দুপচাঁচিয়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র''')) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''দুপচাঁচিয়া উপজেলা '''(বগুড়া জেলা) আয়তন: ১৬২.৪৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৮´ থেকে ২৪°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৫´ থেকে ৮৯°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ক্ষেতলাল উপজেলা, দক্ষিণে আদমদীঘি ও কাহালু উপজেলা, পূর্বে শিবগঞ্জ ও কাহালু উপজেলা, পশ্চিমে আদমদীঘি ও আক্কেলপুর উপজেলা। | '''দুপচাঁচিয়া উপজেলা''' (বগুড়া জেলা) আয়তন: ১৬২.৪৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৮´ থেকে ২৪°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৫´ থেকে ৮৯°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ক্ষেতলাল উপজেলা, দক্ষিণে আদমদীঘি ও কাহালু উপজেলা, পূর্বে শিবগঞ্জ ও কাহালু উপজেলা, পশ্চিমে আদমদীঘি ও আক্কেলপুর উপজেলা। | ||
''জনসংখ্যা'' ১৬০৮৯৪; পুরুষ ৮১৬০৪, মহিলা ৭৯২৯০। মুসলিম ১৪৭৪০৫, হিন্দু ১৩৩৮৭ এবং অন্যান্য ১০২। | ''জনসংখ্যা'' ১৬০৮৯৪; পুরুষ ৮১৬০৪, মহিলা ৭৯২৯০। মুসলিম ১৪৭৪০৫, হিন্দু ১৩৩৮৭ এবং অন্যান্য ১০২। | ||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
''প্রশাসন'' থানা গঠিত হয় ১৮৮০ সালে এবং থানা উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে। দুপচাঁচিয়া পৌরসভা গঠিত হয় ২০০০ সালে। | ''প্রশাসন'' থানা গঠিত হয় ১৮৮০ সালে এবং থানা উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে। দুপচাঁচিয়া পৌরসভা গঠিত হয় ২০০০ সালে। | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| ১ || ৬ || ১১৫ || ২১২ || ২১৭৬১ || ১৩৯১৩৩ || ৯৯০ || ৫২.৬ || ৪৪.৩ | | ১ || ৬ || ১১৫ || ২১২ || ২১৭৬১ || ১৩৯১৩৩ || ৯৯০ || ৫২.৬ || ৪৪.৩ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
|পৌরসভা | | colspan="9" |পৌরসভা | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১০.২১ || ৯ || ৩৭ || ১৭৬০৯ || ১৭২৫ || ৫১.১ | | ১০.২১ || ৯ || ৩৭ || ১৭৬০৯ || ১৭২৫ || ৫১.১ | ||
|- | |- | ||
| পৌরসভার বাইরে উপজেলা শহর | | colspan="9" | পৌরসভার বাইরে উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| ১.২৮ || ১ || ৪১৫২ || ৩২৪৪ || ৫৮.৭ | | ১.২৮ || ১ || ৪১৫২ || ৩২৪৪ || ৫৮.৭ | ||
|} | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" |ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || আয়তন(একর) || লোকসংখ্যা || শিক্ষার হার(%) | | rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2" | আয়তন(একর) || colspan="2" | লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| গুনাহার ৫৪ || ৭২১০ || ১৩০৪৩ || ১২৭৯৯ || ৪৪.৯০ | | গুনাহার ৫৪ || ৭২১০ || ১৩০৪৩ || ১২৭৯৯ || ৪৪.৯০ | ||
|- | |- | ||
| গোবিন্দপুর ৪০ || ৭২০৫ || ১৪৪০৬ || ১৪২৪৩ || ৪৭.৮৭ | | গোবিন্দপুর ৪০ || ৭২০৫ || ১৪৪০৬ || ১৪২৪৩ || ৪৭.৮৭ | ||
|- | |- | ||
| চামরুল ১৩ || ৭৯৪৮ || ১৩২৯৭ || ১৩০৯০ || ৪০.০৫ | | চামরুল ১৩ || ৭৯৪৮ || ১৩২৯৭ || ১৩০৯০ || ৪০.০৫ | ||
|- | |- | ||
| জিয়ানগর ৮১ || ৫৪৬২ || ৯৯৭৪ || ৯৫৯৪ || ৪২.৫৯ | | জিয়ানগর ৮১ || ৫৪৬২ || ৯৯৭৪ || ৯৫৯৪ || ৪২.৫৯ | ||
|- | |- | ||
| তালোড়া ৬৭ || ৫৬৬৪ || ১৩১০৫ || ১২৫৮৬ || ৪৯.১০ | | তালোড়া ৬৭ || ৫৬৬৪ || ১৩১০৫ || ১২৫৮৬ || ৪৯.১০ | ||
|- | |- | ||
| দুপচাঁচিয়া ২৭ || ৬৬৫০ || ৮৬৬৩ || ৮৪৮৫ || ৪২.১৮ | | দুপচাঁচিয়া ২৭ || ৬৬৫০ || ৮৬৬৩ || ৮৪৮৫ || ৪২.১৮ | ||
৭১ নং লাইন: | ৫৩ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:DhupchachiaUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' গয়াবন্ধ মাযার, পীর জিয়াউদ্দীনের মাযার, গোবিন্দপুর মন্দির (গোবিন্দপুর)। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' গয়াবন্ধ মাযার, পীর জিয়াউদ্দীনের মাযার, গোবিন্দপুর মন্দির (গোবিন্দপুর)। | ||
৭৭ নং লাইন: | ৬০ নং লাইন: | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (তালোড়া দুপচাঁচিয়া সড়কের পাশে পদ্মপুকুর নামক স্থানে)। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ১ (তালোড়া দুপচাঁচিয়া সড়কের পাশে পদ্মপুকুর নামক স্থানে)। | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩৪৬, মন্দির | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩৪৬, মন্দির ৫২, মাযার ৪। | ||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৫.৪%; পুরুষ ৫১.৬%, মহিলা ৩৯.১%। কলেজ ৫, কারিগরি কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), দুপচাঁচিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৩), দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৪)। | |||
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' কলমের ছোঁয়া। | |||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৫৯, লাইব্রেরি ১, শিল্পকলা একাডেমী ১, ক্লাব ১, সিনেমা হল ৪, মিলনায়তন ১, কমিউিনিটি সেন্টার ৪। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৫৯, লাইব্রেরি ১, শিল্পকলা একাডেমী ১, ক্লাব ১, সিনেমা হল ৪, মিলনায়তন ১, কমিউিনিটি সেন্টার ৪। | ||
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৬.৪৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭৭%, শিল্প ০.৭৪%, ব্যবসা ১৩.৮৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৯৭%, চাকরি ৪.৪৩%, নির্মাণ ০.৬৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬৫% এবং অন্যান্য ৬.৩৯%। | ''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৬.৪৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭৭%, শিল্প ০.৭৪%, ব্যবসা ১৩.৮৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৯৭%, চাকরি ৪.৪৩%, নির্মাণ ০.৬৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬৫% এবং অন্যান্য ৬.৩৯%। | ||
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, আলু, সরিষা, গম। | ''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, পাট, আলু, সরিষা, গম। | ||
বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় | ''বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' তিল, তিসি, অড়হর। | ||
প্রধান ফল | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, কলা, তাল। | ||
''মৎস্য | ''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৭৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৪০ কিমি; রেলপথ ১০ কিমি। | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৭৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৪০ কিমি; রেলপথ ১০ কিমি। | ||
১০৯ নং লাইন: | ৮৮ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৫, মেলা ১৩। ধাপের হাট, জিয়ানগর হাট, তালোড়া হাট, সাহারপুকুর হাট এবং ধাপের মেলা, গয়াবান্দা মেলা, নবান্ন মেলা ও বিজয় মেলা। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১৫, মেলা ১৩। ধাপের হাট, জিয়ানগর হাট, তালোড়া হাট, সাহারপুকুর হাট এবং ধাপের মেলা, গয়াবান্দা মেলা, নবান্ন মেলা ও বিজয় মেলা। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, চাল, বিস্কুট, মাছ, দুধ। | ||
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩২.০২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩২.০২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
১১৫ নং লাইন: | ৯৪ নং লাইন: | ||
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬%, ট্যাপ ০.৪৯%, পুকুর ০.০৮% এবং অন্যান্য ৩.৪৪%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৬%, ট্যাপ ০.৪৯%, পুকুর ০.০৮% এবং অন্যান্য ৩.৪৪%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। | ||
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৮.৫৯% (গ্রামে ২৪.৮০% ও শহরে ৫৪.৯০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৪.৬৪% (গ্রামে ২৫.৩৫% ও শহরে ১৯.৭০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪৬.৭৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ২৮.৫৯% (গ্রামে ২৪.৮০% ও শহরে ৫৪.৯০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৪.৬৪% (গ্রামে ২৫.৩৫% ও শহরে ১৯.৭০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪৬.৭৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | ||
'' | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৩, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ক্লিনিক ৪, ডায়াগ্নস্টিক সেন্টার ১। | ||
''' | ''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ২০০৪ সালের এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলার ধাপসুলতানগঞ্জ, খোলাশ, মোস্তফাপুর ও নিমাইকোলা গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। | ||
''এনজিও'' আশা, ব্র্যাক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ, এসডিও, সেবা। [মো খায়রুল আলম পুলক] | |||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দুপচাঁচিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | |||
[[en:Dhupchanchia Upazila]] | [[en:Dhupchanchia Upazila]] |
০৪:৩৮, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
দুপচাঁচিয়া উপজেলা (বগুড়া জেলা) আয়তন: ১৬২.৪৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৮´ থেকে ২৪°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৫´ থেকে ৮৯°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ক্ষেতলাল উপজেলা, দক্ষিণে আদমদীঘি ও কাহালু উপজেলা, পূর্বে শিবগঞ্জ ও কাহালু উপজেলা, পশ্চিমে আদমদীঘি ও আক্কেলপুর উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৬০৮৯৪; পুরুষ ৮১৬০৪, মহিলা ৭৯২৯০। মুসলিম ১৪৭৪০৫, হিন্দু ১৩৩৮৭ এবং অন্যান্য ১০২।
জলাশয় প্রধান নদী: ইছামতি, নাগর।
প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৮৮০ সালে এবং থানা উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে। দুপচাঁচিয়া পৌরসভা গঠিত হয় ২০০০ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৬ | ১১৫ | ২১২ | ২১৭৬১ | ১৩৯১৩৩ | ৯৯০ | ৫২.৬ | ৪৪.৩ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
১০.২১ | ৯ | ৩৭ | ১৭৬০৯ | ১৭২৫ | ৫১.১ | |||
পৌরসভার বাইরে উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
১.২৮ | ১ | ৪১৫২ | ৩২৪৪ | ৫৮.৭ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন(একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
গুনাহার ৫৪ | ৭২১০ | ১৩০৪৩ | ১২৭৯৯ | ৪৪.৯০ | ||||
গোবিন্দপুর ৪০ | ৭২০৫ | ১৪৪০৬ | ১৪২৪৩ | ৪৭.৮৭ | ||||
চামরুল ১৩ | ৭৯৪৮ | ১৩২৯৭ | ১৩০৯০ | ৪০.০৫ | ||||
জিয়ানগর ৮১ | ৫৪৬২ | ৯৯৭৪ | ৯৫৯৪ | ৪২.৫৯ | ||||
তালোড়া ৬৭ | ৫৬৬৪ | ১৩১০৫ | ১২৫৮৬ | ৪৯.১০ | ||||
দুপচাঁচিয়া ২৭ | ৬৬৫০ | ৮৬৬৩ | ৮৪৮৫ | ৪২.১৮ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ গয়াবন্ধ মাযার, পীর জিয়াউদ্দীনের মাযার, গোবিন্দপুর মন্দির (গোবিন্দপুর)।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পাকবাহিনী প্রথম এ উপজেলায় প্রবেশ করে। ১১ এপ্রিল তারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ১ জন এবং জমিদার ক্ষিতিশ চন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে ৯ জনকে হত্যা করে। আগস্ট মাসের প্রথমদিকে মুক্তিযোদ্ধারা এ উপজেলার বড় চাপড়া রেলওয়ে ব্রিজ এবং আগস্ট মাসের শেষদিকে জিয়ানগরের আক্কেলপুর রায়কালী রাস্তার ওপরে কাহালু ব্রিজ ধ্বংস করে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ২ জন ইপিআর সদস্য নিহত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ১ (তালোড়া দুপচাঁচিয়া সড়কের পাশে পদ্মপুকুর নামক স্থানে)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩৪৬, মন্দির ৫২, মাযার ৪।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.৪%; পুরুষ ৫১.৬%, মহিলা ৩৯.১%। কলেজ ৫, কারিগরি কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), দুপচাঁচিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৩), দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৪)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী কলমের ছোঁয়া।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৫৯, লাইব্রেরি ১, শিল্পকলা একাডেমী ১, ক্লাব ১, সিনেমা হল ৪, মিলনায়তন ১, কমিউিনিটি সেন্টার ৪।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৬.৪৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭৭%, শিল্প ০.৭৪%, ব্যবসা ১৩.৮৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৯৭%, চাকরি ৪.৪৩%, নির্মাণ ০.৬৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬৫% এবং অন্যান্য ৬.৩৯%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আলু, সরিষা, গম।
বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, তিসি, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, তাল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৪০ কিমি; রেলপথ ১০ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা রাইসমিল, তেলমিল, স’মিল, খেলনা শিল্প, এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি, সার কারখানা, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, বুননশিল্প।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৫, মেলা ১৩। ধাপের হাট, জিয়ানগর হাট, তালোড়া হাট, সাহারপুকুর হাট এবং ধাপের মেলা, গয়াবান্দা মেলা, নবান্ন মেলা ও বিজয় মেলা।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, চাল, বিস্কুট, মাছ, দুধ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩২.০২% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬%, ট্যাপ ০.৪৯%, পুকুর ০.০৮% এবং অন্যান্য ৩.৪৪%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৮.৫৯% (গ্রামে ২৪.৮০% ও শহরে ৫৪.৯০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৪.৬৪% (গ্রামে ২৫.৩৫% ও শহরে ১৯.৭০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৪৬.৭৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৩, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ক্লিনিক ৪, ডায়াগ্নস্টিক সেন্টার ১।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ২০০৪ সালের এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলার ধাপসুলতানগঞ্জ, খোলাশ, মোস্তফাপুর ও নিমাইকোলা গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও আশা, ব্র্যাক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ, এসডিও, সেবা। [মো খায়রুল আলম পুলক]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দুপচাঁচিয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।