ধরলা নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''ধরলা নদী''' (Dharla River) একটি আন্তঃসীমান্ত নদী; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের চ্যাংগ্রাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে অবস্থিত উজান প্রবাহে নদীটি জলঢাকা অথবা শিংগিমারি নামে পরিচিত। পাটগ্রাম পুলিশ স্টেশনের কাছে নদীটি পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে মোটামুটি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। অকস্মাৎ এটি দক্ষিণে বাঁক নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করে সর্পিল গতিতে প্রবাহিত হয়েছে। ধরলার ডান তীরে কুড়িগ্রাম শহর। কুড়িগ্রাম শহরের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নদীটি ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। রংপুরে নীলকুমার নামে ধরলার একটি ছোট উপনদী আছে। বর্ষার শুরুতে ধরলাতে স্রোত খুব বেড়ে যায় এবং নদীতীরে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ খুব হ্রাস পায়; বিশেষত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদী খাত প্রায় শুষ্ক থাকে। এ নদী নিম্ন অববাহিকা বর্ষার শুরুতে পাহাড়ী ঢল জনিত আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়। নদী তীর অধিকমাত্রায় বেলে যুক্ত ও ঢাল বেশি হওয়ায় ভাঙ্গন প্রবণতা অধিক। প্রায় প্রতি বছরই নদী তীরবর্তী প্লাবনভূমি বর্ষায় বন্যা কবলিত হয়। বাংলাদেশ অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ৭৫ কিমি। | '''ধরলা নদী''' (Dharla River) একটি আন্তঃসীমান্ত নদী; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের চ্যাংগ্রাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে অবস্থিত উজান প্রবাহে নদীটি জলঢাকা অথবা শিংগিমারি নামে পরিচিত। পাটগ্রাম পুলিশ স্টেশনের কাছে নদীটি পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে মোটামুটি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। অকস্মাৎ এটি দক্ষিণে বাঁক নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করে সর্পিল গতিতে প্রবাহিত হয়েছে। ধরলার ডান তীরে কুড়িগ্রাম শহর। কুড়িগ্রাম শহরের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নদীটি ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। রংপুরে নীলকুমার নামে ধরলার একটি ছোট উপনদী আছে। বর্ষার শুরুতে ধরলাতে স্রোত খুব বেড়ে যায় এবং নদীতীরে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ খুব হ্রাস পায়; বিশেষত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদী খাত প্রায় শুষ্ক থাকে। এ নদী নিম্ন অববাহিকা বর্ষার শুরুতে পাহাড়ী ঢল জনিত আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়। নদী তীর অধিকমাত্রায় বেলে যুক্ত ও ঢাল বেশি হওয়ায় ভাঙ্গন প্রবণতা অধিক। প্রায় প্রতি বছরই নদী তীরবর্তী প্লাবনভূমি বর্ষায় বন্যা কবলিত হয়। বাংলাদেশ অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ৭৫ কিমি। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | ||
[মাসুদ হাসান চৌধুরী | |||
[[en:Dharla River]] | [[en:Dharla River]] |
০৯:১৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ধরলা নদী (Dharla River) একটি আন্তঃসীমান্ত নদী; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের চ্যাংগ্রাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে অবস্থিত উজান প্রবাহে নদীটি জলঢাকা অথবা শিংগিমারি নামে পরিচিত। পাটগ্রাম পুলিশ স্টেশনের কাছে নদীটি পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে মোটামুটি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। অকস্মাৎ এটি দক্ষিণে বাঁক নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করে সর্পিল গতিতে প্রবাহিত হয়েছে। ধরলার ডান তীরে কুড়িগ্রাম শহর। কুড়িগ্রাম শহরের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নদীটি ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। রংপুরে নীলকুমার নামে ধরলার একটি ছোট উপনদী আছে। বর্ষার শুরুতে ধরলাতে স্রোত খুব বেড়ে যায় এবং নদীতীরে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ খুব হ্রাস পায়; বিশেষত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদী খাত প্রায় শুষ্ক থাকে। এ নদী নিম্ন অববাহিকা বর্ষার শুরুতে পাহাড়ী ঢল জনিত আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়। নদী তীর অধিকমাত্রায় বেলে যুক্ত ও ঢাল বেশি হওয়ায় ভাঙ্গন প্রবণতা অধিক। প্রায় প্রতি বছরই নদী তীরবর্তী প্লাবনভূমি বর্ষায় বন্যা কবলিত হয়। বাংলাদেশ অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ৭৫ কিমি। [মাসুদ হাসান চৌধুরী]