম (বিভাগীয় স্টেডিয়াম), পাহাড়তলী রেলস্টেশন।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩.২৩%, অকৃষি শ্রমিক ১.৮০%, শিল্প ২.০৩%, ব্যবসা ২২.০২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৯.৯১%, চাকরি ৩৮.৪২%, নির্মাণ ৩.১১%, ধর্মীয় সেবা ০.২০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৩.৪০% এবং অন্যান্য ১৫.৮৮%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৫.১৩%, ভূমিহীন ৬৪.৮৭%।

শিল্প ও কলকারখানা একেখান জুট মিলস্, চট্টগ্রাম টেক্সটাইল মিলস, বাগদাদ কার্পেট ফ্যাক্টরি, ভিক্টোরিয়া জুট মিলস্, বিডি ফুডস্, বেক্সিমকো ফুড উল্লেখযোগ্য।

হাটবাজার ও শপিং কমপ্লেক্স  পাহাড়তলী বাজার, বাংলা বাজার, সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, আবদুল আলী হাট, কর্নেল হাট, জোলার হাট,  সিডিএ মার্কেট, হানিমুন টাওয়ার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  পাটজাত দ্রব্য, প্রক্রিয়াজাত চিংড়ি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও মহল্লা বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯০.০৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৬৪.১১%, পুকুর ১.৩৯%, ট্যাপ ৩৩.২৪% এবং অন্যান্য ১.২৬%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৭৭.১৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.৪৯% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.৪% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

এনজিও প্রশিকা।  [গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।