তালুকদার, আবদুল হাদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (fix: image tag) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''তালুকদার | [[Image:TalukdarAbdulHady.jpg|thumb|400px|right|হাদী আবদুল তালুকদার]] | ||
'''তালুকদার, আবদুল হাদী''' (১৯০৫-১৯৮৫) শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসক। তিনি ১৯০৫ সালের ২৬ অক্টোবর পটুয়াখালীর এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৪ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯২৬ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯২৯ সালে বি.এ (সম্মান) ও ১৯৩০ সালে এম.এ পাস করেন। | |||
হাদী তালুকদার ১৯৩২ সালে লিটন বৃত্তি নিয়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে যান এবং ১৯৩৫ সালে সেখান থেকে দর্শনে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালে তিনি উলানিয়ার জমিদার পরিবারের বেগম নুরুন্নাহার চৌধুরীর সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের একটি বড় সময় (১৯৪৫-১৯৬৮) তিনি এর রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। | হাদী তালুকদার ১৯৩২ সালে লিটন বৃত্তি নিয়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে যান এবং ১৯৩৫ সালে সেখান থেকে দর্শনে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালে তিনি উলানিয়ার জমিদার পরিবারের বেগম নুরুন্নাহার চৌধুরীর সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের একটি বড় সময় (১৯৪৫-১৯৬৮) তিনি এর রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। | ||
হাদী তালুকদার ১৯৪৫-১৯৫৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ১৯৮০-৮৪ সালে সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সাধনে এবং শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে সিতারা-ই-খিদমত পদকে ভূষিত করে। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় তিনি এ পদক প্রত্যাখ্যান করেন। | হাদী তালুকদার ১৯৪৫-১৯৫৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ১৯৮০-৮৪ সালে সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সাধনে এবং শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে সিতারা-ই-খিদমত পদকে ভূষিত করে। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় তিনি এ পদক প্রত্যাখ্যান করেন। | ||
হাদী তালুকদার বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কমিটি এবং ইসলামী একাডেমী অব কেম্ব্রিজ-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে তিনি সমাজকর্মে, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যু ১৭ জুলাই ১৯৮৫। [মুহম্মদ এ আলী] | |||
হাদী তালুকদার বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কমিটি এবং ইসলামী একাডেমী অব কেম্ব্রিজ-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে তিনি সমাজকর্মে, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যু ১৭ জুলাই ১৯৮৫। [মুহম্মদ এ আলী] | |||
[[en:Talukdar, Abdul Hady]] | [[en:Talukdar, Abdul Hady]] |
০৮:৫২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
তালুকদার, আবদুল হাদী (১৯০৫-১৯৮৫) শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসক। তিনি ১৯০৫ সালের ২৬ অক্টোবর পটুয়াখালীর এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৪ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯২৬ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯২৯ সালে বি.এ (সম্মান) ও ১৯৩০ সালে এম.এ পাস করেন।
হাদী তালুকদার ১৯৩২ সালে লিটন বৃত্তি নিয়ে লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে যান এবং ১৯৩৫ সালে সেখান থেকে দর্শনে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালে তিনি উলানিয়ার জমিদার পরিবারের বেগম নুরুন্নাহার চৌধুরীর সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের একটি বড় সময় (১৯৪৫-১৯৬৮) তিনি এর রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হাদী তালুকদার ১৯৪৫-১৯৫৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ১৯৮০-৮৪ সালে সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সাধনে এবং শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁকে সিতারা-ই-খিদমত পদকে ভূষিত করে। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময় তিনি এ পদক প্রত্যাখ্যান করেন।
হাদী তালুকদার বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কমিটি এবং ইসলামী একাডেমী অব কেম্ব্রিজ-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে তিনি সমাজকর্মে, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যু ১৭ জুলাই ১৯৮৫। [মুহম্মদ এ আলী]