পানছড়ি উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''পানছড়ি উপজেলা''' (খাগড়াছড়ি জেলা) আয়তন: ৩৩৪.১১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°১২´ থেকে ২৩°২৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯২°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পূর্বে দীঘিনালা উপজেলা, পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলা। | '''পানছড়ি উপজেলা''' ([[খাগড়াছড়ি জেলা|খাগড়াছড়ি জেলা]]) আয়তন: ৩৩৪.১১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°১২´ থেকে ২৩°২৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯২°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পূর্বে দীঘিনালা উপজেলা, পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' ৬৪৫১০; পুরুষ ৩৩৮৬৩, মহিলা ৩০৬৪৭। মুসলিম ১৮৮৭৫, হিন্দু ১২৪৭৫, বৌদ্ধ ২৩৬, খ্রিস্টান ৩২৯০৭ এবং অন্যান্য ১৭। এ উপজেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। | ''জনসংখ্যা'' ৬৪৫১০; পুরুষ ৩৩৮৬৩, মহিলা ৩০৬৪৭। মুসলিম ১৮৮৭৫, হিন্দু ১২৪৭৫, বৌদ্ধ ২৩৬, খ্রিস্টান ৩২৯০৭ এবং অন্যান্য ১৭। এ উপজেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। | ||
১২ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - || ৪ || ৭ || ২১৯ || ২৪০৭০ || ৪০৪৪০ || ১৯৩ || ৪৬.০ || ২৭.৬ | | - || ৪ || ৭ || ২১৯ || ২৪০৭০ || ৪০৪৪০ || ১৯৩ || ৪৬.০ || ২৭.৬ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ৮২.৮৮ || ১ || ২৪০৭০ || ২৯০ || ৪৫.৯৬ | | ৮২.৮৮ || ১ || ২৪০৭০ || ২৯০ || ৪৫.৯৬ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন (একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
৪০ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
|- | |- | ||
| চেঙ্গী ১৯ || ১৪৭২০ || ৪২২১ || ৪১১৩ || ২৬.৩১ | | চেঙ্গী ১৯ || ১৪৭২০ || ৪২২১ || ৪১১৩ || ২৬.৩১ | ||
|- | |- | ||
| পানছড়ি ৭৬ || ২০৪৮০ || ১৩১৪৭ || ১০৯২৩ || ৪৫.৯৬ | | পানছড়ি ৭৬ || ২০৪৮০ || ১৩১৪৭ || ১০৯২৩ || ৪৫.৯৬ | ||
|- | |- | ||
| লতিবন ৩৮ || ২৭৫২০ || ৯৮২৩ || ৯২৫৯ || ২৬.৫৫ | | লতিবন ৩৮ || ২৭৫২০ || ৯৮২৩ || ৯২৫৯ || ২৬.৫৫ | ||
|- | |- | ||
| লোগাং ৫৭ || ১৯৮৪০ || ৬৬৭২ || ৬৩৫২ || ৩৯.৮৫ | | লোগাং ৫৭ || ১৯৮৪০ || ৬৬৭২ || ৬৩৫২ || ৩৯.৮৫ | ||
৫২ নং লাইন: | ৪৪ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:PanchhariUpazila.jpg|thumb|right||thumb|right]] | |||
''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৯৮৬ সালের জুন মাসে পানছড়ি উপজেলার দমদম, কালানাল ও ছনটিলায় শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ১০৫ জন লোককে হত্যা করে। এ উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের দুদুকছড়াতে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ অস্ত্রসমর্পণ করে। এখানেই শান্তিবাহিনী বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। | ''ঐতিহাসিক ঘটনাবলি'' ১৯৮৬ সালের জুন মাসে পানছড়ি উপজেলার দমদম, কালানাল ও ছনটিলায় শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ১০৫ জন লোককে হত্যা করে। এ উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের দুদুকছড়াতে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ অস্ত্রসমর্পণ করে। এখানেই শান্তিবাহিনী বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৪.৬%; পুরুষ ৪২.৮%, মহিলা ২৫.৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পানছড়ি কলেজ (১৯৯০), পানছড়ি হাইস্কুল ও কলেজ (১৯৮১)। | ''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৪.৬%; পুরুষ ৪২.৮%, মহিলা ২৫.৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পানছড়ি কলেজ (১৯৯০), পানছড়ি হাইস্কুল ও কলেজ (১৯৮১)। | ||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ১৭, নাট্যদল ১, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ৭। | |||
সাংস্কৃতিক | |||
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৪.৮৪%, অকৃষি শ্রমিক ৯.৫৬%, শিল্প ০.২৭%, ব্যবসা ৮.৫৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৭৪%, চাকরি ৫.৮৬%, নির্মাণ ০.৫৭%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩২% এবং অন্যান্য ৯.০৬%। | ''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৪.৮৪%, অকৃষি শ্রমিক ৯.৫৬%, শিল্প ০.২৭%, ব্যবসা ৮.৫৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৭৪%, চাকরি ৫.৮৬%, নির্মাণ ০.৫৭%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩২% এবং অন্যান্য ৯.০৬%। | ||
৬৭ নং লাইন: | ৫৭ নং লাইন: | ||
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিল, আদা, হলুদ, বাঁশ, শাকসবজি। | ''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিল, আদা, হলুদ, বাঁশ, শাকসবজি। | ||
''প্রধান ফল- | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, আখ। | ||
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' হাঁস-মুরগি ৩। | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' হাঁস-মুরগি ৩। | ||
৭৯ নং লাইন: | ৬৯ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩, মেলা ১। লোগাং বাজার, পুইজগাং বাজার, উল্টাছড়ি বাজার এবং বিজয় মেলা (পানছড়ি সদরে) উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৩, মেলা ১। লোগাং বাজার, পুইজগাং বাজার, উল্টাছড়ি বাজার এবং বিজয় মেলা (পানছড়ি সদরে) উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' কাঠ, বাঁশ, আদা, হলুদ, তিল, সরিষা, কলা, কাঁঠাল, আনারস। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
৮৭ নং লাইন: | ৭৭ নং লাইন: | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলায় ১১.৯০% (গ্রামে ৫.৫৯% এবং শহরে ২৩.৩৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৮.১২% (গ্রামে ৮৩.৮৬% এবং শহরে ৬৭.৭১%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.৯৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলায় ১১.৯০% (গ্রামে ৫.৫৯% এবং শহরে ২৩.৩৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৮.১২% (গ্রামে ৮৩.৮৬% এবং শহরে ৬৭.৭১%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.৯৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩। | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩। | ||
এনজিও ব্র্যাক, ইউনিসেফ। [সঞ্জয় কিশোর দাস] | এনজিও ব্র্যাক, ইউনিসেফ। [সঞ্জয় কিশোর দাস] | ||
৯৩ নং লাইন: | ৮৩ নং লাইন: | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পানছড়ি উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | '''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পানছড়ি উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | ||
[[en:Panchhari Upazila]] | [[en:Panchhari Upazila]] |
১০:০৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পানছড়ি উপজেলা (খাগড়াছড়ি জেলা) আয়তন: ৩৩৪.১১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°১২´ থেকে ২৩°২৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯২°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পূর্বে দীঘিনালা উপজেলা, পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলা।
জনসংখ্যা ৬৪৫১০; পুরুষ ৩৩৮৬৩, মহিলা ৩০৬৪৭। মুসলিম ১৮৮৭৫, হিন্দু ১২৪৭৫, বৌদ্ধ ২৩৬, খ্রিস্টান ৩২৯০৭ এবং অন্যান্য ১৭। এ উপজেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় প্রধান নদী: চেঙ্গী।
প্রশাসন পানছড়ি থানা গঠিত হয় ১৯৭৬ সালের ১ অক্টোবর এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৪ | ৭ | ২১৯ | ২৪০৭০ | ৪০৪৪০ | ১৯৩ | ৪৬.০ | ২৭.৬ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৮২.৮৮ | ১ | ২৪০৭০ | ২৯০ | ৪৫.৯৬ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
চেঙ্গী ১৯ | ১৪৭২০ | ৪২২১ | ৪১১৩ | ২৬.৩১ | ||||
পানছড়ি ৭৬ | ২০৪৮০ | ১৩১৪৭ | ১০৯২৩ | ৪৫.৯৬ | ||||
লতিবন ৩৮ | ২৭৫২০ | ৯৮২৩ | ৯২৫৯ | ২৬.৫৫ | ||||
লোগাং ৫৭ | ১৯৮৪০ | ৬৬৭২ | ৬৩৫২ | ৩৯.৮৫ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ১৯৮৬ সালের জুন মাসে পানছড়ি উপজেলার দমদম, কালানাল ও ছনটিলায় শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ১০৫ জন লোককে হত্যা করে। এ উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের দুদুকছড়াতে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অনুযায়ী শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ অস্ত্রসমর্পণ করে। এখানেই শান্তিবাহিনী বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৪.৬%; পুরুষ ৪২.৮%, মহিলা ২৫.৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পানছড়ি কলেজ (১৯৯০), পানছড়ি হাইস্কুল ও কলেজ (১৯৮১)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ১৭, নাট্যদল ১, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ৭।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৪.৮৪%, অকৃষি শ্রমিক ৯.৫৬%, শিল্প ০.২৭%, ব্যবসা ৮.৫৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৭৪%, চাকরি ৫.৮৬%, নির্মাণ ০.৫৭%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩২% এবং অন্যান্য ৯.০৬%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪২.৪৬%, ভূমিহীন ৫৭.৫৪%। শহরে ৩৮.৭৬% এবং গ্রামে ৪৪.৪৯% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিল, আদা, হলুদ, বাঁশ, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, আখ।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি ৩।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা আইস ফ্যাক্টরি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩, মেলা ১। লোগাং বাজার, পুইজগাং বাজার, উল্টাছড়ি বাজার এবং বিজয় মেলা (পানছড়ি সদরে) উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য কাঠ, বাঁশ, আদা, হলুদ, তিল, সরিষা, কলা, কাঁঠাল, আনারস।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৪৬%, ট্যাপ ১.০৩%, পুকুর ৫.২০% এবং অন্যান্য ৪৭.৭৭%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলায় ১১.৯০% (গ্রামে ৫.৫৯% এবং শহরে ২৩.৩৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৮.১২% (গ্রামে ৮৩.৮৬% এবং শহরে ৬৭.৭১%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.৯৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩।
এনজিও ব্র্যাক, ইউনিসেফ। [সঞ্জয় কিশোর দাস]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পানছড়ি উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।