নোয়াখালী জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''নোয়াখালী জিলা স্কুল''''''  '''বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আইরিশ সরকারি কর্মকর্তা মি. জোনস ১৮৫০ সালে জেলার পুরানো শহরে বেসরকারি উদ্যোগে স্কুলটি স্থাপন করেন। এর তিন বছর পর স্কুলটিকে সরকারি করা হয়। তখন এর নামকরণ হয় আর.কে হাই স্কুল। ১৯২০ সালে স্কুলটি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। ১৯২১ সালে মহববতপুর গ্রামের পূর্ব প্রান্তে মন্তিয়ার ঘোনায় তা স্থানান্তরিত হয়। নদীর ভাঙ্গনে এই স্কুল আবার বিলীন হয়ে যায় এবং ১৯২৩ সালের ১ জানুয়ারি আর.কে জুবিলী স্কুলে স্থানান্তরিত হয় এবং স্কুলের নামকরণ করা হয় আর.কে জিলা স্কুল। ১৯৩১ সালে স্কুলটি আবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয় এবং আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে এটির মর্নিং শিফট চালু হয়। আবারও নদী ভাঙ্গনের কারণে স্কুলটি বঙ্গ বিদ্যালয়ে এবং একই কারণে ১৯৪৮ সালে বঙ্গবিদ্যালয় থেকে কারামতিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৩ সালে কারামতিয়া মাদ্রাসা থেকে এটি বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৮ ও ১৯৭০ সালের সাইক্লোনে এটি আবার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং পরবর্তীকালে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয়।  
'''নোয়াখালী জিলা স্কুল'''  বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আইরিশ সরকারি কর্মকর্তা মি. জোনস ১৮৫০ সালে জেলার পুরানো শহরে বেসরকারি উদ্যোগে স্কুলটি স্থাপন করেন। এর তিন বছর পর স্কুলটিকে সরকারি করা হয়। তখন এর নামকরণ হয় আর.কে হাই স্কুল। ১৯২০ সালে স্কুলটি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। ১৯২১ সালে মহববতপুর গ্রামের পূর্ব প্রান্তে মন্তিয়ার ঘোনায় তা স্থানান্তরিত হয়। নদীর ভাঙ্গনে এই স্কুল আবার বিলীন হয়ে যায় এবং ১৯২৩ সালের ১ জানুয়ারি আর.কে জুবিলী স্কুলে স্থানান্তরিত হয় এবং স্কুলের নামকরণ করা হয় আর.কে জিলা স্কুল। ১৯৩১ সালে স্কুলটি আবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয় এবং আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে এটির মর্নিং শিফট চালু হয়। আবারও নদী ভাঙ্গনের কারণে স্কুলটি বঙ্গ বিদ্যালয়ে এবং একই কারণে ১৯৪৮ সালে বঙ্গবিদ্যালয় থেকে কারামতিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৩ সালে কারামতিয়া মাদ্রাসা থেকে এটি বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৮ ও ১৯৭০ সালের সাইক্লোনে এটি আবার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং পরবর্তীকালে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয়।  


বর্তমানে স্কুলের মূল ভবনসহ তিনটি সুবিশাল দালান, দুইটি ছাত্রাবাস, একটি অডিটোরিয়াম ও একটি বড় গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রভাতি ও দিবা দুইটি শিফটে স্কুলে পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান  শিক্ষকসহ এর মোট শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। ৮ একর ভূমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এর ছাত্র সংখ্যা ১৫০০।
বর্তমানে স্কুলের মূল ভবনসহ তিনটি সুবিশাল দালান, দুইটি ছাত্রাবাস, একটি অডিটোরিয়াম ও একটি বড় গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রভাতি ও দিবা দুইটি শিফটে স্কুলে পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান  শিক্ষকসহ এর মোট শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। ৮ একর ভূমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এর ছাত্র সংখ্যা ১৫০০।


প্রাত্যহিক সমাবেশ, আধুনিক পাঠদান, খেলাধুলা, বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বার্ষিক শিক্ষা সফর, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ পালন এবং গ্রন্থাগার ও বিজ্ঞানাগার ব্যবহারসহ স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মকান্ড এ বিদ্যালয়ে নিয়মিত পরিচালিত হয়। নোয়াখালী জিলা স্কুল''' '''৫ম ও ৮ম শ্রেণি বৃত্তি পরীক্ষায় নিয়মিত সাফল্য অর্জন করে। এই স্কুল কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় নিয়মিত স্থানদখলকারী শীর্ষ দশ স্কুলের একটি।
প্রাত্যহিক সমাবেশ, আধুনিক পাঠদান, খেলাধুলা, বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বার্ষিক শিক্ষা সফর, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ পালন এবং গ্রন্থাগার ও বিজ্ঞানাগার ব্যবহারসহ স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মকান্ড এ বিদ্যালয়ে নিয়মিত পরিচালিত হয়। নোয়াখালী জিলা স্কুল''' '''৫ম ও ৮ম শ্রেণি বৃত্তি পরীক্ষায় নিয়মিত সাফল্য অর্জন করে। এই স্কুল কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় নিয়মিত স্থানদখলকারী শীর্ষ দশ স্কুলের একটি। [মো. আব্দুল মতিন]
 
[মো. আব্দুল মতিন]
__NOTOC__
<!-- imported from file: 102974.html-->
 


[[en:Noakhali Zila School]]
[[en:Noakhali Zila School]]

০৬:১৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

নোয়াখালী জিলা স্কুল  বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আইরিশ সরকারি কর্মকর্তা মি. জোনস ১৮৫০ সালে জেলার পুরানো শহরে বেসরকারি উদ্যোগে স্কুলটি স্থাপন করেন। এর তিন বছর পর স্কুলটিকে সরকারি করা হয়। তখন এর নামকরণ হয় আর.কে হাই স্কুল। ১৯২০ সালে স্কুলটি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। ১৯২১ সালে মহববতপুর গ্রামের পূর্ব প্রান্তে মন্তিয়ার ঘোনায় তা স্থানান্তরিত হয়। নদীর ভাঙ্গনে এই স্কুল আবার বিলীন হয়ে যায় এবং ১৯২৩ সালের ১ জানুয়ারি আর.কে জুবিলী স্কুলে স্থানান্তরিত হয় এবং স্কুলের নামকরণ করা হয় আর.কে জিলা স্কুল। ১৯৩১ সালে স্কুলটি আবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয় এবং আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে এটির মর্নিং শিফট চালু হয়। আবারও নদী ভাঙ্গনের কারণে স্কুলটি বঙ্গ বিদ্যালয়ে এবং একই কারণে ১৯৪৮ সালে বঙ্গবিদ্যালয় থেকে কারামতিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৩ সালে কারামতিয়া মাদ্রাসা থেকে এটি বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৮ ও ১৯৭০ সালের সাইক্লোনে এটি আবার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং পরবর্তীকালে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয়।

বর্তমানে স্কুলের মূল ভবনসহ তিনটি সুবিশাল দালান, দুইটি ছাত্রাবাস, একটি অডিটোরিয়াম ও একটি বড় গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রভাতি ও দিবা দুইটি শিফটে স্কুলে পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান  শিক্ষকসহ এর মোট শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৩। ৮ একর ভূমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এর ছাত্র সংখ্যা ১৫০০।

প্রাত্যহিক সমাবেশ, আধুনিক পাঠদান, খেলাধুলা, বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বার্ষিক শিক্ষা সফর, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ পালন এবং গ্রন্থাগার ও বিজ্ঞানাগার ব্যবহারসহ স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মকান্ড এ বিদ্যালয়ে নিয়মিত পরিচালিত হয়। নোয়াখালী জিলা স্কুল ৫ম ও ৮ম শ্রেণি বৃত্তি পরীক্ষায় নিয়মিত সাফল্য অর্জন করে। এই স্কুল কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় নিয়মিত স্থানদখলকারী শীর্ষ দশ স্কুলের একটি। [মো. আব্দুল মতিন]