দেওয়ালি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''দেওয়ালি''' হিন্দুদের উৎসব বিশেষ। এটি দীপাবলি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসুপ্তিকা এবং যক্ষরাত্রি নামেও অভিহিত হয়। মহালয়ায় শ্রাদ্ধগ্রহণের জন্য যমলোক ছেড়ে যে পিতৃপুরুষগণ মর্ত্যে আগমন করেন বলে কল্পিত হয়, তাঁদের পথ প্রদর্শনার্থে উল্কা জ্বালানো হয়। এ কারণে ওইদিন আলোকসজ্জা ও বাজি পোড়ানো হয়। কেউ কেউ রাত্রিতে নিজগৃহে দরজা-জানালায় মোতবাতি জ্বালায়; কেউ বা লম্বা বাঁশের মাথায় কাগজের তৈরি ছোট ঘরে প্রদীপ জ্বালায়; একে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘আকাশপ্রদীপ’।
'''দেওয়ালি''' হিন্দুদের উৎসব বিশেষ। এটি দীপাবলি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসুপ্তিকা এবং যক্ষরাত্রি নামেও অভিহিত হয়। মহালয়ায় শ্রাদ্ধগ্রহণের জন্য যমলোক ছেড়ে যে পিতৃপুরুষগণ মর্ত্যে আগমন করেন বলে কল্পিত হয়, তাঁদের পথ প্রদর্শনার্থে উল্কা জ্বালানো হয়। এ কারণে ওইদিন আলোকসজ্জা ও বাজি পোড়ানো হয়। কেউ কেউ রাত্রিতে নিজগৃহে দরজা-জানালায় মোতবাতি জ্বালায়; কেউ বা লম্বা বাঁশের মাথায় কাগজের তৈরি ছোট ঘরে প্রদীপ জ্বালায়; একে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘আকাশপ্রদীপ’।


কার্তিকী অমাবস্যায় এ উৎসব উপলক্ষে  [[কালীপূজা|কালীপূজা]], কোনো কোনো স্থানে লক্ষ্মীপূজাও হয় এবং নানাবিধ বাদ্যের দ্বারা অলক্ষ্মীকে বিদায় করা হয়। এর পশ্চাতে একটি অতীত ঐতিহ্য আছে এবং তা হলো, রাবণবধের পর রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে এলে যে আনন্দোৎসব হয়েছিল তার স্মরণেই এ উৎসব পালিত হয়। বুদ্ধদেবের গৃহত্যাগ স্মরণে বৌদ্ধরা এ সময়ে উৎসব করে। মহাবীরের নির্বাণদিবস উপলক্ষে অমাবস্যার আগের দিন চতুর্থী তিথিতে জৈনরা আলোকসজ্জা করে। কোনো কোনো স্থানে এদিন দীপাবলি সাজানোরও রীতি আছে।  [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণ]] কর্তৃক নরকাসুর বধের স্মারক হিসেবে একে নরকচতুর্দশী বলা হয়।
কার্তিকী অমাবস্যায় এ উৎসব উপলক্ষে  [[কালীপূজা|কালীপূজা]], কোনো কোনো স্থানে লক্ষ্মীপূজাও হয় এবং নানাবিধ বাদ্যের দ্বারা অলক্ষ্মীকে বিদায় করা হয়। এর পশ্চাতে একটি অতীত ঐতিহ্য আছে এবং তা হলো, রাবণবধের পর রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে এলে যে আনন্দোৎসব হয়েছিল তার স্মরণেই এ উৎসব পালিত হয়। বুদ্ধদেবের গৃহত্যাগ স্মরণে বৌদ্ধরা এ সময়ে উৎসব করে। মহাবীরের নির্বাণদিবস উপলক্ষে অমাবস্যার আগের দিন চতুর্থী তিথিতে জৈনরা আলোকসজ্জা করে। কোনো কোনো স্থানে এদিন দীপাবলি সাজানোরও রীতি আছে।  [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণ]] কর্তৃক নরকাসুর বধের স্মারক হিসেবে একে নরকচতুর্দশী বলা হয়। [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]
 
[সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]
 
[[en:Dewali]]


[[en:Dewali]]
[[en:Dewali]]

০৬:৩৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দেওয়ালি হিন্দুদের উৎসব বিশেষ। এটি দীপাবলি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসুপ্তিকা এবং যক্ষরাত্রি নামেও অভিহিত হয়। মহালয়ায় শ্রাদ্ধগ্রহণের জন্য যমলোক ছেড়ে যে পিতৃপুরুষগণ মর্ত্যে আগমন করেন বলে কল্পিত হয়, তাঁদের পথ প্রদর্শনার্থে উল্কা জ্বালানো হয়। এ কারণে ওইদিন আলোকসজ্জা ও বাজি পোড়ানো হয়। কেউ কেউ রাত্রিতে নিজগৃহে দরজা-জানালায় মোতবাতি জ্বালায়; কেউ বা লম্বা বাঁশের মাথায় কাগজের তৈরি ছোট ঘরে প্রদীপ জ্বালায়; একে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘আকাশপ্রদীপ’।

কার্তিকী অমাবস্যায় এ উৎসব উপলক্ষে  কালীপূজা, কোনো কোনো স্থানে লক্ষ্মীপূজাও হয় এবং নানাবিধ বাদ্যের দ্বারা অলক্ষ্মীকে বিদায় করা হয়। এর পশ্চাতে একটি অতীত ঐতিহ্য আছে এবং তা হলো, রাবণবধের পর রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে এলে যে আনন্দোৎসব হয়েছিল তার স্মরণেই এ উৎসব পালিত হয়। বুদ্ধদেবের গৃহত্যাগ স্মরণে বৌদ্ধরা এ সময়ে উৎসব করে। মহাবীরের নির্বাণদিবস উপলক্ষে অমাবস্যার আগের দিন চতুর্থী তিথিতে জৈনরা আলোকসজ্জা করে। কোনো কোনো স্থানে এদিন দীপাবলি সাজানোরও রীতি আছে।  কৃষ্ণ কর্তৃক নরকাসুর বধের স্মারক হিসেবে একে নরকচতুর্দশী বলা হয়। [সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়]