টেংরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
[[Image:Tengra.jpg|thumb| | [[Image:Tengra.jpg|thumb|300px|টেংরা]] | ||
'''টেংরা''' (Tengra) Siluriformes বর্গের Bagridae গোত্রের | '''টেংরা''' (Tengra) Siluriformes বর্গের Bagridae গোত্রের Mystus গণের মাছ। শরীর অাঁশহীন, মুখের চারপাশে স্পর্শী (barbet)। টেংরা প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ। রুই মাছের চেয়ে ১.৫ গুণ বেশি ক্যালরিযুক্ত। মাছটি মাংসাশী, সাধারণত তলভোজী (bottom-feeder)। | ||
বাংলাদেশের ৫ প্রজাতির টেংরা নিম্নোক্তভাবে শনাক্ত করা যায়: টেংরা (''Mystus bleekeri'') পিঠের দিকে পিঙ্গল, পেটের দিকে সাদাটে। পার্শ্বরেখার নিচে লম্বালম্বি দুটি ব্যান্ড হালকা রঙের। দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ১৪ সেমি; গোলসা টেংরা (''M. vittatus'') পার্শ্বরেখার উপরে গাঢ় রঙের দুটি চ্যাপ্টা ও নিচে দুটি সরু ব্যান্ড; সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১০ সেমি; গুলি-টেংরা (''M. gulio'') পিঠের দিকে পিঙ্গলা, পেটের দিকে ফ্যাকাশে সাদা, চোয়ালের স্পর্শী আংশিক কালো, দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ২০ সেমি; কাবাসি টেংরা (''M. cavasius'') পৃষ্ঠকাঁটার গোড়ায় একটি কালো দাগ, সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি; বজুরি টেংরা (''M. tengara'') রং পিঙ্গল, কানকোর পেছনে কালো দাগ। শরীরে লম্বালম্বি কয়েকটি দাগ, সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৬ সেমি। | বাংলাদেশের ৫ প্রজাতির টেংরা নিম্নোক্তভাবে শনাক্ত করা যায়: টেংরা (''Mystus bleekeri'') পিঠের দিকে পিঙ্গল, পেটের দিকে সাদাটে। পার্শ্বরেখার নিচে লম্বালম্বি দুটি ব্যান্ড হালকা রঙের। দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ১৪ সেমি; গোলসা টেংরা (''M. vittatus'') পার্শ্বরেখার উপরে গাঢ় রঙের দুটি চ্যাপ্টা ও নিচে দুটি সরু ব্যান্ড; সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১০ সেমি; গুলি-টেংরা (''M. gulio'') পিঠের দিকে পিঙ্গলা, পেটের দিকে ফ্যাকাশে সাদা, চোয়ালের স্পর্শী আংশিক কালো, দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ২০ সেমি; কাবাসি টেংরা (''M. cavasius'') পৃষ্ঠকাঁটার গোড়ায় একটি কালো দাগ, সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি; বজুরি টেংরা (''M. tengara'') রং পিঙ্গল, কানকোর পেছনে কালো দাগ। শরীরে লম্বালম্বি কয়েকটি দাগ, সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৬ সেমি। |
১০:৩৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
টেংরা (Tengra) Siluriformes বর্গের Bagridae গোত্রের Mystus গণের মাছ। শরীর অাঁশহীন, মুখের চারপাশে স্পর্শী (barbet)। টেংরা প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ। রুই মাছের চেয়ে ১.৫ গুণ বেশি ক্যালরিযুক্ত। মাছটি মাংসাশী, সাধারণত তলভোজী (bottom-feeder)।
বাংলাদেশের ৫ প্রজাতির টেংরা নিম্নোক্তভাবে শনাক্ত করা যায়: টেংরা (Mystus bleekeri) পিঠের দিকে পিঙ্গল, পেটের দিকে সাদাটে। পার্শ্বরেখার নিচে লম্বালম্বি দুটি ব্যান্ড হালকা রঙের। দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ১৪ সেমি; গোলসা টেংরা (M. vittatus) পার্শ্বরেখার উপরে গাঢ় রঙের দুটি চ্যাপ্টা ও নিচে দুটি সরু ব্যান্ড; সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১০ সেমি; গুলি-টেংরা (M. gulio) পিঠের দিকে পিঙ্গলা, পেটের দিকে ফ্যাকাশে সাদা, চোয়ালের স্পর্শী আংশিক কালো, দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ২০ সেমি; কাবাসি টেংরা (M. cavasius) পৃষ্ঠকাঁটার গোড়ায় একটি কালো দাগ, সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি; বজুরি টেংরা (M. tengara) রং পিঙ্গল, কানকোর পেছনে কালো দাগ। শরীরে লম্বালম্বি কয়েকটি দাগ, সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৬ সেমি।
[মোঃ গোলাম মুস্তাফা]